মাওয়ায় তীব্র স্রোতে সাত ফেরি বন্ধ : পাঁচশ যান আটকা

 

স্টাফ রিপোর্টার: মাওয়া-কাওড়াকান্দি নৌরুটে ফেরি চলছে স্রোতের তীব্রতার সাথে যুদ্ধ করে। গতকাল শনিবার সকালে বিআইডব্লিউটিএ’র জাহাজ দুর্বারের সহায়তায় নয়টি ফেরি দিয়ে এ পথে চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়। এ ফেরোগুলো গন্তব্যে পৌঁছতেও সময় বেশি লাগছে। গত শুক্রবার ১০টি চললেও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে রো রো ফেরি খান জাহান আলী বন্ধ রয়েছে। ফেরিটিকে মাওয়ার ভ্রাম্যমাণ ওয়ার্কশপে পাঠানো হয়েছে। স্রোতের কারণে সাতটি ফেরি বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে উভয় পারে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে পাঁচশ যান। পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে ১০ কিলোমিটার দূরে শ্রীনগর উপজেলার ছনবাড়িতে আটকে দেয়া হয়েছে। মাওয়া বিআইডব্লিউটিসির ম্যানেজার সিরাজুল হক এসব তথ্য দিয়ে জানান, গতকাল শনিবার ভোর থেকে বৃষ্টি আর বাতাসে পদ্মার স্রোতের তীব্রতা আগের দিনের চেয়ে আরও বেড়েছে। ফেরির নিজস্ব ইঞ্জিন স্রোতের সাথে পাল্লা দিয়ে চলতে পারছে না। এ কারণে ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়ার সময় ফেরির সাথে বিআইডব্লিউটিএ’র জাহাজ দুর্বারের (টাগ বোট) সহায়তায় চলাচল করছে। নয়টি ফেরি দিয়ে পারাপার সচল রাখ হয়েছে। স্রোতের গতির সাথে পাল্লা দিতে না পারায় কম শক্তির ইঞ্জিনবিশিষ্ট ছয়টি ফেরি বন্ধ রাখা হয়েছে। ১টি ফেরি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ওয়ার্কশপে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও জানান, পণ্যবাহী ট্রাকের চেয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাত্রীবাহী বাস ও প্রাইভেটকার পারাপার করা হচ্ছে। স্রোতের প্রতিকূলে ফেরিগুলো নদী পারি দিতে দ্বিগুণ সময় নেয়ায় একদিকে যেমন ট্রিপ সংখ্যা কমে গেছে অপরদিকে ফেরির সংখ্যা কম থাকায় ঘাটে যানজট লেগে আছে। মাওয়া ঘাটে যানজট হালকা রাখতে শ্রীনগর উপজেলার ছনবাড়িতেও ট্রাকগুলোকে আটকে রাখা হচ্ছে। চাপ কমে যাওয়ার পর সুযোগ বুঝে এগুলো ঘাটে আসতে দেয়া হচ্ছে। পদ্মার পানি গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ সেন্টিমিটার কমেছে। এতে স্রোতের তীব্রতা বেড়ে কয়েকটি এলাকায় ভাঙন দেখা দিলেও নতুন করে নিম্নাঞ্চলের আরও কোনো এলাকা প্লাবিত হয়নি।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, পদ্মার ভাগ্যকূল পয়েন্টে পদ্মার পানি এখন বিপদসীমার ০২ সেন্টিমিটার ওপরে। গত শুক্রবার এখানে পদ্মা বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপরে ছিলো। এ পয়েন্টে পদ্মার বিপদসীমা ছয় মিটার ৩০ সেন্টিমিটার।