বৈদ্যুতিক মিটার টেম্পারিং করে অটোচার্জের দোকান : ২০ হাজার টাকা জরিমানা

 

বিদ্যুত বিভাগের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও চুয়াডাঙ্গার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ভ্রাম্যমাণ আদালত দৌলাতদিয়াড়ে পরিচালিত

 

স্টাফ রিপোর্টার: বৈদ্যুতিক মিটারের টেম্পারিং করে নিপুন হাতে সিলগালা করে দিব্যি অটো রিকশার ব্যাটির চার্জের দোকান খুলে অর্থ কামাচ্ছিলেন হাফিজুর রহমান হাপি। শেষ রক্ষা হলো না। গতকাল রোববার বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালত হাতেনাতে তা ধরে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। এ ছাড়াও দৌলাতদিয়াড় ব্রিজের নিকটস্থ দুটি দোকানে অবৈধভাবে বিদ্যুত সংযোগ দেয়া নেয়ার অপরাধে ১ হাজার টাকা করে দুজনের অর্থদণ্ডাদেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গায় বেশ কয়েকটি স্থানে অটো রিকশা চার্জের দোকান খোলা হয়েছে। এদেরই একজন দৌলাতদিয়াড় স্কুলপাড়ার মৃত মউনুদ্দিনের ছেলে হাফিজুর রহমান হাপি। তিনি দৌলাতদিয়াড়স্ত জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের অদূরে অটো চার্জের দোকান দেন। বিদ্যুত সংযোগ নেন। বিদ্যুত ব্যবহার করলেও মিটার ঘুরবে না। নিখুতভাবে টেম্পারিং করে নিপুন হাতেই সেটে দেয়া হয়েছে সিলগালা। গতকাল রোববার বিকেলে বিদ্যুত বিভাগের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অসীম কুমার ও চুয়াডাঙ্গার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা খানমের নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত বিষয়টি হাতে নাতে ধরেন। হাফিজুর রহমানকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়। জরিমানার টাকা সাথে সাথে পরিশোধ করা হলেও ভ্রাম্যমাণ আদালত ওই বৈদ্যুতিক মিটার টেম্পারিং কে করেছে তা জানতে চান। দর্শনার শামীম নামের একজন এ কাজে পটু বলে জানান হাফিজুর রহমান হাপু।

একই ভ্রাম্যমাণ আদালত চুয়াডাঙ্গা শহরতলী দৌলাতদিয়াড় ব্রিজের অদূরবর্তী রায়হানের লন্ড্রির দোকান থেকে অবৈধভাবে বিদ্যুত সংযোগ দেয়ার দোকানিকে ১ হাজার টাকা ও অবৈধভাবে বিদ্যুত সংযোগ নেয়ায় নাইম নামের অপর এক দোকানিকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এছাড়া ব্রিজের অদূরবর্তী কুদ্দুসের মুদি দোকানে মেয়াদ উল্লেখ ছাড়াই চানাচুর বিক্রির দায়ে ১ হাজার টাকা অর্থাদণ্ডাদেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ফারজানা খানম।