সাক্ষী দিতে গিয়ে চাচা- ঐশী তার বাবা-মাকে হত্যা করেনি

 

স্টাফ রিপোর্টার: পুলিশকর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান এবং তার স্ত্রী স্বপ্না বেগমকে হত্যা মামলায়তাদের মেয়ে ঐশী রহমানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন তার চাচা ওমামলার বাদী মো. মশিহুর রহমান রুবেল। গতকালমঙ্গলবার বেলা সোয়া ১১টায় ঢাকা মহানগরদায়রা জজ জহুরুল হকের আদালতে তার সাক্ষগ্রহণ শুরু হয়। এর আগে সকালেজেলহাজত থেকে ঐশী রহমানসহ মামলার অপর দু আসামি আসাদুজ্জামান জনি ও মিজানুররহমান রনিকে আদালতে হাজির করা হয়।আদালতে ঐশীর চাচা বলেন, আমার ভাইপুলিশে চাকরি করতেন। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে হয়তো কারও বিরাগভাজন হয়েছিলেন। একারণে দুর্বৃত্তরা তাকে খুন করে থাকতে পারে। ঐশী তার বাবা-মাকে হত্যাকরেনি।মামলার বাদী মশিহুর রহমান আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে বলেন, পুলিশেরপরামর্শে আমি এ মামলা করেছি। এজাহারে কী লেখা হয়েছে আমি তা পড়ে দেখিনি।২০১৩সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর মালিবাগের চামেলীবাগে নিজেদের বাসা থেকে পুলিশেরস্পেশাল ব্রাঞ্চের (পলিটিক্যাল শাখা) ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান ও তারস্ত্রী স্বপ্না রহমানের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মা-বাবা খুন হওয়ারপর রহস্যজনকভাবে পালিয়ে যায় ঐশী। এ ঘটনায় ১৭ আগস্ট নিহত মাহফুজুর রহমানেরছোটভাই মো. মশিহুর রহমান রুবেল পল্টন থানায় একটি হত্যামামলা দায়ের করেন।একই দিন ঐশী রহমান রমনা থানায় আত্মসমর্পণ করেন। একই বছরের ২৪ আগস্ট আদালতেখুনের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন ঐশী। ২০১৪ সালের ৯ মার্চ ঐশীকে প্রধানআসামি করে ৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক আবুল খায়ের।