মসজিদে ইসরাইলি হামলা :নিহত ৩

 

মাথাভাঙ্গা মনিটর: গাজায় একটি মসজিদে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর বিমান হামলায় তিনজন নিহত হয়েছে।তিনদিনের যুদ্ধবিরতির পর শুক্রবার এবং শনিবারের হামলায় নিহত হয়েছে ১০ জন।এছাড়া পশ্চিম তীরের রামাল্লায় ইসরাইলি বাহিনীর সাথে বিক্ষোভকারীদেরসংঘর্ষে নিহত হয়েছে আরো ২ জন। এ নিয়ে গাজায় ইসরাইলি হামলা শুরুর পর এপর্যন্ত নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯৬০ জনে। যাদের মধ্যে ৬৭ জন বাদে সবাইফিলিস্তিনি। হামাসও ইসরাইলকে লক্ষ্য করে রকেট নিক্ষেপ করেছে। দু পক্ষের এপাল্টাপাল্টি হামলার নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র।

গাজার জরুরি সেবা বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আল-মাগাজি শিবিরে এক বিমান হামলায় দু ব্যক্তি নিহত হয়েছে এবং নুসাইরাতশিবিরের আল-কাসাম মসজিদের ধ্বংসস্তূপ থেকে তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।ফিলিস্তিনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরাইলি যুদ্ধ বিমাননুসাইরাত, জাইশংন ও জাবালিয়া এলাকায় একটি করে মোট তিনটি মসজিদ ধ্বংসকরেছে। তিনটির মধ্যে কমপক্ষে দুটি হামাসের সাথে ঘনিষ্ট বলে মনে করা হয়।

ইসরাইলজানিয়েছে, ইসরাইলি যুদ্ধ বিমান গতকাল গাজায় ৩৩ দফা বিমান হামলা চালিয়েছে।অপরদিকে হামাস ইসরাইলে শুক্রবার থেকে গতকাল পর্যন্ত ৭০টি রকেট নিক্ষেপকরেছে। শুক্রবার রকেট হামলায় এক বেসামরিক নাগরিক ও এক ইসরাইল সৈন্য আহতহয়েছে। তবে কেউ আহত বা কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। ইসরাইলি বলেছে, তারা শুক্রবার থেকে গাজায় প্রায় একশ’টি হামলা চালিয়েছে। যার ৩০টি মধ্যরাতথেকে।

ফিলিস্তিনি হাসপাতালসূত্রে জানা গেছে, যুদ্ধ বিরতি শেষ হওয়ার পর নতুনকরে শুরু হওয়া ইসরাইলি হামলায় ১০ জন নিহত এবং ৪০ জনের বেশি আহত হয়েছে।রামাল্লায় ইসরাইল বিরোধী বিক্ষোভে গুলি করে ইসরাইলি সেনারা। গুলিতেশুক্রবার একজন এবং শনিবার একজন নিহত হয়।

গাজায় ফের লড়াই শুরু করারনিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন এক বিবৃতিতে বলেছেন, দুই পক্ষেরদ্বন্দ্বের কারণে বেসামরিকদের আরো দুর্ভোগ ও মৃত্যু মেনে নেয়া যায় না।মানবিক যুদ্ধবিরতিতে ফিরে যাওয়ার জন্য দুপক্ষকে দ্রুত একটি পথ বের করেদীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধবিরতি পৌঁছানোর জন্য কায়রোতে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ারআহ্বান জানান মহাসচিব। হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জোশ আর্নেস্ট বলেছেন, দুপক্ষের একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে কাজ করা উচিত। ইসরাইল তাদের দাবিমেনে না নেয়ায় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেবলে জানিয়েছে হামাস। তিনি বলেন, হামাসের রকেট হামলা শুরু করার সিদ্ধান্তইসরাইল এবং গাজার মানুষদের জন্য শুধু মারাত্মক ঝুঁকিই তৈরি করেনি, ফিলিস্তিনিদের প্রত্যাশা পূরণেও এটা কোনো ভূমিকা রাখতে পারবে না।