সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট বিল পাস

 

স্টাফ রিপোর্টার: দ্রুততম সময়ের মধ্যে সরকার ‘সাংবাদিক কল্যাণট্রাস্ট’ নামে একটি সংস্থা গঠন করবে। যে সংস্থাটি দুস্থ ও অস্বচ্ছলসাংবাদিকদের কল্যাণে কাজ করবে। গতকাল মঙ্গলবার সংসদে এ সংক্রান্ত বিল ‘বাংলাদেশসাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট-২০১৪’ পাস হয়েছে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীরসভাপতিত্বে শুরু হওয়া অধিবেশনে বিলটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। পরে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে বিলটির ৯টিদফার ওপর ১৭টি সংশোধনী প্রস্তাব করেন ৫ জন সংসদ সদস্য। এর মধ্যে স্বতন্ত্রসদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজীর একটি মাত্র সংশোধনী ছাড়া আর কোনটিই গ্রহণ করাহয়নি। বিলটির ওপর আনা জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাবও কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।বিলটি পাসের আগে মন্ত্রী সংসদে বলেন, অসুস্থ, অস্বচ্ছল ও আহত সাংবাদিকদেরমধ্যে এবং নিহত সাংবাদিক পরিবারের সদস্যদের অনুকূলে নিয়মিত সহায়তা প্রদান ওতাদের কল্যাণের জন্য একটি স্থায়ী প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো প্রয়োজন। সেইলক্ষ্যে এই বিলটি আনা হয়েছে। বিলটি পাস হলে দেশের সাংবাদিক সমাজের কল্যাণসাধন করা সম্ভব হবে বলে তিনি দাবি করেন। বিলটি পাস হওয়ায় সরকার দ্রুতসাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট নামে একটি ট্রাস্ট স্থাপন করবে। যার প্রধানকার্যালয় থাকবে ঢাকায়। আর ট্রাস্ট পরিচালনার জন্য একটি ট্রাস্টি বোর্ড গঠনকরা হবে। তথ্য মন্ত্রী এই বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাবেন। ব্যবস্থাপনাপরিচালক হিসেবে সরকার একজনকে নিয়োগ করবেন। এই বোর্ডের সদস্য থাকবেন- তথ্যসচিব, প্রধান তথ্য অফিসার, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মনোনীত মহাপরিচালকপদমর্যদার একজন প্রতিনিধি, অর্থ বিভাগের যুগ্ম সচিব পদমর্যদার একজনপ্রতিনিধি, পিআইবি মহাপরিচালক, তথ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (প্রেস), বিএফইউজে’র দুজন প্রতিনিধি এবং সরকার মনোনীত ৩ জন সাংবাদিক। নতুন আইনে বলাহয়েছে, ট্রাস্ট স্থাপনের পর সরকার অনুদান হিসেবে একটি নির্দ্দিষ্ট পরিমাণঅর্থ প্রদান করবে। সরকার প্রদত্ত অনুদান ছাড়াও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ প্রদত্তঅনুদান, গৃহীত ঋণ, ট্রাস্ট পরিচালিত প্রতিষ্ঠান ও সম্পদ হতে আয়, ট্রাস্টেরসম্পত্তি বিক্রি করে পাওয়া অর্থ এবং দেশি-বিদেশি অন্যান্য উৎস্য হতে পাওয়াঅর্থ ট্রাস্টের তহবিল গঠন করা হবে। আরও বলা হয়েছে, দুস্থ ও অস্বচ্ছলসাংবাদিকদের কল্যাণের জন্য এই ট্রাস্টের লক্ষ্য হবে অক্ষম ও অসমর্থসাংবাদিকদের আর্থিক সাহায্য প্রদান, অসুস্থ সাংবাদিকদের সুচিকিৎসার নিশ্চিতকরা এবং সাংবাদিক ও তাদের সন্তানদের বৃত্তি প্রদান করা। গত ২ এপ্রিলসংসদে বিলটি উত্থাপনের পর তা অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য তথ্যমন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।