সঞ্চয়ের টাকা হাতিয়ে নিয়ে আদর্শ ফাউন্ডেশন লাপাত্তা

দরিদ্র ও হত-দরিদ্রদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের লোন দেয়ার প্রলোভন

 

স্টাফ রিপোর্টার: আদর্শ ফাউন্ডেশন নামের একটি এনজিও মোটা অঙ্কের লোন দেয়ার প্রলোভনে দরিদ্র ও হত-দরিদ্রদের কাছ থেকে নেয়া জমাকৃত সঞ্চয়ের টাকা হাতিয়ে লাপাত্তা হয়েছে। এই এনজিওটি দর্শনাসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষকে প্রতারণা করে সটকে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সমাজসেবা অধিদপ্তর ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের রেজিস্ট্রেশন নিয়ে দর্শনায় আদর্শ ফাউন্ডেশন নামে একটি এনজিও অফিস খুলে দর্শনা ও তার আশেপাশের ইউনিয়ন গুলোতে মোটা অঙ্কের লোন দেয়ার প্রলোভনে সঞ্চয় আদায় করতে থাকে। গত বছর দুয়েক আগে চুয়াডাঙ্গা পুরাতন জেলখানার কাছে ভাড়া বাড়িতে আদর্শ ফাউন্ডেশনের শাখা অফিস খুলে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভাসহ এর আশেপাশের এলাকায় মোটা অঙ্কের লোন দেয়ার প্রলোভনে সঞ্চয়ের টাকা আদায় করতে থাকে। সঞ্চয় জমাকৃত গ্রাহক সাধারণ লোন চাইলেই ওই ফিল্ডের কর্মী পরিবর্তন করে নতুন কর্মী দেয়া হতো। আবার কিছুদিন নতুন কর্মীর অজুহাতে চলতো টালবাহানা। গ্রাহকগণ জানান, মাস ৬ থেকে আর কেউ এ ফিল্ডে আসে না। আমরা অফিসে গিয়ে পুরাতন জেলখানাপাড়ার ভাড়া বাড়িতে থাকা অফিসটি আর পাইনি। অফিসের সাইন বোর্ডও নেই, অফিসও নেই। আদর্শ ফাউন্ডেশনের হাজরাহাটি ৪নং গ্রুপের সূর্যমুখি সেবা সমিতি খুদ্র সঞ্চয় জমাকৃত গ্রাহকগণ জানান, হাজরাহাটি গ্রামেই আদর্শ ফাউন্ডেশনের ৪টি গ্রুপ ছিলো। একেকটি গ্রুপে ৩৫-৪০ জন করে সদস্য ছিলো। ক্ষুদ্ধ হত দরিদ্র সঞ্চয় জমারাখা সাগরী, রহিমা বেগম, মর্জিনা বেগম, ফাহমিদা খাতুন, রইছন ও রহিমা খাতুন বলেন বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে সদস্যদের বোকা বানিয়ে ধোকা দিয়ে জমাকৃত সঞ্চয় বই অফিয়ে নিয়ে আর ফেরত দেয়নি এবং আমাদের জমাকৃত সঞ্চয়ের টাকাও ফেরত দেয়নি বলে অভিযোগ করেন। আদর্শ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক কলিম উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমরা অনেক সদস্যর টাকা ফেরত দিয়েছি কিছু সদস্য আমাদের কাছে টাকা পাবে তা আমরা অতি তাড়াতাড়ি ফেরত দেব। সঞ্চয়ের বই ফেরত নেয়ার কারণ জানতে চাইলে তা অস্বীকার করেন। ক্ষুব্ধ হত দরিদ্র গ্রাহকগণ সঞ্চয়ের দাবি জানিয়েছেন।