সফরসূচি অবহিতকরণে জেলা সেক্রেটারির চা চক্র : সাড়া না দেয়া নেতৃবৃন্দের প্রশ্ন

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চুয়াডাঙ্গায় আসছেন আগামী ২৯ এপ্রিল : আগেই আসছেন কেন্দ্রীয় দু নেতা

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাদুল ইসলাম আজাদ জেলা আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দকে প্রধানমন্ত্রীর চুয়াডাঙ্গা সফর সম্পর্কে অবগত করেছেন। যদিও গতকাল বুধবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা শিল্পকলা একাডেমীর মিলনায়তনে তার চায়ের আমন্ত্রণে জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের অধিকাংশই উপস্থিত হননি। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জাতীয় সংসদের হুইপকে না জানিয়েই এ অবহিতকরণ বৈঠকে আহ্বান বা চায়ের আমন্ত্রণের কারণেই নাকি জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ সিংহভাগ নেতৃবৃন্দ তাতে সাড়া দেননি। হাজির হননি।

জানা গেছে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২৯ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা সফর করবেন। উন্নয়নমূলক প্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্বোধনের পাশাপাশি তিনি জনসভায় বক্তব্য দেবেন। এ বিষয়সহ ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের চুয়াডাঙ্গা জেলা  সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দকে মোবাইলফোনে আমন্ত্রণ জানান। গতকাল বুধবার বিকেলে শিল্পকলা একাডেমীর মিলনায়তনে চায়ের আমন্ত্রণে জেলা আওয়ামী লীগের উল্লেখযোগ্য নেতৃবৃন্দর অনুপস্থিতি এবং জেলা সভাপতিকে না জানিয়ে সেক্রেটারির এ সভা আহ্বানের এখতিয়ার নিয়ে সরব আলোচনা শুরু হয়। যদিও এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাদুল ইসলাম আজাদ বলেছেন, সভানেত্রী ২৯ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গায় আসার বিষয়টি কেন্দ্র থেকে আমাকে জানানো হয়েছে। ফলে জেলা সেক্রেটারি হিসেবে এ কর্মসূচি সংগঠনের ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দকে বিষয়টি জানানো আমার দায়িত্ব। জেলা সভাপতি যেহেতু অসুস্থ, সেহেতু আমি আমার দায়িত্ববোধ থেকেই প্রধানমন্ত্রীর চুয়াডাঙ্গার সফরসূচি সম্পর্কে সকলকে জানানো সাংগঠনিক দায়িত্ব। সভানেত্রীর সফরের আগেই চুয়াডাঙ্গার সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় জয়েন্ট সেক্রেটারি আবদুর রহমান ও সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন চুয়াডঙ্গায় আসছেন। সম্ভাব্য তারিখ দিয়েছেন আগামী ৩ এপ্রিল। এটাও তো জেলার সকল নেতাকে জানানো দরকার। সেই দায়িত্ববোধ থেকে সকলকেই মোবাইলফোনে আহ্বান জানিয়েছিলাম। কেউ এসেছেন কেউ আসেননি। যারা এসেছেন তাদেরকে বিষয়টি অবহিত করেছি। একই সাথে বলেছি, কোনো প্রকারের বিভেদ না রেখে সভানেত্রীর সফর সর্বাত্মক সফল করার লক্ষ্যে আমাদের কাজ করতে হবে।

অপরদিকে জেলা আওয়ামী লীগের বেশ ক’জন নেতা বলেছেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিকে বাদ দিয়ে সেক্রেটারির এ ধরনের সভা বিশেষ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রীর সফর নিয়ে পৃথক সভা করার মধ্যে অন্যরকম উদ্দেশ্য রয়েছে বলে অনেকের অনুমান। তাছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়েই বা বসা হলো না কেন? সে কারণে জেলা আওয়ামী লীগের তেমন কেউই সেক্রেটারির আহ্বানে সাড়া দেননি। যদিও সেক্রেটারি বলেছেন, চুয়াডাঙ্গা পৌরসহ জেলার বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ ও অঙ্গসংগঠনের অর্ধশতাধিক নেতা চা চক্রের মিলিত হন।