মাদক পাচার ও অবৈধ কর্মকাণ্ডে ভুয়া ঠিকানায় কুরিয়ার ও পোস্ট পার্সেল

স্টাফ রিপোর্টার: অবৈধ কর্মকাণ্ডে ব্যবহার হচ্ছে দেশি-বিদেশি কুরিয়ার সার্ভিসগুলো। নিয়ন্ত্রণহীন এ সার্ভিসে সঠিক তদারকির অভাব এবং সংশ্লিষ্টদের অপরাধে জড়িত থাকার ফলে অপরাধীরা কুরিয়ার সার্ভিসকে অবৈধ পণ্য আনা-নেয়ার মাধ্যম হিসেবে সেগুলো ব্যবহার করছে। দেশের বাইরে বিভিন্ন কৌশলে মাদকের চালান পাঠানোর পাশাপাশি এখন দেশের ভেতরে মাদক আনা-নেয়া করা হচ্ছে। পোস্ট অফিসেও পার্সেল করে কয়েকটি হেকিমি দাঁতের মাজনের নামে দেদারছে পাচার করা হচ্ছে যৌন উত্তেজক ওষুধসহ নেশাজাতীয় দ্রব্য। চুয়াডাঙ্গা ফার্মপাড়ার একটি ইউনানি হেকিমি দাওয়াখানার বিরুদ্ধে অভিযোগের পাল্লা দিন দিন ভারি হয়ে উঠছে।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার (পূর্ব) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর বলেন, ‘কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে হেরোইন চোরাচালানে দেশের ভেতরে একটি বিশাল সিন্ডিকেট কাজ করছে। তারা আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার চোখ ফাঁকি দিতে নানা কৌশল অবলম্বন করছে। আমরা তেমন একটি সিন্ডিকেটকে ধরতে কাজ করছি।’ র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব-২) অভিযানে গত শনিবার গ্রেফতার হওয়া ভয়ঙ্কর ইয়াবা ব্যবসায়ী হারুনুর রশীদের কাছ থেকে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যায়। হারুনকে রাজধানীর ধানমণ্ডির সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস শাখার সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ১৩ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করে র‌্যাব। হারুন দীর্ঘদিন থেকে ইয়াবার চালান কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে টেকনাফ থেকে ঢাকা আনছে। হারুনের সিন্ডিকেটের হোতাকে ধরতে অভিযান চালাচ্ছে র‌্যাব।

দেশি-বিদেশি কুরিয়ার সার্ভিসগুলোর আর্থিক লেনদেন ও অবৈধ পণ্য আনা-নেয়া বন্ধে কাজ করছে টাস্কফোর্স। হুণ্ডি তৎপরতা, অর্থপাচার ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে গঠিত টাস্কফোর্সের ৬৩তম সভায় কঠোর কড়াকড়ি আরোপ করার সিদ্ধান্ত হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, মানি লন্ডারিং আইনে কুরিয়ার অভিযুক্ত ব্যক্তির সর্বোচ্চ ১২ বছরের জেলের বিধান আছে। একইসাথে যে পরিমাণ অর্থপাচার করা হবে তার দ্বিগুণ জরিমানা এবং পাঠানো অর্থ বাজেয়াপ্তের বিধান রয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক কঠোরভাবে এসব মনিটরিং করছে। অবৈধ তৎপরতা ধরা পড়লে আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।