রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়লেও চুয়াডাঙ্গায় ক্রেতা সাধারণের উপচে পড়া ভিড়

আলম আশরাফ: প্রথম রোজার ইফতারির সময় হওয়ার আগেই চুয়াডাঙ্গা শহীদ হাসান চত্বর, নিচের বাজারের রাস্তায় তীব্র যানজোট দেখা দেয়। রোজদারদের হুড়োহুড়ি লেগে যায়। ইফতারি ও মাছ মাংশ কেনার বহর দেখে বোঝাই যায়নি, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর দাম বেড়েছে। তবে দরিদ্র স্বল্প আয়ের সাধারণ মানুষ দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলেছে, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি আমাদের ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা বাজারে রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম ক্রমশ বাড়ছে। ফলেনিম্ন আয়ের দরিদ্র পরিবারগুলোর জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে।দরিদ্র সীমার নিচে বসবাসকারী হাজার হাজার মানুষ পড়ছে চড়ম বিপাকে। অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা রমজানকেপুঁজি করে বরাবরের মতোই মেতে উঠেছে দাম বাড়ার খেলায়। সরকার ব্যবসায়ীদেরসাথে দফায় দফায় বৈঠক করেও সামাল দিতে পারছে না দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি।তবে সরকারের দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের ব্যর্থতা ও ব্যবসায়ীদের লোভ সবকিছুরমূল্য দিতে হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের। চিনি ও ভোজ্য তেল ছাড়া প্রায় সব জিনিসের দামই বৃদ্ধি পেয়েছে।

বর্তমান সরকারের আমলে গত বছরও রমজানে পণ্যমূল্য ছিলো অস্থিতিশীল। এবারও পরিস্থিতি তেমন।খুচরা বাজারে প্রতি কেজি সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১১২ থেকে ১১৮ টাকা। একলিটার বোতলজাত তেল বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকার ওপরে। অথচ সরকার নির্ধারিত দামঅনুযায়ী এক লিটার সয়াবিন বিক্রি করার কথা ১০৯ টাকা। সরকার নির্ধারিত দামেরচেয়ে প্রতি লিটার সয়াবিন ১৬ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। কয়েক দফা বেড়ে এখনপ্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৪৪ থেকে ৪৬ টাকায়। ভালো মানের ছোলা কিনতে হলে কেজিতে আরো ১০ থেকে ১২ টাকাবেশি গুনতে হবে। বেড়েছে সব ধরনের ডালের দাম। প্রতি কেজি দেশি মসুরির ডাল ৯৬থেকে ৯৮ টাকা টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজ ৩৬থেকে ৪০ টাকা এবং আমদানিকৃত পেঁয়াজ ৩২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ৩৬থেকে ৪০ টাকা এবং ঢেঁড়স ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ভেন্ডি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, ঝিঙে ২৪ থেকে ৩০ টাকা, পটল ২৫ থেকে ৩০ টাকা, আলু ২০ থেকে ২২টাকা, কাঁচা মরিচের কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, রসুন ৮০ থেকে ১শ টাকা, আদা ২৫০ থেকে ৩শ টাকা,বরবটি ৪০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

ইফতারি সামগ্রী:পিয়াজু ২ থেকে ৫, আলুরচপ ২ থেকে ৫, বেগুনী ২ টাকা, ছোলার ঘুগুনির কেজি ১শ টাকা, জিলাপি ৮০ টাকা, শাহী জিলাপি ১শ টাকা, কলা ১২ থেকে ২৪ টাকা হালি, আপলের কেজি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা, আঙুর ১৮০ থেকে ২শ টাকা, বাঙ্গী মান ভেদে ৪০ টাকা থেকে ৬০ টাকা, পেয়ারার কেজি ৬০ থেকে ৭০টাকা, আনারস ৩০ থেকে ৬০ টাকা, খেজুরের কেজি প্রকার ভেদে ৮০ টাকা থেকে ৬৫০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।