সরোজগঞ্জে ধানচাতালের ছাইগাদায় পড়ে ঝলসে গেছে শিশু

পিতামাতা দুজনই হতদরিদ্র চাতাল শ্রমিক : শিশু সন্তানকে নিতে পারছে না ঢাকায়

 

স্টাফ রিপোর্টার: ধানের চাতালে খেলা করতে গিয়ে ছাইগাদায় পড়ে ঝলসে গেছে পাঁচ বছর বয়সী শিশু রাজন। চুয়াডাঙ্গা সরোজগঞ্জের শামসুল মিয়ার চাতালে গতকাল সোমবার বেলা ২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। শিশু রাজনকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পুর্ন বার্ন ইউনিট নেই। রাজনের শরীর যেভাবে আগুনে ঝলসে গেছে, তাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নেয়া না হলে সুস্থ করা প্রায় অসম্ভব। কর্তব্যরত চিকিৎসক এরকম মন্তব্য করলেও রাজনের হতদরিদ্র পিতা মাতা অর্থাভাবে ঢাকায় নিতে অপারগতা প্রকাশ করলে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রেখেই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সরোজগঞ্জের সাগর আলী ও তার স্ত্রী দুজনই ধান চাতালের শ্রমিক। তাদেরই ছেলে রাজন। মা ধান সিদ্ধ, রোদে দেয়া ও বস্তায় ভরার কাজ নিয়ে যখন ব্যস্ত, তখন শিশু রাজন খেলছিলো। খেলতে গিয়ে চাতালের পাশের ছাইয়ের গাদায় পড়ে তলিয়ে যেতে থাকে। দ্রুত ছুটে গিয়ে চাতাল শ্রমিকরা হাত ধরে টেনে তোলে। ততোক্ষণে ঝলসে যায় রাজনের শরীরের অধিকাংশ। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, সরোজগঞ্জসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার অধিকাংশ চাতালেরই ছাইগাদা অরক্ষিত। সামান্য অসতর্কতায় যে কেউ তলিয়ে যেতে পারে তপ্ত ছাইগাদায়। হারাতে পারেন প্রাণ।