ভূতের কপাল মন্দ!

 

জীবননগর ব্যুরো: ভূতের কপাল মন্দ। শেষ পর্যন্ত সকল আয়োজন পণ্ড হলো। খানা আর খাওয়া হলো না ভূতের। হুজুরের নিষেধের কারণে পুকুরে ঢালা হলো না ভূতের জন্য রান্না করা খিঁচুড়ি। আলোচিত এ ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শুক্রবার বিকেলে জীবননগর শহরের হাইস্কুলপাড়ায়।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, জীবননগর হাইস্কুলপাড়ার আব্দুল ওহাব নবী ওরফে বেজির স্ত্রী তহুরা খাতুন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর প্রতিবেশী টি.কে রমজানের পুকুরে গোসল করতে গেলে দেখতে পান পুকুরের পানি হতে ইয়া বড় এক ভূত উঠে এসে তাকে বলে, আমি অনেক দিন খাইনি। আমাকে কিছু খেতে দে। তহুরা খাতুন বাড়ি ফিরে ভূতের খেতে চাওয়ার কথা প্রতিবেশীদের জানান।

ভূতের খেতে না দিলে গ্রামবাসীর অকল্যাণ হতে পারে এমন কথা ভেবে প্রতিবেশীরা তাকে ভূতের খেতে দেয়ার পরামর্শ দেন। পরামর্শ মোতাবেক তহুরা খাতুন প্রতিবেশীদের নিকট থেকে চাল-ডাল-আলু তুলে খিঁচুড়ি রান্না করেন। বিশাল আয়োজনের এ খিঁচুড়ি ভূতের খাওয়ার জন্য টি.কে রমজানের পুকুরের পানিতে ঢালা হবে। খবর শুনে পুকুরের পাড়ে উৎসুক জনতার ভিড় বাড়তে থাকে। এ খবর পেয়ে প্রতিবেশী মসজিদের মোয়াজ্জিন পরামর্শ দেন পুকুরের পানিতে ভূতের জন্য খিঁচুড়ি ঢেলে কোনো লাভ হবে না। এর থেকে বাড়িতে মিলাদ দাও আর রান্না করা খিঁচুড়ি গরিবের মাঝে বিলি কর, তাহলে ফল পাওয়া যাবে। শেষ পর্যন্ত ভূতের কপাল মন্দ হলো। মিলাদ দিয়ে খিঁচুড়ি মুসল্লিদের মধ্যে বিলিয়ে দেয়া হলো।

এ বিষয়ে স্থানীয় সচেতনমহল বলেছে, ভূত-পেত্নি পুকুর থেকে ওঠে না, সওড়া বা বটগাছ থেকেও নামে না। ভূতের গল্প ফেঁদে প্রতারণার দোকান খোলার চক্রান্তও আড়ালে থাকতে পারে।