লঘুচাপের প্রভাবে চুয়াডাঙ্গাসহ সারাদেশে বৃষ্টি

 

স্টাফ রিপোর্টার:রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে গতকাল রোববারও মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেযোগাযোগ ব্যবস্থা। জনজীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ। গত দুদিন ধরে হালকাথেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হয়েছে রাজধানীতে। শনিবার গভীররাত থেকে চলা এবর্ষণে গতকাল সকালে শিক্ষার্থী ও অফিসগামীদের পড়তে হয়েছে বিড়ম্বনার মুখে।অনেককেই কাকভেজা হয়ে যেতে হয়েছে কর্মস্থলে।

চুয়াডাঙ্গায় গতকাল ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ২৯ দশমিক ৪ ও সর্বনিম্ন ২৫ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা সাতক্ষীরায় ৩১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় গতকাল। গতকাল সকাল ৬টা থেকেবিকেল ৩টা পর্যন্ত সীতাকুণ্ডে ১৫৭ মিমি, খুলনায় ১৬৭ মিমি, বরিশালে ৯৮ মিমি, রাঙ্গামাটিতে ৪৪ মিমি, ঢাকায় ১২ মিমি. বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়াঅফিস। তবে সকাল ৬টা পর্যন্ত ইশ্বরদীতে ১৭৩ মিমি, টাঙ্গাইলে ১১৪ মিমি, চট্টগ্রামে ৯০ মিমি, রাঙ্গামাটি ও সন্দ্বীপে ৯২ মিমি. বৃষ্টিপাত হয়েছে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাংশ ও তত্সংলগ্ন এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় লঘুচাপবিরাজ করছে। লঘুচাপের বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। এরপ্রভাবে সারাদেশে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হচ্ছে। তবে কোথাও কোথাও ভারী থেকেঅতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ অবস্থা আরো ২/১ দিন অব্যাহত থাকবে বলেজানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এছাড়া লঘুচাপের কারণে দেশের বন্দরসমূহকে তিন নম্বরসতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। গতকাল সকাল থেকে রাজধানীতে মাঝারি ধরনেরবৃষ্টিপাত হয়েছে। সকালে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়লেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে তারতীব্রতা কমে আসে। তবে সারাদিন থেমে থেমে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। কোথাওসূর্যের আলো দেখতে পাওয়া যায়নি। সকালে বৃষ্টির কারণে সড়কে যানবাহনেরস্বল্পতা দেখা দেয়। এ সুযোগে অটোরিকশা ও রিকশাওয়ালারা ইচ্ছেমত ভাড়া নেনযাত্রীদের কাছ থেকে। বর্ষা মরসুমে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে চলছে খোঁড়াখুড়িরকাজ। এ কারণে ফেলে রাখা মাটি বৃষ্টিতে ভিজে কর্দমাক্ত হচ্ছে সড়কগুলো। ফলেপথচারীদের চরম বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে।

আবহাওয়ার সতর্কবার্তা:উত্তরবঙ্গোপসাগরে মৌসুমী বায়ু প্রবল থাকার কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর ওতত্সংলগ্ন বাংলাদেশ উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহতরয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবংসমুদ্র বন্দরসমূহের ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়া অব্যাহত থাকতে পারে।এজন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয়সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলেরকাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।