সরোজগঞ্জ ও বণ্ডবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র ঝুকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত

১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র একদিন বাকি : চুয়াডাঙ্গার দুটি আসনে ৪ জন প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা

 

খাইরুজ্জামান সেতু/উজ্জ্বল মাসুদ: আর মাত্র একদিন পরই ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। চুয়াডাঙ্গার দুটি আসনে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে মহিলা ভোটার ২ লাখ ১শ ৬৭জন, পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৯৬ হাজার ৭শ ৭২ জন। চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে মহিলা ভোটার ১ লাখ ৮৪ হাজার ১শ ১১ জন, পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৮৩ হাজার ৬শ ২২ জন। চুয়াডাঙ্গা-১ আসনভুক্ত ভোটকেন্দ্রগুলোর মধ্যে সরোজগঞ্জ ও আলমডাঙ্গার বণ্ডবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রকে ঝুকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা-২ আসনভুক্ত কেন্দ্রগুলোর একটিও ঝুকিপূর্ণ হিসেবে গোয়েন্দা পুলিশের দৃষ্টিতে বিবেচ্য হয়নি।

৫ জানুয়ারি রোববার গোপন ব্যালটে ভোটগ্রহণ করা হবে। যাবতীয় প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। নির্বাচনী উত্তাপ অনেকটাই অনুপস্থিত। রাজনৈতিক অস্থিরতায় অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ও আলমডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক মেয়র জাসদ নেতা বীরমুক্তিযোদ্ধা এম সবেদ আলী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। ছেলুন জোয়ার্দ্দার আওয়ামী লীগ মনোনীত ফলে তার প্রতীক নৌকা, আর সবেদ আলী জাসদ মনোনীত ফলে তার প্রতীক মশাল। চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে নৌকা-মশালের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হলেও অপর আসন তথা চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নৌকা আর হাতুড়ি। বর্তমান সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক হাজি আলী আজগার টগর দলীয় মনোনীত। তার প্রতীক নৌকা। হাতুড়ি প্রতীকের প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম শেখ। তিনি বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির চুয়াডাঙ্গা জেলা সম্পাদক।

আসন দুটিতে দুজন করে প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও সাধারণ ভোটারদের মধ্যে তেমন নির্বাচনী আমেজ নেই। বিএনপি নির্বাচন বর্জন করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে। আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা মূলত নির্বাচনী আমেজ সৃষ্টির পাশাপাশি দলীয় নেতা-কর্মীদের কাছে টানতেই জোর প্রচার প্রচারণায় মেতেছেন। আজ শুক্রবার সকাল থেকেই নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা শেষ হচ্ছে। দুজন করে প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকলেও এরা মূলত একই জোটভুক্ত। তাছাড়া বর্তমান সংসদ সদস্যদের সাথে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় মহাজোটভুক্ত দলের অপর প্রার্থীদের খুব একটা আমলে নিচ্ছেন না সাধারণ ভোটাররা। এরপরও নির্বাচন বলে কথা। কখন যে ঘুরে যায় মোড়, কে হাসে শেষ হাসি তা জানতে নির্বাচনী ফলাফল প্রকাশ পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতেই হবে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল এরকমই মন্তব্য করে বলেছে, ১০ম জাতীয় সংসদ কতো দিন স্থায়ী হবে তা নিয়ে প্রশ্ন আছে, সেই প্রশ্নের চেয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের জোর প্রচারণাটাই অধিক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এরা ঠাণ্ডামাথায় দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে টানার যেমন সুযোগ পেয়েছেন, তেমনই পেয়েছেন অনেক নতুন কর্মীও। যার লাভ উঠেছে আওয়ামী লীগেরই ঘরে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *