শহীদি মৃত্যু কামনা করেছি

স্টাফ রিপোর্টার: জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লা বলেছেন, আজীবন শহীদি মৃত্যু কামনা করেছি। অনেক আগে ছাত্রজীবনে শহীদ সাইয়েদ কুতুবের শাহাদাতের ইতিহাস বলতে গিয়ে অধ্যাপক গোলাম আযম আমার গলায় স্নেহের হাত রেখে বলেছিলেন, একদিন এ ফাঁসির দড়ি তোমার গলায়ও পড়তে পারে। মঙ্গলবার আইনজীবীরা দেখা করতে গেলে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এ জামায়াত নেতা এসব কথা বলেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবী প্রতিনিধি দলের সদস্য অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম। কোনো অপরাধে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে কাদের মোল্লা আরও বলেন, আবদুল কাদের মোল্লা কোনো অপরাধ করেনি। তোমরা নিশ্চিত থাকো, তার মাথা উঁচু ছিলো- উঁচুই থাকবে। তোমরা কখনও আমার চোখে পানি দেখবে না ইনশাআল্লাহ। এদিকে আইনজীবীদের আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন দায়েরের পরামর্শ দিয়েছেন কাদের মোল্লা। সাক্ষাৎ শেষে জেলগেটে তার আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।  তিনি বলেন, সুপ্রিমকোর্টে রিভিউ ও প্রেসিডেন্টের কাছে প্রাণভিক্ষার বিষয়ে কথা হয়েছে। তিনি রিভিউ করতে বলেছেন। প্রেসিডেন্টের কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জেলকোড অনুযায়ী মৃত্যু পরোয়ানা জারির পর ১৫ দিন পর্যন্ত সময় থাকে। ৮ তারিখে মৃত্যু পরোয়ানা ইস্যু হয়েছে, তাই ২৩ তারিখ পর্যন্ত সময় আছে। ২১ বা ২২ তারিখে তার সাথে আবার দেখা করে প্রাণভিক্ষার আবেদনের বিষয়ে তার মতামত জানা হবে।

এদিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেলসুপার ফরমান আলী বলেছেন, সরকার আদেশ দেয়ামাত্রই আমরা রায় কার্যকর করতে প্রস্তুত। জামায়াতের আইনজীবীদের ১৫ দিনের সময় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সংশোধিত আইনটি পাস হয়নি, তাই তিনি আগের মতো ৭ দিনই সময় পাচ্ছেন। এর আগে সকাল সোয়া ১০টার দিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রবেশ করেন আইনজীবী প্রতিনিধি দল। আইনজীবী প্রতিনিধি দলে ছিলেন ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক, অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন, অ্যাডভোকেট শিশির মুহাম্মদ মুনির প্রমুখ।