ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের উদ্দেশে খালেদা জিয়া :একতরফা নির্বাচন ঠেকান

স্টাফ রিপোর্টার: সরকারের একদলীয় নির্বাচনের প্রচেষ্টা প্রতিহত করতে ব্যবসায়ীদেরও আহ্বান জানালেন বিরোধী দলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন না দিয়ে সরকার একতরফা নির্বাচন করতে চায়। আপনাদের-আমাদের সবার স্বার্থ এক, দেশকে রক্ষা করা। একদলীয় শাসন ও একতরফা নির্বাচন প্রতিহত করতে আমি কেন্দ্রভিত্তিক সংগ্রাম কমিটি গঠনের আহ্বান জানিয়েছি। আপনারাও এতে শামিল হোন, দেশকে রক্ষা করুন। এই সরকারের মেয়াদ আর মাত্র কয়েকটি দিন, আসুন সবাই মিলে দেশ ও গণতন্ত্র রক্ষা করি, সুদিন আমাদের আসবেই।

গতকাল মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে নবগঠিত বাংলাদেশ ব্যবসায়ী পরিষদ আয়োজিত দেশের বর্তমান ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিষয়ক এক মতবিনিময় ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল আউয়াল মিন্টু।

সরকারের উদ্দেশে খালেদা জিয়া বলেন, সময় দ্রুত বয়ে যাচ্ছে। মানুষের হূদয়ের স্পন্দন অনুভব করুন। সমঝোতার পথে আসুন, দেশকে হানাহানি ও আরো অনিশ্চয়তার পথে ঠেলে দেবেন না। তিনি বলেন, আমাদের জাতীয় জীবনে ঘনিয়ে এসেছে গভীর সঙ্কট। সামনের দিনগুলো অনিশ্চয়তার এক গভীর অন্ধকারে ঢাকা। সামাজিক শান্তি, স্থিতি, জনগণের নিরাপত্তা ও জাতীয় ঐক্য আজ হুমকির মুখে। ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতির বিকাশের জন্য এমন পরিস্থিতি কোনো শুভ ইঙ্গিত বয়ে আনে না। এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী হিংসাশ্রয়ী, সংকীর্ণ এক ভুল রাজনীতি। যে অপরাজনীতির শিকার হতে হচ্ছে সারা জাতিকে। এতে আমাদের বর্তমান হচ্ছে সংঘাতময় ও অস্থির। ভবিষ্যত্ হয়ে পড়েছে সম্পূর্ণ অনিশ্চিত।

খালেদা জিয়া বলেন, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে আমরা আমাদের রাষ্ট্রীয় জীবনের চলার পথ হিসেবে বেছে নিয়েছি। সেই গণতন্ত্র আজ চোরাবালিতে হারিয়ে যেতে বসেছে। সকলের মিলিত চেষ্টায় রুগ্ন গণতন্ত্রকে সারিয়ে তুলতে হবে। শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় ক্ষমতা হস্তান্তরের পথ উন্মুক্ত করতে হবে। নির্বাধে তাদের পছন্দের প্রতিনিধি বেছে নেয়ার যে অধিকার জনগণ অর্জন করেছে তা নিরঙ্কুশ রাখতে হবে। তাদের ভোটাধিকার আজ বিপন্ন। জনগণের অধিকার কেড়ে নিতে শাসনতন্ত্র কেটেছিঁড়ে কলংকের নতুন অধ্যায় রচনা করা হয়েছে। এই কলঙ্ক মুছতে হবে। এরজন্য সকলকে এক হতে হবে। আমাদের সম্ভাবনার উজ্জ্বল দিগন্তে যে কালো মেঘ ছায়া ফেলেছে তা দূর করতে হবে। একটি নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আজ সময়ের চাহিদা ও জাতীয় দাবিতে পরিণত হয়েছে। আসুন, সকলে মিলে সোচ্চার হই। ঐক্যবদ্ধভাবে সংগ্রাম করে মানুষের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্রকে রক্ষা করি। আজকের দিনে এটাই প্রধান জাতীয় কর্তব্য।

