যুবলীগ নেতা স্বপনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম : বোমা হামলা

চুয়াডাঙ্গার ইসলামপাড়ায় ভাড়াবাড়ির বেডরুমে ঢুকে একদল সশস্ত্র দুর্বৃত্তের তাণ্ডব

 

স্টাফ রিপোর্টার: ঘরের ভেতরে ঢুকে যুবলীগ নেতা চুয়াডাঙ্গা ইসলামপাড়ার স্বপনকে খাটের ওপর এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। গভীররাতে একদল দুষ্কৃতী ঘরে ঢুকে এ তাণ্ডব চালায়। তারা যাওয়ার সময় দুটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে বোমার আলামত ও ঘরের ভেতর থেকে সন্ত্রাসীদের ফেলে যাওয়া একটি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে স্বপন বলেছেন, আমি হামলাকারীদের চিনি; কিন্তু এখন নাম বলবো না।

পুলিশ ও এলাকাসূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের পৌর কলেজপাড়ার জামাত আলীর ছেলে রুহুল আমীন স্বপন (৩০) ইসলামপাড়ার তেলব্যবসায়ী। তিনি একইপাড়ার আব্দুর রহমানের বাড়িতে ভাড়াটে হিসেবে থাকেন। গতরাতে ওই বাড়িতেই তিনি ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত ১২টার দিকে ৭/৮ জনের একদল দুর্বৃত্ত স্বপনের নাম ধরে ডাকাডাকি করতে থাকে। এ সময় স্বপনের কোনো সাড়া না পেলে দুর্বৃত্তরা একটি শক্তিশালী বোমা নিক্ষেপ করে বাড়ির সামনে। এ সময় ঘরের দরজা খুললে সাথে সাথে কয়েকজন অস্ত্রধারী দুর্বৃত্ত জোরপূর্বক ঘরে ঢুকে স্বপনকে উপর্যুপরি কোপাতে থাকে। এতে তার দু পা ও হাত কেটে ক্ষতবিক্ষত হয়। স্বপনের আর্তচিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে অবস্থা বেগতিক দেখে আরেকটি বোমা মেরে সটকে পড়ে হামলাকারীরা। সাথে সাথে খবর দেয়া থানা পুলিশে ও দমকল বাহিনীতে। দমকল বাহিনীর সদস্যরা রাতেই স্বপনকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেন। তার ক্ষত স্থানে বেশ কিছু সেলাই দেয়া হয়েছে। রাতেই কর্তব্যরত চিকিৎসক সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. মাসুদ রানা জখম স্বপনকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার করেন। রাতেই স্বপনকে ঢাকায় নেয়ার প্রক্রিয়া করছিলেন তার নিকটাত্মীয়রা।

ঘটনা শোনার সাথে সাথে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) এএইচএম কামরুজ্জামান খান ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার বর্ণনা শোনেন এবং বোমার আলামত ও ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেন। হাসপাতালে নেয়ার পর স্বপন সাংবাদিকদের জানান, তিনি হামলাকারীদের চেনেন। তবে তাদের নাম বলতে চাননি তিনি। পুলিশ প্রকৃত হামলাকারীদের নাম-ঠিকানা উদ্ধারের জন্য জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।