সাপে কাটা রোগীকে নিয়ে কবিরাজের ছলছাতুরি : অবশেষে মৃত্যু

 

 

বাজারগোপালপুর প্রতিনিধি: বিষধর সাপে দংশন করলে কালবিলম্ব না করে বাঁধন দিয়ে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে। এ প্রচারণায় ঘাটতির কারণেই একের পর এক সাপে কাটা রোগীর মৃত্যু হচ্ছে। গতকালও ঝিনাইদহে জেলা সদরের আটলিয়া গ্রামের এক সন্তানের জনকের সাপে কেটে মৃত্যু হয়েছে। তাকে নিয়ে ওঝা কবিরাজ দীর্ঘ সময় ধরে ঝাঁড়ফুক নাটক করে বাঁচাতে না পেরে শেষ পর্যন্ত তারা অপপ্রচারে মেতে উঠে বলে, সাপে কাটেনি, অনেক বড় কিছুতে দংশন করেছে বলেই বাঁচানো গেলো না।

জানা গেছে, ঝিনাইদহ জেলা সদরের মধুহাটি ইউনিয়নের আটিয়া গ্রামের মণ্টু মিয়ার ছেলে এক সন্তানেরর জনক হাফিজুর রহমান গত রাতে প্রতিবেশীর বাড়িতে বসে টিভি দেখছিলেন। রাতে বাড়ি ফিরে নিজ ঘরে ঘুমাতে যান। মশারির মধ্যেই তাকে সাপে দংশন করে। তাকে হাসপাতালে নেয়ার বদলে নেয়া হয় পার্শ্ববর্তী গ্রামের কবিরাজ মনছুরের কাছে। সেখানে দীর্ঘ সময় ধরে চলে ঝাড়ফুক। গতকাল বিকেলে বাড়ি ফেরে। বাধন করে খোলে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে তাকে আবারও একই কবিরাজের নিকট নেয়া হয়, তখন কবিরাজ অপারগতা প্রকাশ করে জিনসেজে সাপে দংশন করেছে বলে বানোয়াট যুক্তি উপস্থাপন করে। কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যান হাফিজুর রহমান। লাশ নিজ গ্রামে দাফন করা হলেও গ্রামের সচেতনমহল ভণ্ড কবিরাজের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে।