ভারত অভ্যন্তরে পিটুনির শিকার বাংলাদেশি দু রাখাল বাড়ি ফিরেছে

 

স্টাফ রিপোর্টার: ভারত অভ্যন্তরে বাংলাদেশি দু গরু পাচারকারীকে চোর সন্দেহে পিটুনি দেয়া হয়নি, ভারতীয় দু রাখালের সাথে বিরোধের জের ধরে দুজনকে মারধর করা হয়েছে। এ মারামারিতে ভারতীয় তিন রাখালও আহত হয়েছে। নিজস্বসূত্রে এ তথ্য নিয়ে মাথাভাঙ্গাকে জানিয়েছে বিজিবি।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী ঠাকুরপুর গ্রামের জাহামদ আলীর ছেলে সব্দুল ও একই গ্রামের আক্তার আলীর ছেলে শুকুর আলী গত ১ জুলাই রাতে গুরুতর আহত হয়। আহত অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে তাদের সহযোগীরা চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করায়। চিকিৎসা নিয়ে গতকাল এরা হাসপাতাল ছেড়েছে। হাসপাতালে ভর্তির সময় আহতরা ও তাদের সাথে থাকা লোকজন বলেন, ভারত অভ্যন্তরে গিয়ে গরু আনার জন্য শিমলার মাঠে অপেক্ষার সময় গ্রামবাসীর হামলার শিকার হয়। তাদেরকে চোর সন্দেহে গ্রামবাসী গণপিটুনি দেয় বলে তারা জানায়। এ বিষয়ে গতকাল দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরই এক পর্যায়ে গতকাল ৬ বিজিবি এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, গত ১ জুলাই সন্ধ্যা ৬টার দিকে ৬ বিজিবির আওতাভুক্ত ঠাকুরপুর বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার মেন পিলার ৮৯ এর নিকট দিয়ে বাংলাদেশি ২ জন রাখাল ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। তারা শিমুলিয়া মাঠ নামক স্থানে গরু আনতে গেলে ভারতীয় ৩ জন রাখালের সাথে গরুর দর কষাকষি নিয়ে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। শুরু হয় হাতা-হাতি। মারামারি। এতে বাংলাদেশি ২ জন এবং ভারতের ৩ জন রাখাল সামান্য আহত হয়। বাংলাদেশি ২ জন রাখাল চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে নিজ বাড়িতে ফেরত যায়। ভারতীয় যে ৩ জন রাখাল আহত হয়েছে তারা হলো, পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার চাপড়া থানার শিমুলিয়া গ্রামের প্রদীপ ঘোষের ছেলে দিলিপ ঘোষ (৩৫), একই গ্রামের লেবলা ঘোষের ছেলে হাংগর ঘোষ (২২) ও আপতাপ ঘোষের ছেলে সরদিপ ঘোষ (২৫)।