মেহেরপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বশীর আহাম্মেদের বিরুদ্ধে স্বেচ্চাচারিতাঅনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ

 

মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বশীর আহাম্মেদ ও সহকারী কমান্ডার (সাংগঠনিক) আমিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে স্বেচ্চাচারিতা, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। মেহেরপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার মো. মতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত পত্রে ওই অভিযোগ করা হয়েছে।

লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, সম্প্রতি মেহেরপুর জেলা পরিষদের মাধ্যমে ৬০ জন দুস্থ ও গরিব মুক্তিযোদ্ধাকে ৩ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়। অভিযোগকারী দাবি করেন, ৩ উপজেলা কামান্ডের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা তৈরি করে যেকোনো অর্থ বিতরণ করার কথা। তার তোয়াক্কা না করে জেলা কমান্ডার বশীর আহাম্মেদ সম্পূর্ণ অনিয়ম ও স্বেচ্চাচারিতার মাধ্যমে ৬০ জন মুক্তিযোদ্ধার তালিকা প্রস্তুত করে জেলা পরিষদের টাকা উত্তোলনের সহযোগিতা করেন। এক্ষেত্রে জেলা কমান্ডার তার বিরোধী প্যানেলের কোনো কমান্ডার ও সদস্যের নাম তালিকাতে অন্তর্ভুক্ত করেননি। তিনি বলেন, ওই টাকা শুধুমাত্র গরিব ও দুস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের পাওনা। কিন্তু জেলা কমান্ডার তা না করে দালালের মাধ্যমে তালিকায় লিখিত মুক্তিযোদ্ধাদের নিকট থেকে মাথাপিছু এক হাজার টাকা করে অবৈধ অর্থ গ্রহণ করেছেন। আর তার একাজে সহযোগিতা করেছেন সহকারী কমান্ডার (সাংগঠনিক) আমিরুল ইসলাম।

অভিযোগকারী অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছেন, তালিকায় লিখিত মুক্তিযোদ্ধারা ১৬ হাজার ও ৯ হাজার ৭শ’ টাকা করে রাষ্ট্রীয় সম্মান পান। এছাড়া তারা রেশন ও বিদ্যুত সুবিধাভোগী মুক্তিযোদ্ধা। তিনি আরো বলেন, জেলা কমান্ডারের বিরুদ্ধে ইতঃপূর্বে এধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, এধরনের সেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতি চলতে থাকলে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে?অভিযোগলিপিতে জেলা কমান্ডার বশীর আহম্মেদের জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত থাকার অভিযোগও তোলা হয়েছে।

অভিযোগকারী জেলা কমান্ডারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে মেহেরপুর জেলা পরিষদ প্রশাসক, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়, চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল, মেহেরপুর-১ ও ২ আসনের সংসদ সদস্যবৃন্দ ও জেলা প্রশাসক, মেহেরপুর বরাবর অভিযোগ পাঠিয়েছেন।

এদিকে গতরাতে মোবাইলফোনে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বশীর আহম্মেদেও সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি মোবাইলফোন রিসিভ করেননি।

এব্যাপারে জেলা পরিষদ প্রশাসক অ্যাড. মিয়াজান আলী জানান, অভিযোগপত্র পেয়েছি। মুক্তিযোদ্ধাদের ৬০ জনের নামের তালিকার বিপরীতে ৬০ জনকেই ৫ হাজার টাকা করে চেক প্রদান করা হয়েছে। কোনো নগদ টাকা প্রদান করা হয়নি। চেক প্রদানকালে মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক মাহমুদ হোসেন অতিথি হিসেবে সেখানে উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে।