যৌতুকের দাবিতে পিতার বিরুদ্ধে শিশুসন্তান কেড়ে নেয়ার অভিযোগ

 

স্টাফ রিপোর্টার: যৌতুকের দাবিতে মা রিনার কাছ থেকে শিশুসন্তান কেড়ে নিয়ে গেছে পিতা জিয়া। পিতার অভিযোগ শিশুসন্তান রেখে স্ত্রী পালিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ৩০ জুন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। এ বিষয়ে গত ৩ জুলাই দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এ সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে রিনা বলেছেন, গত ২৮ জুন তাদের সন্তান সাঈদ আজমল রনো ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ৩০জুন ডা. ছাড়পত্র দিয়ে কিছু ওষুধ লিখে দেন। জিয়া হাসপাতাল চত্বর থেকে স্ত্রী রিনাকে পিতার বাড়ি থেকে টাকা এনে দিতে বলে। রিনা টাকা আনতে অস্বীকৃতি জানালে জিয়া মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে জিয়ার সাথে থাকা অজ্ঞাত ৪/৫ জনের সহযোগিতায় রিনার কাছ থেকে রনোকে ছিনিয়ে নেয় জিয়া। রিনা অভিযোগ করে বলে, টাকা দিলে ছেলে পাবি, না দিলে বাড়িতেও উঠতে পারবি না। এ বলে ছেলে রনোকে নিয়ে চলে যায়। সে থেকে আমি পিতার বাড়ি জাফরপুরে অবস্থান করছি। এ সুযোগে সাংবাদিকের কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়নের জাফরপুর পার হাউজপাড়ার গ্রামের মৃত রেজাউল হকের মেয়ে রেক্সনা খাতুন রিনার দু বছর আগে বিয়ে হয় শঙ্করচন্দ্র হাসপাতালপাড়ার মোবারক মণ্ডলের ছেলে জিয়াউর রহমান জিয়ার সাথে। বিয়ের পর থেকে জিয়া বিভিন্ন সময় যৌতুকের দাবিতে রিনার ওপর নির্যাতন চালিয়ে আসছিলো। এক পর্যায়ে রিনার মা মেয়ের সুখের কথা ভেবে ১ লাখ টাকা ও ঘরের আসবাবপত্র দেন জামাইকে। বছর ঘুরতে না ঘুরতে রিনার কোলজুড়ে আসে সন্তান। তার নাম সাঈদ আজমল রনো। রনোর বয়স যখন ৫ মাস সে সময় জিয়া তার স্ত্রী রিনাকে যৌতুকের দাবি তুলে। যৌতুক দিতে না পারায় গত ২৬ জানুয়ারি রিনাকে তালক দেয় জিয়া। পরে জিয়া নিজের ভুল বুঝতে পেরে শঙ্করচন্দ্র ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান ও গণমান্য ব্যক্তিদের সহযোগিতায় গত ১ মে আবার রেক্সনা খাতুন রিনাকে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা দেন মোহর ধার্য্য করে পুনরায় দ্বিতীয় বিয়ে করে। বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই আবার যৌতুকের দাবি তুলে নির্যাতন চালাতে থাকে। এবার যৌতুকের দাবি ছেলেকে নিয়ে গেছে। গত বৃহস্পতিবার রিনা চুয়াডাঙ্গা সদর থানা অভিযোগ করলে গতকাল শুক্রবার সদর থানা পুলিশ সাথে নিয়ে রিনা তার সন্তাকে ফিরিয়ে আনতে গিয়ে ব্যর্থ হয়। এ বিষয়ে রিনা খাতুন তার সন্তান ফিরে পেতে মানবাধিকার সংস্থার হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।