সিইসির উল্টো সুর

 

স্টাফ রিপোর্টার: হঠাত উল্টো সুর প্রধান নির্বাচন কমিশনারের। সংশোধিত আরপিওতে নির্বাচনকালীন সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সজ্ঞা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে সেনাবাহিনীকে। কশিনের যুক্তি ছিলো বিগত সময়ে উপ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন সেনাবাহিনী ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে। তাই জাতীয় নির্বাচনেও সেনাবাহিনীর প্রয়োজন পড়বে না। কিন্তু নির্বাচনী প্রেক্ষাপট বদলের সাথে কমিশনের অবস্থান ঠিক আগের উল্টো। কমিশনের পক্ষ থেকে গত কয়েক দিন ধরে নির্বাচনে সেনা চাওয়ার কথা বলা হচ্ছে। সর্বশেষ গতকাল প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দিন আহমেদ স্পষ্ট করেই বলেছেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে এতোবড় একটি নির্বাচন সেনাবাহিনী ছাড়া সম্ভব নয়। গতকাল বুধবার দুপুরে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে তিনি এ কথা বলেন। নির্বাচনে সেনাবাহিনীর থাকার প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, ১৯৭৩ সাল থেকে সব জাতীয় নির্বাচনেই সেনাবাহিনী ছিলো। আমরা আশা করি এবারও তাদের সহযোগিতা পাব। একই দিনে দেশের ৩০০ আসনে নির্বাচন হবে। শুধুমাত্র আইন শৃঙ্খলাবাহিনী দিয়ে এতগুলো কেন্দ্রে নির্বাচন গ্রহণ সম্ভব নয়। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ (আরপিও) থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় সেনাবাহিনী বাদ দেয়া হয়েছে এ বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় যখন সেনাবাহিনী ছিলো না তখনও সেনা ব্যবহার হয়েছে। আরপিও থেকে বাদ দেয়ার পরও আমরা চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে সেনা ব্যবহার করেছি। আইন মোতাবেক আমাদের প্রয়োজনে যেকোনো সংস্থা থেকে আমার সহযোগিতা নিতে পারি। সেনাবাহিনীর জন্য কার কাছে আবেদন করা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী আমরা যেকোনো সংস্থার কাছে সহযোগিতা চাইতে পারি। তফসিলের পর পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমরা তাদের সহযোগিতা চাইবো।