বিরোধী দলীয় নেতা বলেন, সময় এসেছে অতীতমুখি, আবেগাশ্রয়ী, স্লোগানসর্বস্ব ভুল রাজনীতিকে বর্জন করার। সময় এসেছে হানাহানি, দ্বন্দ্ব-সংঘাত, ঘৃণা-বিদ্বেষের রাজনীতি পরিহার করার। সময় এসেছে রাজনীতির নামে কুত্সা, শঠতা, প্রবঞ্চনা, প্রতারণা, অসত্য প্রচারণা ও হিংসা-বিদ্বেষকে না বলার। মানুষকে যারা সম্মান করতে জানে না তাদেরকে মর্যাদার আসন থেকে নামিয়ে দেয়ার সময় এসেছে।

তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের সমাবেশে এসে আমি রাজনীতির কথা কেন বলছি? বলছি একারণে যে, আধুনিক যুগে রাজনীতিই থাকে জাতীয় নেতৃত্বের আসনে। এ রাজনীতিই অর্থনীতিসহ সমাজের অন্য প্রায় সকল অঙ্গন ও তত্পরতাকে স্পর্শ ও প্রভাবিত করে। এ রাজনীতি যদি ঠিক না হয়, তাহলে কোনো কিছুই ঠিক মতো চলবে না। রাজনীতি সুন্দর না হলে আর কোনো কিছুর পথই মসৃণ থাকবে না।

খালেদা জিয়া তার বক্তব্যে বিএনপি আগামীতে ক্ষমতায় যেতে পারলে নতুন ধারার রাজনীতি ও সরকার গঠনের যে রূপকল্পের কথা বলেছে, সেটিরও কিছুটা ধারণা দেন। ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা জানেন-দেশে আজ কতোটা গণতান্ত্রিক ও সহিষ্ণু পরিবেশ বলবৎ আছে। আমরা বিরোধী দল হিসাবে কিভাবে নানান পন্থায় আক্রান্ত হয়েছি তা-ও আপনারা দেখছেন। আমরা এই চরম বৈরী পরিবেশের মধ্যেও দেশের উন্নতি-অগ্রগতি, শাসনতান্ত্রিক সংস্কার, রাষ্ট্রকাঠামোর যুগোপযোগী বিন্যাস, আইনসভা ও বিচারালয়ের দক্ষ কার্যকারিতা প্রতিষ্ঠা, শাসন ব্যবস্থার বিকেন্দ্রীয়ান, সুশাসন, শিল্পায়ন, বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান, পরিবেশ রক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার, সীমিত সম্পদ ও বিপুল জনশক্তির সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার, শান্তি-স্থিতি-নিরাপত্তার নিশ্চিতির বিষয়ে সুচিন্তিত নীতিমালা ও কর্মকৌশল নির্ধারণের কাজ নিভৃতে সম্পাদন করেছি। আমাদের চেতনার কেন্দ্রবিন্দুতে স্থাপন করেছি বাংলাদেশের এবং আমাদের জনগণের বর্তমান ও ভবিষ্যত্ কল্যাণ ও স্বার্থকে। আমরা নতুন ধারার রাজনীতি ও যুগের চাহিদার আলোকে নতুনধারার সরকার গঠনে অঙ্গীকারাবদ্ধ। কেবল কথামালা নয়, কাজের মাধ্যমেই আমরা তার প্রমাণ দিতে চাই। মেধা ও যোগ্যতাকে আমরা সর্বোচ্চ মাপকাঠি বলে বিবেচনা করবো। যতদূর সম্ভব সকলের মতামত ও প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেব। দুর্নীতি, সন্ত্রাস, সংকীর্ণ দলমন্যতাকে আমরা প্রশ্রয় দেব না মোটেও। সব মতকে সমন্বিত করে বৈচিত্র্যের মধ্যে গড়ে তুলবো জাতীয় ঐক্য। আমরা সরকারে গেলে ব্যবসা করবো না, বরং পথের বাধাগুলো দূর করে শিল্প-ব্যবসা-বাণিজ্যের গতিকে ত্বরান্বিত করে প্রকৃত ব্যবসা-বান্ধব সরকার হবো। নষ্ট রাজনীতিকে আমরা অনুসরণ না করে রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে উন্নত করবো। আমাদের পরিকল্পনার বিশদ বিবরণ আজ আমি দেব না। আমি আশা করি সময় বলে দেবে আমরা কী করতে চাই এবং কতোটা করতে পেরেছি।

খালেদা জিয়া আরো বলেন, গত পাঁচটি বছর ধরে উঁচুগলায় উন্নয়নের কাল্পনিক প্রচারণা শুনতে শুনতে সকলের কান ঝালাপালা হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সবকিছু ডুবে যাচ্ছে সঙ্কট ও অনিশ্চয়তার আবর্তে। এখন প্রকৃত ব্যবসায়ীদের বাদ দিয়ে দলীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে ব্যাংকঋণ দেয়ার এক অলিখিত প্রথা চালু করা হয়েছে। এই দলীয় লোকেরা ঋণের নামে ব্যাংক লোপাট করছে। বিনিয়োগ কমেছে দুর্নীতি, অন্যায়-অবিচার ও অপশাসনের কারণে। বাড়ছে বেকারত্ব। পদ্মা সেতু প্রকল্প নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে দাতাদের তহবিল প্রত্যাহার এবং বিদেশের আদালতে মামলা হওয়ার কারণে দেশের ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগ এখন তাই প্রায় শূন্যের কোটায়। সরকার বলেছিল-বিদ্যুত্ সমস্যার সমাধান করবে। কিন্তু এ সরকারের আমলে চার বছর ধরে নতুন বিদ্যুত সংযোগ বন্ধ ছিল। স্বচ্ছতাহীন কুইক রেন্টাল পদ্ধতির নামে জাতীয় অর্থনীতির উপর বিরাট বোঝা চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। সমস্যার মূল কারণ হলো সরকারি দলের লুটপাট ও দুর্নীতি। গার্মেন্টস শিল্প ধ্বংস করার নীল-নকশা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায়।

অনুষ্ঠানের বিএনপি নেতাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও দলের যুগ্ম-মহাসচিব বরক উল্লাহ বুলু এমপি।

এদিকে অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএ এবং রিহ্যাবসহ বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ী নেতারা অভিন্ন কণ্ঠে বলেছেন- আমরা ভালো নেই। দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ভালো নেই। আমরা শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশ চাই। সবার অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাই। একতরফা বা কোনো চোরা নির্বাচন হলে শুধু রাজনীতি ও গণতন্ত্রই ক্ষতিগ্রস্ত হবে না, জাতীয় অর্থনীতিও ধ্বংস হয়ে যাবে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি ঘরানার ব্যবসায়ীদের নিয়ে বাংলাদেশ ব্যবসায়ী পরিষদ গড়ে তোলা হলেও গতকালের অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ ঘরানা হিসেবে পরিচিত বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী নেতাও উপস্থিত ছিলেন- তাদের কেউ কেউ বক্তব্যও দিয়েছেন।

সভাপতির বক্তব্যে আব্দুল আউয়াল মিন্টু শুরুতেই বলেন, শুধু সাবেক সাবেক সাবেক শুনতে আর ভালো লাগে না, আজকের প্রধান অতিথিকে আমি বলবো ভবিষ্যত প্রধানমন্ত্রী। এরপর তিনি বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য একটা নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। এর বাইরে কোনো চোরা বা একতরফা নির্বাচনের ষড়যন্ত্রে ব্যবসায়ীরাও সাড়া দেবে না। তিনি বলেন, আজকাল কেউ আর আওয়ামী লীগ বলে না। বলে খামু লীগ। সঞ্চয়, বিনিয়োগ কমে যাচ্ছে। যেটা বাড়ার কথা সেটা কমছে, যেটি কমার কথা সেটি বাড়ছে। আর রসাতলে যেতে না চাইলে আগে রাজনীতিকে ঠিক করতে হবে।

বিজিএমইএ সভাপতি আতিকুল ইসলাম বলেন, অনেক বিদেশি ক্রেতা এখন আমাদের কাছে জানতে চান-২৫ অক্টোবরের পর কী ঘটবে। আপনি (খালেদা জিয়া) প্রতিশ্রুতি দিন, আমরা আছি। সমস্যার সমাধান করতে হবে। সরকার ও বিরোধী দলকে একসাথে কাজ করতে হবে। সবাইকে একসাথে দেশকে সামনে এগিয়ে নিতে হবে। পোশাক শিল্প নিয়ে রাজনীতি করলে তা সবার জন্যই সর্বনাশ ডেকে আনবে।

