মেহেরপুরের যাদবপুরের তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে সৃষ্ট উত্তেজনার অবসান

 

স্টাফ রিপোর্টার: মেহেরপুরের যাদবপুর গ্রামে মঙ্গলবার দুপুরে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে বুড়িপোতা গ্রামবাসীর সাথে চলমান উত্তেজনার অবসান হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে যুবলীগ নেতৃবৃন্দ ও জনপ্রতিনিধিদের মধ্যস্থতা বৈঠকে বিষয়টি মীমাংসা হয়েছে।

জেলা যুবলীগের সভাপতি সাজ্জাদুল আনাম, কোষাধ্যক্ষ মাহফিজুর রহমান রিটন, বুড়িপোতা গ্রামের মেম্বার শরিফ উদ্দীনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে বুড়িপোতা গ্রামের প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক বসে যাদবপুর লাল্টু মিয়ার ‘স’ মিলে। শান্তিপূর্ণ আলোচনা শেষে মেহেরপুরের জনিসহ কয়েক যুবকের হাতে হাত মিলিয়ে দেয়া হয় শরিফ উদ্দীন মেম্বারসহ বুড়িপোতা গ্রামের লোকজনের। এ ঘটনা নিয়ে পরবর্তীতে আর কোনো ঘটনা যাতে না ঘটে সে দিকে নজর রাখার জন্য উভয় পক্ষের প্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানান সাজ্জাদুল আনাম।

ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে স্থানীয়রা দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে জানিয়েছেন, সোমবার সকালে যাদবপুর ব্রিজের কাছ থেকে বুড়িপোতা সড়কে সিরিয়াল মেনে ভ্যান চালানো নিয়ে বুড়িপোতা গ্রামের ভ্যানচালক রাসেল হোসেন ও আখের আলীর মধ্যে দ্বন্দ্ব বাধে। আখের আলী মেহেরপুরের জনি নামের এক যুবকের সাথে থানায় মামলা করতে যায়। বিষয়টি জানতে পেরে শরিফ উদ্দীন মেম্বার মামলা করতে নিষেধ করেন। জনি মেম্বারকে বলেন, গ্রামে বসে সুষ্ঠু সমাধান করে দিবেন। সোমবার বিকেলে বুড়িপোতা গ্রামে সালিসসভা ডাকা হয়। সমাধান হয়। ভ্যান চালকদের ওই গন্ডগোলের জের ধরে সোমবার বিকেলে বুড়িপোতা গ্রামের পল্লী চিকিৎসক বাবুকে যাদবপুর এলাকায় হুমকি দেয় মেহেরপুরের কয়েকজন যুবক। এতে বুড়িপোতা গ্রামের মানুষের সাথে যুবকদের দ্বন্দ্ব বিরোধ বাড়তে থাকে। কথা লাগালাগিতে বিষয়টি জটিল হতে থাকে। এর জের ধরেই মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে বুড়িপোতা গ্রামের সিরাজুল ইসলামকে যাদপুর গোরস্থানের কাছে আটক করেন মেহেরপুরের কয়েকজন। এ সময় তার ব্যবহৃত একটি ফ্রিডম মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। ঘটনার প্রতিবাদ ও দোষীদের প্রতিরোধ করতে বুড়িপোতা গ্রামের মানুষ সংঘবদ্ধ হয়ে যাদবপুর গ্রামের দিকে রওনা হয়। গ্রামের প্রবেশের আগেই মেহেরপুর সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াজুল ইসামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল তাদের নিবৃত্ত করে ফিরিয়ে দেন।