যেসব পণ্যের দাম কমতে পারে

 

স্টাফ রিপোর্টার: প্রস্তাবিত বাজেটে সম্পূরক শুল্কহার ও মূল্য সংযোজন কর (মূসক) কমানোর প্রস্তাবে কমতে পারে ওষুধ, প্লাস্টিক দ্রব্য, সকল প্রকার পার্টিকেল বোর্ড, পোশাক, টুথব্রাশ, ডায়াপার, স্যানিটারি ন্যাপকিন, খেলনা, বিভিন্ন ধরনের চকলেট, প্লেয়িং কার্ড, তথ্য প্রযুক্তির সরঞ্জাম, অগ্নি নির্বাপণ সামগ্রী, আসবাব, নবায়নযোগ্য জ্বালানি সামগ্রী ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সামগ্রী প্রভৃতি।

ওষুধ: হেপাটাইটিস-সিসহ বিভিন্ন ধরনের ওষুধের কাঁচামাল আমদানির যে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ধার্য রয়েছে তা প্রত্যাহারের প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া ওষুধ শিল্পের কাঁচামালের ওপর থেকে শুল্ক কমানোরও প্রস্তাব করা হয়েছে বাজেটে।

প্লাস্টিক দ্রব্য: বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিক শীট, ফিল্ম ফয়েল প্রভৃতির উপর থেকে সম্পূরক শুল্কহার ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। একইভাবে ছাপানো আকারে অন্যান্য প্লাস্টিকের তৈরি সেলুলার, ভলকানাইজড, মেটালাইজড বা একই রূপ প্লাস্টিকের ক্ষেত্রে শুল্কহার ৪৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। আর প্লাস্টিকের তৈরি বাক্স, কেইস, ক্রেট এবং সমজাতীয় পণ্যের ক্ষেত্রে শুল্কহার ৬০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া প্লাস্টিকের কিচেনওয়্যার ও দরজা-জানালার ক্ষেত্রে একই হারে কমানো হয়েছে।

খেলনা সামগ্রী: বাংলাদেশের খেলনা প্রস্তুত শিল্পের সামগ্রির সম্ভাবনার কথা বিবেচনা করে এ শিল্পের জন্য ব্যবহূত উপকরণ আমদানীর ওপর থেকে আমদানী শুল্ক ও মূসক প্রত্যাহারের প্রস্তাব করা হয়েছে। উপকরণ আমদানির ক্ষেত্রে ১০ থেকে ২৫ শতাংশ এবং ১৫ শতাংশ মূসক বর্তমানে ধার্য রয়েছে।

পোশাক: সাঁতারের পোশাক ছাড়া পুরুষ, মহিলা, শিশুদের সকল প্রকার পোশাক, অন্তর্বাস ও সমজাতীয় পোশাকের ক্ষেত্রে সম্পূরক শুল্কহার ৬০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

পার্টিক্যাল বোর্ড: সকল প্রকার পার্টিকেল বোর্ড, হার্ডবোর্ড, ফাইবার বোর্ড, প্লাইউড প্রভৃতির ওপর থেকে শুল্কহার ১৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ করতে বাজেটে প্রস্তাব করা হয়েছে।

ম্যাচ: ম্যাচ কাঠি প্যাকিংয়ের জন্য ডুপ্লেক্স আউটার শেল ব্যতীত নন-করোগেটেড পেপার ও পেপার বোর্ডের তৈরি ফোল্ডিং কার্টুন, বাক্স ও কেস প্রভৃতির ক্ষেত্রে শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ করার কথা বলা হয়েছে।

স্যানিটারি সামগ্রী: টয়লেট পেপার, টিস্যু পেপার, টাওয়েল বা ন্যাপকিন পেপার, গৃহস্থালি, স্যানিটারি বা অনুরূপ কাজে ব্যবহূত পণ্যের ক্ষেত্রে শুল্ক ৪৫ শতাংশ কমিয়ে ৩০ শতাংশের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। একইভাবে স্যানিটারি টাওয়েল, বেবি ডায়াপার প্রভৃতির উপর থেকে শুল্ক ৬০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

টুথব্রাশ: ডেন্টাল প্লেট ব্রাশসহ সকল প্রকার টুথ ব্রাশের ক্ষেত্রে শুল্কহার কমানো হয়েছে। বাজেটে শুল্ক হার ২০ শতাংশের প্রস্তাব করা হয়েছে। রফতানিমুখী পোশাক শিল্পের জন্য অগ্নিনির্বাপণ পণ্যের উপর থেকে শুল্ক-কর কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া ভিডিও কনফারেন্স ডিভাইস। দাম কমতে পারে এলসিডি ও এলইডি ডিভাইস ও লাইটের।

নবায়নযোগ্য জ্বালানি সামগ্রী: বিদ্যুত সাশ্রয়ী ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতের পণ্যসমূহের প্রতি যে কাস্টমস ডিউটি ছিল তা প্রত্যাহারের প্রস্তাব করা হয়েছে। একইসঙ্গে ভূমিকম্প ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের উপর থেকে শুল্কহার প্রত্যাহার করার প্রস্তাব করা হয়েছে বাজেটে।

সাবান-ডিটারজেন্ট: সাবান ও ডিটারজেন্ট তৈরিতে ব্যবহূত পণ্য আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে।

মশার কয়েল-এরোসল: মশার কয়েল, এরোসলের ওপর সম্পূরক শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করা হয়েছে।

হাঁস-মুরগি ও গবাদি পশুর খাদ্য: হাঁস-মুরগি ও গবাদি পশুর খাদ্য উত্পাদনে ব্যবহার্য কাঁচামালের ওপর শুল্ক অব্যাহতি প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।

এদিকে তথ্য প্রযুক্তি সরঞ্জাম, ১২০ এমভির বেশি ট্রান্সফরমার প্রভৃতি সামগ্রীর উপর থেকে শুল্কহার কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।