বিকেএমইএ সভাপতি মো. হাতেম বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য সমন্বিত প্রয়াস দরকার। দেশে শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি থাকা জরুরি। বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি সালাম মুর্শেদী বিএনপি চেয়ারপারসনকে উদ্দেশ করে বলেন, আপনি বিগত সময়ে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে গার্মেন্ট শিল্পকে কাছের মনে করে লালন-পালন করেছেন। দেশের বৃহত্তর স্বার্থে আপনি আমাদের এ খাতকে হরতালের আওতামুক্ত ঘোষণা করেছেন। ব্যাংক চার্জসহ বিভিন্ন কিছু বেড়েছে। ব্যবসা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে। তাজরিন ফ্যাশনস ও রানা প্লাজার ঘটনায় আন্তর্জাতিকভাবে আমরা ইমেজ সঙ্কটে আছি। বিজিএমইএর আরেক প্রাক্তন সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান বলেন, সোনার ডিম পাড়া রাজহাস গার্মেন্ট শিল্পকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তিনি বলেন, দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট সমাধানের একমাত্র পথ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন। ৯০ ভাগ মানুষ নির্দলীয় সরকার চায়। এই দাবিতে ব্যবসায়ীরাও সোচ্চার হবেন।

খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে বিটিএমএর ভাইস প্রেসিডেন্ট আব্দুল মান্নান বলেন, আপনার সামনে সুদিন। যদি আল্লাহর তরফ থেকে খারাপ কিছু হয়ে না থাকে। আমাদের প্রত্যাশা-আপনি সুশাসন প্রতিষ্ঠা করবেন। রিহ্যাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি তবারক হোসেন খান বলেন, আমাদের সাথে আলোচনা ছাড়াই সরকার ২০১০ সালের মে মাস থেকে বিদ্যুত সংযোগ বন্ধ করে দেয়, গ্যাস সংযোগও বন্ধ রাখে। এজন্য ৪০ হাজার ফ্ল্যাট বিক্রি হয়নি। আগামীতে রিহ্যাবও খালেদা জিয়ার পাশে থাকবে।

বাংলাদেশ পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি সাইদুল ইসলাম বলেন, কেউ আজ ভালো নেই। সরকারের অব্যবস্থাপনা ও দলীয়করণের কারণে পরিবহন খাত আজ সঙ্কটে। এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সহ-সভাপতি আবুল কাশেম হায়দার বলেন, দেশ আজ ক্রান্তিলগ্নে। ব্যবসায়ী মহলও উত্কণ্ঠিত। এর স্থায়ী সমাধান দরকার। এজন্য সরকারকেই এগিয়ে আসতে হবে। আদালতের দোহাই দিয়ে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের সুযোগ নেই। ২৪ অক্টোবরের মধ্যে সংসদে বিল এনে তত্ত্বাবধায়ক পাস করতে হবে। এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক আবদুল ওয়াহেদ বলেন, বর্তমান সরকার মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের মতো। তাই এই সরকারকে দিয়ে দেশের আর কল্যাণ হবে না। এফবিসিসিআইয়ের আরেক পরিচালক আবু মোতালেব বলেন, সরকার একতরফা নির্বাচন করতে গেলে ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ তীব্রভাবে তা প্রতিহত করবে।

রাজশাহী চেম্বারের সাবেক সভাপতি লুত্ফর রহমান বলেন, এ সরকার দেশকে ভারতের বাজার বানিয়েছে। আপনি (খালেদা জিয়া) ক্ষমতায় এলে আমাদের দেখবেন। বাংলাদেশ সিএনজি স্টেশন মালিক সমিতির সভাপতি জাকির হোসেন নয়ন বলেন, আমরা ভালো নেই। এ সরকার আমাদের সাথে কোনো আলোচনা ছাড়াই দফায় দফায় গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করেছে। খালেদা জিয়ার উদ্দেশে ওষুধ শিল্প সমিতির সাবেক সভাপতি শফিকুজ্জামান বলেন, দেশের অগ্রগতির জন্য সুষ্ঠু নির্বাচন হতে হবে। এজন্য আপনাকে আবারো প্রধানমন্ত্রী হতে হবে।