মেহেরপুরের শিমুলতলা গ্রামের গৃহবধূকে আটকে রেখে নির্যাতন

 

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: মেহেরপুর বাড়াদীর গৃহবধূ এক কন্যা সন্তানের জননীকে আটকে রেখে অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্বামী শাশুড়ি ও ননদ মিলে যৌতুকের দাবিতে ঘরে আটকে রেখে নির্যাতন করে। সংবাদ পেয়ে নির্যাতিত নারীর মা ও বোন সেখানে গেলে তাদেরও আটকে রেখে নির্যাতন করে। বাড়াদী ফাঁড়ি পুলিশ তাদের উদ্বার করে হারদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।

অভিযোগে জানা গেছে, গত ১০ বছর আগে আলমডাঙ্গার জেহালা ইউনিয়নের আক্তার হোসেনের মেয়ে সিমা খাতুনের (৩০) বিয়ে হয় পার্শ্ববর্তী জেলা মেহেরপুরের বাড়াদী ইউনিয়নের শিমুলতলা গ্রামের মহনের ছেলে মনিরুলের সাথে। তাদের সংসারে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর যৌতুকের ৪০ হাজার টাকা ও ঘরের ফার্নিচার পরিশোধ করে। কিছুদিন আগে সিমার স্বামী বিদেশ যাবার জন্য বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনতে চাপ দিতে থাকে। কয়েকদফা মারধোরও করে। টাকা আনতে পিতা মাতার নিকট আসলে দরিদ্র পিতার পক্ষে টাকা দেয়া সম্ভব হয়নি। সেই থেকে বাবার বাড়িতে থেকে যায় সে। সিমার স্বামীর পক্ষের লোকজন পুটিমারী গ্রামে উপস্থিত হয়ে নির্যাতন করবে না বলে ক্ষমা চেয়ে একটি অঙ্গিকার নামা লিখে স্বাক্ষর করে দিয়ে যায়। কিছুদিন ভালো থাকার পর আবারও নির্যাতন করতে থাকে। ৭ দিন ধরে সিমাকে ঘরে আটকে রেখে তার স্বামী মনিরুল, শাশুড়ি মনোয়ারা ও ননদ আরিফা অমানুষিক নির্যাতন চালায়। সংবাদ পেয়ে গত শনিবার বেলা ১টার দিকে সিমার মা সকিনা বেগম ও বোন শিখা খাতুন সেখানে গেলে তাদেরও আটকে মারধোর করে। অভিযোগ পেয়ে বাড়াদী ফাঁড়ি পুলিশ ওই রাতে তাদের উদ্বার করে। স্থানীয় এক সাংবাদিকের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে সকালে হারদী স্বাস্থ কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।