মুখোমুখি শাসক দলের এমপি ও কেন্দ্রীয় নেতারা

 

স্টাফ রিপোর্টার: আগামী নির্বাচনে দলের মনোনয়ন ও ফিল্ড ওয়ার্ককে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ দলীয় ডজন তিনেক সাংসদ এবং সংসদ সদস্য নন এমন কিছু কেন্দ্রীয় নেতা দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছেন। এছাড়াও কিছু আসনে এক কেন্দ্রীয় নেতার মুখোমুখি আরেক কেন্দ্রীয় নেতা। এ নিয়ে সংগঠনে তৈরি হয়েছে নানা ধরনের সংকট ও জটিলতা। বেগতিক পরিস্থিতিতে অনেকে এখন সরাসরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্বারস্থ হচ্ছেন। জানা যায়, বর্তমান সাংসদ ও কেন্দ্রীয় নেতা উভয়ই নৌকার মনোনয়ন নিয়ে আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে চান। তাই নিজস্ব বলয়ের নেতাকর্মীদের নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করছেন; চালাচ্ছেন নির্বাচনী আগাম প্রচারণা। সাংসদ ও কেন্দ্রীয় নেতাদের এ ধরনের কর্মকাণ্ডে অন্তত ৩৩টি আসনে সংগঠনের বিভক্তি ও কোন্দল কয়েকগুণ বেড়েছে। অনেক স্থানে সংঘর্ষের আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত বছরের ডিসেম্বর থেকে দ্বন্দ্ব-কোন্দল নিরসন করতে জেলায় জেলায় সফর করেন কেন্দ্রীয় নেতারা। পাশাপাশি ঢাকায় মন্ত্রী, এমপি, জেলা নেতাদের ডেকে এনে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেন তারা। তবে এর মধ্যেই ৩০টি আসনে নির্বাচনী ফিল্ড ওয়ার্ক ও মনোনয়ন কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে সাংসদদের ঠা-া লড়াই চলছে। পাশাপাশি অনেক আসনে সাংসদ কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে নির্বাচনী যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছেন স্থানীয় নেতারা। এছাড়া আগামী নির্বাচনের মনোনয়ন ও জেলায় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে দলের ৭৮টি সাংগঠনিক জেলার ৪০টির কোন্দল খুব ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। দিন দিন সমস্যা আরও বাড়ছে। তাই সময় থাকতে সম্ভাব্য ও গ্রহণযোগ্য সমাধান না করতে পারলে আগামী নির্বাচনে দলে বড় ধরনের বিপর্যয় হতে পারে বলে মনে করছেন নেতারা। তৃণমূলের কোন্দল প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তৃণমূলে কোন্দল নিরসনে কেন্দ্রীয় নেতারা জেলা সফর করছেন। বেশি বিরোধপূর্ণ জেলাগুলোকে ঢাকায় ডাকা হচ্ছে। তাদের কথা শুনছেন। সমস্যা সমাধান করে এমপি নেতাদের মিলিয়ে দিচ্ছেন। তিনি বলেন, কোন্দল অনেকটাই কমে গেছে। বাকিগুলোও দ্রুততম সময়ে মিটিয়ে ফেলা হবে। তবে ওবায়দুল কাদেরের এ উদ্যোগ তেমন সফল হয়নি বলে খোঁজ নিয়ে জানা যায়। বিভিন্ন জেলার কোন্দল ও এমপি-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আগের মতোই আছে।

এদিকে দলের হাইকমান্ড থেকে বলা হয়েছে যাদের এলাকায় অবস্থান ভালো নয়, জনপ্রিয়তা নেই তারা আগামী নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন পাবেন না। তাই বর্তমান সাংসদ, কেন্দ্রীয় নেতা ও অন্যান্য প্রার্থী এলাকাতে জোর নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন ও স্থানীয় নেতাদের নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করছেন শক্তিশালী অবস্থান তৈরির জন্য। পাশাপাশি জনসাধারণকে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে বোঝাতে চেষ্টা করছেন মনোনয়ন পেয়ে জয়লাভ করতে পারলে বর্তমান সাংসদের চাইতে তিনি বেশি কাজ করবেন। অনেক আসনে এমপিদের বিগত সময়ের দুর্নীতি, অনিয়ম, অদক্ষতা তুলে ধরে এলাকার উন্নয়ন করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। অনেক কেন্দ্রীয় নেতা এলাকায় প্রচার করছেন, উন্নয়নে বাজেটের জন্য বসে থাকা লাগবে না, তাদের লবিং কাজে লাগিয়ে বাইরের অর্থাৎ দাতা সংস্থার ফান্ড এনে এলাকার বৃহৎ উন্নয়ন করবেন যা স্থানীয় নেতৃত্ব পর্যায়ের এমপিদের পক্ষে সম্ভব নয়। এছাড়া শুধু এলাকায় নয়, ঢাকার চাকরি দিতেও তারা সক্ষম এ বিষয়টিও প্রচার করছেন।

এদিকে কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে সাংসদদের বিরোধের কারণে স্থানীয় সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। নেতাকর্মীদের একটি অংশ সাংসদদের বলয়ে থেকে সুবিধা নিচ্ছেন। আরেকটি অংশ ভাবছেন, স্থানীয় নেতা সাংসদের চাইতে দলে কেন্দ্রীয় নেতার অবস্থান ভালো। দল ক্ষমতায় না থাকলেও কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে সম্পর্ক কাজে লাগবে। আওয়ামী লীগের স্থানীয় পর্যায়ের এক নেতা বলেন, তার এলাকার সাংসদ জেলা পর্যায়ের নেতা। তিনি জেলার বাইরে কোনো কর্মীকে চাকরি দেয়ার ক্ষমতা রাখেন না। কিন্তু এলাকার একজন কেন্দ্রীয় নেতা আছেন যিনি সাংসদ না হলেও দেশের যে কোনো জায়গায় চাকরি দেয়ার ক্ষমতা রাখেন এবং দিয়েছেন। তাই কেন্দ্রীয় নেতার অনুসারী বাড়ছে এবং সবাই চায় তিনিই যেন আগামীতে নৌকার মনোনয়ন পান। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যেসব কেন্দ্রীয় নেতা নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন, দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক দীপু মনির চাঁদপুর-৩ আসনে এবার মনোনয়ন চান ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী ও কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাড. নজিবুল্লাহ হিরু। বর্তমান সাংসদ ওয়ারেছ হোসেন বেলালের নেত্রকোনা-৫ আসনে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন মনোনয়ন চান। চট্টগ্রাম-৯ আসনে নির্বাচন করতে চান আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে মহিবুল হাসান নওফেল। এই আসনের বর্তমান সাংসদ জাপা নেতা জিয়াউদ্দিন বাবলু।

শরীয়তপুর-২ আসনে ডেপুটি স্পিকার শওকত আলীর আসনে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম। সিলেট-১ আসনের এমপি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। সম্প্রতি আওয়ামী লীগের বিভাগীয় সভায় ওই আসনে নিজের প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ। এর পর থেকে অর্থমন্ত্রীর অনুসারী নেতাকর্মীরা মারমুখী অবস্থানে রয়েছেন। মাদারীপুর-৩ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের আসনে মুখোমুখি দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, সাবেক মন্ত্রী আবুল হোসেন ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন। শরীয়তপুর-১ আসনে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হকের মুখোমুখি কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য ইকবাল হোসেন অপু। মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাশের আসনে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ফজিলাতুন্নেছা ইন্দিরা। টাঙ্গাইল-১ আসনের এমপি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক। তিনি এবারও মনোনয়ন চান। এ আসন থেকে দলের আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী ড. আবদুর রাজ্জাকের বোন ও দলের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা। ভাইবোনের মধ্যেই নির্ধারণ হবে নৌকার মাঝি কে।

গোপালগঞ্জ-১ আসনের এমপি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কর্নেল মুহম্মদ ফারুক খান (অব.)। এ আসনে দলের মনোনয়ন চান আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মুকুল বোস। গোপালগঞ্জ-২ আসনের বর্তমান এমপি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। এবারও তিনিই মনোনয়ন পাচ্ছেন বলে নির্বাচনী এলাকার সবাই মনে করেন। তবে এ আসনে এবার মনোনয়ন চাইতে পারেন দলের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। ফরিদপুর-১ আসনের এমপি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান। এ আসনে নৌকাপ্রত্যাশী দলের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য সাবেক এমপি কাজী সিরাজুল ইসলাম। এ ছাড়া ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লিয়াকত সিকদারও এখানে মনোনয়ন চাইতে পারেন।

দিনাজপুর-২ আসনের এমপি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এবারও তিনিই দলের মনোনয়ন পেতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। তবে এ আসনে দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী সতীশ চন্দ্র রায়। নরসিংদী-৫ আসনের এমপি আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু। এ আসনে এবার আওয়ামী লীগের শক্তিশালী প্রার্থী হচ্ছেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সাবেক ছাত্রনেতা এবিএম রিয়াজুল কবির কাওছার।

জামালপুর-৫ আসনের সাংসদ সাবেক ভূমি প্রতিমন্ত্রী রেজাউল করিম হীরা। এখানে মনোনয়ন চান কার্যনির্বাহী সদস্য মারুফা আক্তার পপি। নেত্রকোনা-১ আসনের সাংসদ কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সহ-সভাপতি ছবি বিশ্বাস। এ আসনে মনোনয়ন চান কার্যনির্বাহী সদস্য উপাধ্যক্ষ রেমন্ড আরেং এবং নেত্রকোনা-৩ আসনে সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল নৌকার মনোনয়ন চাইবেন। কুমিল্লা-১০ আসনের সাংসদ পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল (লোটাস কামাল)। এখানে মনোনয়ন চান কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাবেক সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক ড. ইফরান কবির চৌধুরী। কুমিল্লা-১১ আসনে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকের আসনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাম-লীর সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু মনোনয়ন চাইতে পারেন। লক্ষ্মীপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক সাবেক এমপি হারুন অর রশিদ এবং লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে দলের কেন্দ্রীয় কৃষিবিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলি মনোনয়ন চাইবেন। রংপুর-৩ আসনের সাংসদ রংপুর জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক ও ক্রিকেট বোর্ডর পরিচালক অ্যাড. আনোয়ারুল ইসলাম। এই আসনে মনোনয়ন চাইবেন উপদেষ্টা-লীর সদস্য চৌধুরী খালেকুজ্জামান। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও এমপি কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমের মানিকগঞ্জ ২ আসনে মনোনয়ন চান কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাবেক ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক দেওয়ান শফিউল আরেফিন টুটুল। মুন্সীগঞ্জ-১ আসনে শ্রীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সুকুমার রঞ্জন ঘোষ এমপির মুখোমুখি দলের সাবেক কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ডা. বদিউজ্জামান ডাব্লিউ। পিরোজপুর-১ আসনে দলের মনোনয়ন চান আইনবিষয়ক সম্পাদক ও সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক অ্যাড. শ.ম রেজাউল করিম। পটুয়াখালী-১ আসনে দলের মনোনয়ন চাইবেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. আফজাল হোসেন। এ আসনের সাংসদ জাতীয় পার্টির মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার। ভোলা-১ (সদর) আসনে সাংসদ দলের উপদেষ্টাম-লীর সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। এই আসনে মনোনয়ন চান উপদেষ্টা পরিষদের অ্যাড. ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন। সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের এমপি ম ম আমজাদ হোসেন মিলন। এ আসনে দলের মনোনয়ন চান আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. হোসেন মনসুর। যশোর-৫ আসনে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য ও তার ভাই বর্তমান সংসদ সদস্য স্বপন কুমার ভট্টাচার্যের মধ্যে নির্ধারণ হবে নৌকার মনোনয়ন কে পাবেন। ঝিনাইদহ-১ আসনের সাংসদ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুল হাই। এই মনোনয়ন চান সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য কামরুজ্জামানের মেয়ে ও দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য পারভীন জামান কল্পনা। খুলনা-৪ আসনের এমপি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাবেক প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান। এই আসনে আওয়ামী লীগের আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাবেক ছাত্রনেতা এস এম কামাল হোসেন। ময়মনসিংহ-৮ আসনে নির্বাচন করতে চান সাবেক এমপি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শিল্প বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সাত্তার। বর্তমান এ আসনে জাতীয় পার্টির সাংসদ ফখরুল ইমাম। চট্টগ্রাম-১৪ আসনে মনোনয়ন চান উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন।

সূত্র জানায়, সাংসদরা মাঝেমধ্যে এ নিয়ে আলোচনা ও অভিযোগ করছেন দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের প্রবীণ নেতাদের। জানতে চাচ্ছেন তাদের করণীয় এবং সমাধান। তবে প্রবীণ নেতারা তাদের অনুসারী সাংসদদের আপাতত এলাকায় ভালো কাজ করে অবস্থান শক্ত করা ও মনোনয়নের প্রক্রিয়া শুরু হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলছেন।

এদিকে জেলা নেতাদের সাথে এমপিদের বৈরী সম্পর্ক নিরসনের নানা উদ্যোগ বারবার ভেস্তে যাওয়ায় বেশ চিন্তিত আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে যারা তৃণমূলের সমস্যার সমাধান করবেন তাদের সঙ্গে এমপিদের দ্বন্দ্ব তৈরি হওয়ায় তা নিরসন করতে না পারলে চরম প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ আগামী নির্বাচনে চেইন অব কমান্ড ভেঙে দলে বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে অনেকেই মনে করেন। তবে নির্বাচনের আগে দলকে ঐক্যবদ্ধ করতে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।