সরকারের সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার কারণে দেশ নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে

অনুন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে বাংলাদেশ : চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুরসহ সারাদেশে আনন্দ শোভাযাত্রাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত

স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ নিম্ন আয়ের দেশ থেকে নিম্নমধ্য আয়ের দেশে উত্তরণের গৌরব অর্জন করায় প্রচার অভিযান ও সেবা সপ্তাহ পালন উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরের বিভিন্ন স্থানে আনন্দ শোভাযাত্রাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। আলোচনাসভায় বক্তারা বলেন, দেশে কৃষিখাত ও শিল্পখাতসহ বিভিন্ন খাতে বিপ্লব ঘটেছে। সরকারের সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার কারণে দেশ নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। শিগগিরই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশের কাতারে পৌঁছাবে। সরকার পঞ্চম বার্ষিকী পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশ আজ বিশ্বের দরবারে উন্নয়নের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী রোল মডেল।
চুয়াডাঙ্গায় এ উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর থেকে একটি আনন্দ র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। পরে জেলা শিল্পকলা একাডেমির মুক্তমঞ্চে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক। প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ সামসুল আবেদীন খোকন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) তরিকুল ইসলাম, র‌্যাব-৬’র ঝিনাইদহ ক্যাম্পের এএসপি খোদাদাদ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান ও জেল জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. শামসুজ্জোহা। জেলা নাজির হামিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান। পরে মনিরুজ্জামান ধীরু বাউলের নেতৃত্বে ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা উপভোগ করেন অতিথিবৃন্দ।
জীবননগর ব্যুরো জানিয়েছে, বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশে উন্নতি লাভ করেছে। এ উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার জীবননগর উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে র‌্যালি ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্বল্পোন্নোত দেশের স্ট্যাটাস হতে বাংলদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশে উন্নতি হওয়ায় উপজেলা চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেলিম রেজার সভাপতিত্বে উপজেলার বটতলায় একটি আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান আবু মো. আব্দুল লতিফ অমল। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হাজি হাফিজুর রহমান, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আনোয়ার হোসেন, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার আফাজ উদ্দিন, সমবায় অফিসার মোতাহার হোসেন প্রমুখ। র‌্যালিতে বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীসহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন বলে জানা গেছে।
দামুড়হুদা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, দামুড়হুদায় আনন্দ র‌্যালি ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চিৎলা হাসপাতাল সড়কে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. আবু হেনা মোহাম্মদ জামাল শুভর নেতৃত্বে আনন্দর‌্যালি বের হয়। র‌্যালি শেষে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে স্বাস্থ্যসেবা সপ্তাহ বিষয়ক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. আবু হেনা মোহাম্মদ জামাল শুভর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন মেডিকেল অফিসার সোহরাব হোসেন, সিনিয়র স্টাফ নার্স লতিফা খাতুন হেনা, তাপসী রায়, আবু বকর, উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক আবুল কাশেম, সেনেটারি ইন্সপেক্টর শরীফ মোহা. আব্দুল মতিন, ইপিআই টেকনিশিয়ান শাহ আলম ঢালী, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক আবুল হাশেম, রফিকুল ইসলাম, স্বাস্থ্য সহকারী রাশিদুল ইসলাম, আ. আলিম, আজাদ, ফার্মাসিস্ট মশিউজ্জামান প্রমুখ।
মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টায় শহরের শহীদ ড. সামসুজ্জোহা পার্ক থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভযাত্রা বের হয়। মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক ফরহাদ হোসেনের নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
পরে সেখানে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক পরিমল সিংহের সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন। সংক্ষিপ্ত সমাবেশ ও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আনসার অ্যাডজুডেন্ট মো. আব্দুর রশীদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শেখ ফরিদ আহমেদ, সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বশির আহমেদ, জেলা জজ আদালতের পিপি অ্যাড. পল্লব ভট্টাচার্য, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল হালিম, আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস, জেলা জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান শামীম আরা হীরা, এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী আজিমউদ্দিন সরদার, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোক্তার হোসেন দেওয়ান, মেহেরপুর আঞ্চলিক পার্সপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক বশির আহমেদসহ আওয়ামী লীগ ও অংগ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এর আগে সকাল সাড়ে ৮টার পর থেকে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এবং এনজিও কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ব্যানার নিয়ে শোভাযাত্রায় অংশ নিতে মেহেরপুর শহীদ ড. সামসুজ্জোহা নগর উদ্যানে জমা হতে থাকে। এ সময় জনতার পদাভারে শহীদ ড. সামসুজ্জোহা নগর উদ্যান কানায় কানায় পূর্ণ হয়।
গাংনী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, সারা দেশের ন্যায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গতকাল মঙ্গলবার সকালে অনুষ্ঠিত হয় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন, গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষ্ণুপদ পাল, গাংনী থানার ওসি হরেন্দ্র নাথ সরকার, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সাহিদুজ্জামান খোকন, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি একেএম শফিকুল আলম, সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সেলিনা মমতাজ কাকলী ও উপজেলা যুব মহিলা লীগ সাধারণ সম্পাদক ফারহানা ইয়াছমিনসহ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী, শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, সরকারি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। অনুষ্ঠানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকারি বিভিন্ন দফতর ব্যানার নিয়ে অংশগ্রহণ করে।
মুজিবনগর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মুজিবনগরে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করেছে উপজেলা প্রশাসন। গতকাল মঙ্গলবাল সকাল ১০টার দিকে মুজিবনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় নেতৃত্বে দেন মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (চ. দা.) মো. মিজানুর রহমান। এসময় মুজিবনগর থানা ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, জেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাগোয়ান ইউপি চেয়ারম্যান আয়ূব হোসেন, কৃষি অফিসার মুহ. মোফাকখারুল ইসলাম, শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান, মহিলা বিষয়ক অফিসার তাজুল ইসলামসহ সরকারি বেসরকারি দফতরের কর্মকর্তা কর্মচারী ও বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীবৃন্দ শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন।