মারণনেশা হেরোইন রাখার দায়ে মাদককারবারী শিমুলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

চুয়াডাঙ্গা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযান ॥ চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচার শেষে রায়

স্টাফ রিপোর্টার: হেরোইন রাখার দায়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের মুক্তিপাড়ার কাজী শিমুল নামে এক মাদক ব্যবসায়ীর যাবজ্জীবন কারাদ- ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদ-ের আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার বিকেলে জেলা ও দায়রা জজ মোহা. রবিউল ইসলাম আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। দ-িত আসামি হলো- চুয়াডাঙ্গা শহরের মুক্তিপাড়ার মৃত কাজী আকমল হোসেনের ছেলে কাজী শিমুল (২৮)। রায়ের পর কড়া নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে আসামিকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১০ নভেম্বর সন্ধ্যায় মাদকবিরোধী অভিযান চলাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চুয়াডাঙ্গা মুক্তিপাড়ায় বসতবাড়িতে কাজী শিমুল মাদকব্যবসা করছে এমন খবরের ভিত্তিতে গোয়েন্দা পুলিশ ওইবাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে শিমুল পালানোর চেষ্টা করলে ডিবি পুলিশ তাকে আটক করে। এ সময় শিমুলের দেখানো মতে খাটের ওপর তোষকের নিচে মাথার দিকে তল্লাশি করে পলিথিনে মোড়ানো ৪৫ গ্রাম খয়েরি রঙের হেরোইন উদ্ধার করে। যার আনুমানিক মূল্য ৪৫ হাজার টাকা। এ ব্যাপারে জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই মো. ইব্রাহীম আলী বাদী হয়ে ২০১৫ সালের ১০ নভেম্বর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে সদর থানার এসআই তপন কুমার দাস ২০১৫ সালের ৩ ডিসেম্বর কাজী শিমুলকে একমাত্র আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আলোচিত মামলাটির ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য পর্যালোচনা করে আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মোহা. রবিউল ইসলাম মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-১৯৯০’র ১৯(১) টেবিল ১(খ) ধারায় আসামি কাজী শিমুলকে যাবজ্জীবন কারাদ- ও ১০ হাজার টাকা অর্থদ-,  অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদ-ের সাজা প্রদান করেন। দ-িত আসামির এই মোকাদ্দমার হাজতবাস কারাদ-ের মেয়াদ হতে বাদ যাবে। জব্দকৃত আলামত রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে এবং তা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের বিধি মোতাবেক নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আসামিপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট নাজমুল হাসান লাভলু। তিনি জানান, মামলাটি উচ্চ আদালতে ন্যায়বিচারের জন্য আপিল করা হবে। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মহা. শামসুজ্জোহা (পিপি)।