মেহেরপুর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের স্বাক্ষর জাল ও সীল ব্যবহার করে টাকা উত্তোলন

২ কর্মচারর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের : প্রধান আসামি পলাতক

 

মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. নাজমুস সাদাত মেহেরপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বৈজয়ন্ত বিশ্বাসের স্বাক্ষর জাল ও তার সীল ব্যবহার করে মেহেরপুর রূপালী ব্যাংক লি. থেকে টাকা উত্তোলন করায় মেহেরপুর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা হয়েছে। ওই মামলায় চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হিসাব শাখার এমএলএসএস মো. আব্দুল হালিমকেও আসামি করা হয়েছে। মামলার বাদী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. কামরুল ইসলাম।

মামলার বাদী বেঞ্চ সহকারী মো. কামরুল ইসলামের অভিযোগ, বেঞ্চ সহকারী মো. নাজমুস সাদাত মেহেরপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বৈজয়ন্ত বিশ্বাসের স্বাক্ষর জাল ও তার সীল ব্যবহার করে মেহেরপুর রূপালী ব্যাংক লি. থেকে দেড় লাখ টাকার ঋণ উত্তোলনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করেন। এমএলএসএস আব্দুল হালিম জামিনদার হিসেবে স্বাক্ষর করেন। বেঞ্চ সহকারী মো. নাজমুস সাদাত ব্যাংক থেকে দেড় লাখ টাকাও তোলেন। পরে মেহেরপুর রূপালী ব্যাংক লি.’র ব্যবস্থাপক মিজানুর রহমান পত্র মারফত সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বৈজয়ন্ত বিশ্বাসকে অবহিত করলে বিষয়টি জানাজানি হয়। ওই ঘটনায় বেঞ্চ সহকারী মো. নাজমুস সাদাতকে ১নং ও এমএলএসএস মো. আব্দুল হালিমকে ২ নং আসামি করে একটি পেনাল কোড মামলা করা হয়। যার ধারা ৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১১৪। ওই মামলায় আসামি ২ জনের বিরুদ্ধে আটক আদেশ দেয়া হয়েছে। মো. নাজমুস সাদাত বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। এছাড়া অপর আসামি আব্দুল হালিম জামিনে রয়েছেন।