বেগমপুর ভূমি অফিস কর্তৃক মাপজোখ করে সীমানা নির্ধারণ

চুয়াডাঙ্গার দোস্ত গ্রামে সরকারি সম্পত্তি দখলমুক্ত করতে জেলা প্রশাসকের নির্দেশ

বেগমপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদরের দোস্ত গ্রামে সরকারি রাস্তার জমি দীর্ঘদিন দখলে রেখে বাঁশবাগান করে রেখেছিলো গ্রামের প্রভাবশালী সবুর মিয়া। বিষয়টি জানতে পেরে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক সরকারি সম্পত্তি দখলমুক্ত করতে নির্দেশনা দেন সংশ্লিষ্ট দফতরকে। নির্দেশনা পেয়ে প্রথমে সাইনবোর্ড পরে চুড়ান্ত মাপজোখ করে সীমানা নির্ধারণ করে দিয়েছে বেগমপুর ভূমি অফিস। এখন শ্রেণি পরিবর্তন করে খাসজমিতে রূপান্তর করতে পারলে কয়েকটি ভূমিহীন পরিবার মাথাগোঁজার ঠাই পাবে বলে গ্রামবাসী মনে করছে।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে দোস্ত গ্রামের বসুতিপাড়ার শেষ মাথায় ১৩৯৩ দাগে ১নং খতিয়ানের ৪৯ শতক সরকারি রাস্তার জমি জোরপূর্বক ভোগ দখল করে রেখেছে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের দোস্ত গ্রামের আবুর আলীর ছেলে প্রভাবশালী সবুর মিয়া। সবুর মিয়া ওই জমিতে বাঁশবাগান করে প্রতিবছর হাজার হাজার টাকার বাঁশ বিক্রি করে থাকেন। সম্প্রতি ওই জমিতে থাকা চৌকিদার আবেদ আলীর খেজুরের রসের বান এবং ভাড় ভেঙে দেয়া ও পরিবারের লোকজনকে লাঞ্ছিত করায় সরকারি রাস্তার জমির গোমর ফাঁস হয়ে পড়ে। তড়িঘড়ি করে জমির কিছু অংশ সরকারি বাঁশ কেটে বেড়া দিয়ে ঘিরে নেয় সুবর মিয়া। এ নিয়ে দৈনিক মাথাভাঙ্গায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের দৃষ্টিগোচর হয়। তিনি বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করা এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরকে নির্দেশ দেন। নির্দেশ মোতাবেক ৫ মার্চ বেগমপুর ভূমি অফিসের লোকজন ঘটনাস্থলে যান এবং জমির বিবরণ সংবলিত জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা সাইনবোর্ড টানিয়ে দেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে পুনরায় ভূমি অফিসের লোকজন চূড়ান্ত মাপজোখ করে সীমানা নির্ধারণ করে দেন। সেই সাথে সরকারি সম্পত্তিতে কেউ যেনো কোনোভাবেই অনাধিকার প্রবেশ না করে সে বিষয়েও সতর্ক করে দেন।
গ্রামবাসী জানান, সরকারি রাস্তার জায়গা হওয়া সত্ত্বেও সবুর মিয়া নিজের সম্পত্তি মনে করে চোখ রাঙিয়ে ভোগ দখল করে আসছিলো। গতকাল সরকারি লোকজন দখলীয় জমি মাপজোখ করে সীমানা নির্ধারণ করে দিলে সবুর মিয়ার দম্ভক্তিতে ভাটা পড়ে। মাপজোখকালে উপস্থিত ছিলেন বেগমপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভূমি সহকারি কর্মকর্তা আতিকুল হক, সদর উপজেলা সার্ভেয়ার ইখতিয়ার উদ্দিন, অফিস সহায়ক আছের আলী। এ বিষয়ে আতিকুল হক বলেন, রাস্তার জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে খাস খতিয়ানে আনতে হবে। তারপর কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পেলে ভূমিহীনদের মধ্যে বরাদ্দ দেয়া সম্ভব হবে। তার আগে না। অপরদিকে সবুর মিয়া বলেন, সরকারি সম্পত্তি দখল করে রাখার কোনো মানসিকতায় আমার ছিলো না। এখন মাপজোপ হয়েছে। আমার মধ্যে যতোটুকু পড়েছে তা ছেড়ে দিয়েছি।