মেহেরপুরের চাঁদবিল গ্রামে গভীররাতে ভয়াবহ টর্নেডোর আঘাত : মহিলাসহ অনেকেই আহত

ঝড়ে শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত : অসংখ্য পরিবার আশ্রয়হীন

 

আমঝুপি প্রতিনিধি: মেহেরপুরের চাঁদবিল গ্রামে ভয়াবহ টর্নেডো আঘাত হেনেছে। গতরাত ১টার দিকে ১০ মিনিট স্থায়ী এ টর্নোডোর আঘাতে শতাধিক ঘরবাড়ি ও দোকানপাট উড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে। উপড়ে পড়েছে অসংখ্য গাছ। গ্রামের অসংখ্য পরিবার আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে। পুরো গ্রামজুড়ে নেমে এসেছে হাহাকার। ক্ষতি হয়েছে কৃষকের গাছের বাগান ও ফসলের। বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

গ্রামসূত্রে জানা গেছে, মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি ইউনিয়নের চাঁদবিল গ্রামে বৃষ্টিপাতের এক পর্যায়ে গতরাত ১টার দিকে প্রচণ্ড বেগে টর্নেডো আঘাত হানে। টর্নেডোর ছোবলের সাথে সাথে গ্রামের অনেক বাড়িতে শুরু হয় আর্তনাদ। ১০ মিনিট স্থায়ী এ ঝড়ে শতাধিক কাঁচা ও টিনের বাড়ি বিধ্বস্ত হয়। কারো কারো বাড়ির টিন নারকেল গাছে গিয়ে বেধে আছে। গ্রামের বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে। উপড়ে পড়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। ফলে গ্রামটি বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন হয়ে অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে। গ্রামের হালদারপাড়া থেকে স্কুলপাড়া পর্যন্ত বাড়ি ঘরের করুণ পরিণতি হয়েছে। আব্দুল মাজেদ, মতিয়ার, আনোয়ার হোসেন, নবি, মনির হাসান, ওমর আলী, মোজাম্মেল হক, আকতার আলী, বাবলু, রনি, জিনারুল, মনির উদ্দিন, হাবিবুর, মিল্টু, হায়াত আলী, মানিক, জিন্নাত, খুদিরাম, সন্তোষ কুমার, রাবন হালদার, কুদ্দুস আলী, আনারুল, ইসমাইল, আরজ আলী, কাশেম আলীসহ গ্রামের অনেক দরিদ্র মানুষ তাদের ঘরবাড়ি উড়ে যাওয়ায় আশ্রয়হীন ও নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। গ্রামের কয়েকটি আমবাগান ঝড়ে ধরাশায়ী হয়ে পড়েছে। ঝড়ে টিন উড়ে, ঘরের চাল পড়ে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে সবার নাম পরিচয় জানা না গেলেও বলরাম হালদারের স্ত্রী গীতা রানী হালদার (৪০), কাশেম আলীর স্ত্রী আনোয়ারা খাতুন (৪৫), গোপাল হালদারের ছেলে নেপাল হালদার (৪৬) ও কার্তিক হালদারের ছেলে রাবন (১০) গুরুতর আহত হয়েছেন। ঘটনার পরপরই মেহেরপুরের দমকল বাহিনীর একটি টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। একই সাথে মেহেরপুরের পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার কাজে সহযোগিতা করেন। এ ঝড়ে লাখ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হলেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তা নির্দিষ্ট করে নিরুপন করা সম্ভব হয়নি।