মাথাভাঙ্গা নদীতে অসংখ্য কোমর : ব্যাহত হচ্ছে নদীর স্রোত

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলার ঐতিহ্যবাহী মাথাভাঙ্গা নদী রক্ষা কমিটির সভাপতি চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে আবারো মাথাভাঙ্গা নদীতে অবৈধভাবে ১ হাজারের বেশি স্থানে কোমর দিয়েছে এক শ্রেণির অসাধু ব্যক্তি। অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতনমহল।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলার ঐতিহ্যবাহী মাথাভাঙ্গা নদীটি অস্তিত্ব হারাতে চলেছে। নদীটির স্বাভাবিক স্রোত ব্যাহত হচ্ছে কিছু অসাধু মৎস্য লোভীদের কারণে। মাথাভাঙ্গা নদীতে কোমর দেয়া নিষেধ থাকলেও আলমডাঙ্গার হাটবোয়ালিয়া, আঠারখাদা, পোলতাডাঙ্গা, নতিডাঙ্গা, জুগিরহুদা, গোয়ালবাড়ি, লক্ষ্মীপুর, কৃষ্ণপুর, মুন্সিগঞ্জ পশুহাট, খুদিয়াখালী, কান্তপুর ও চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের বোয়ালমারী, হাজরাহাটিসহ অসংখ্য স্থানে কোমর দিয়েছে এলাকার কিছু অসাধু ব্যক্তি। এলাকার প্রবীণ ব্যক্তিরা জানান, এ মাথাভাঙ্গা নদীর ওপর দিয়ে এক সময় বড় বড় নৌকা চলতো। কোলকাতা থেকে বড় বড় ব্যবসায়ীরা আসতো ব্যবসা করতে। বিট্রিশ আমলে তাদের নৌকা ভ্রমণ ছিলো চোখে পড়ার মতো। আজ সেই নদী অস্তিত্ব হারাতে চলেছে। নদীটির কোথাও কোথাও হাঁটু পানি, আবার কোথাও চর জেগে উঠেছে। কোথাও নদীর এক পাশ দিয়ে কূল কূল করে বয়ে যাচ্ছে পানি। নদীটির খনন করা প্রয়োজন থাকলেও সরকারের সদিচ্ছার কারণে তা হয়ে ওঠছে না। এ নদীতে এক শ্রেণির অসাধু ব্যক্তি নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য অবৈধভাবে কোমর দিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এলাকার সচেতন মহল চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সুদৃষ্টি কামনা করেছে।