বিভিন্ন স্থানে রকমারি আয়োজনে দৈনিক মাথাভাঙ্গার ২৬ বছরে পদার্পণ

 

মাথাভাঙ্গা ডেস্ক: অপূর্ণতা নেই এতোটুকু। পুরো এলাকাজুড়ে ছড়িয়েছে উৎসবের আমেজ। মধ্যরাত থেকে সুবেহ সাদিক, সকাল থেকে সাজ সেজেছে মাথাভাঙ্গা পরিবার, মেতেছে সৃষ্টি সুখের উল্লাসে। কেনো? কারণ, গতকাল শুক্রবার ১০ জুন ছিলো দৈনিক মাথাভাঙ্গা’র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। পঁচিশ পেরিয়ে ছাব্বিশে পদার্পণ।

দিবসের সূচনায় তথা পরশু মাঝ রাতে দৈনিক মাথাভাঙ্গার প্রধান কার্যালয়ে কেক কাটা আর মিষ্টিমুখের ধুম পড়ে। ভোরে? প্রধান কার্যালয় সংলগ্ন ছাপাখানায় দোয়া মাহফিল। তারপর? একযোগে একই রঙের নতুন পোশাক পরার উৎসব। ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের সৌজন্যে এবারও মাথাভাঙ্গা পরিবারের সকল সদস্যকে একই রঙের গেঞ্জিতে রাঙিয়ে তোলে। যেন গোলাপের পাপড়ির রঙে রাঙানো সকাল। মনের অজান্তেই হৃদয়ে গেয়ে ওঠে গান, আহা কী আনন্দ আকাশে বাতাসে অথবা হে সকাল অরুণ আলোয় ভরা তরুলতা।

ভোরে দোয়া মাহফিলের মধ্য দিয়ে শুরু হয় দিবসের কর্মসূচি। গেঞ্জি ও ছাতা বিতরণেই সীমাবদ্ধ থাকেনি সকালটা জুড়েই ছিলো সম্পাদকের সাথে সকলের শুভেচ্ছা বিনিময়ের পাশাপাশি ফটোসেশন। দুপুরের বিপননবিভাগের বাড়তি আয়োজন। দূর-দূরান্তের বিক্রয় প্রতিনিধি এজেন্টদের নিয়ে ইফতার মাহফিল। সন্ধ্যায় সকল ব্যুরো অফিসগুলোতে ইফতার মাহফিল। সম্পাদক সপত্নীক শরিক হন আলমডাঙ্গার আয়োজনে। সাথে ছিলেন মনিরুজ্জামান মনির, কলেজ শিক্ষক পান্না। দর্শনার আয়োজনে শরিক হন বার্তা সম্পাদক আহাদ আলী মোল্লা। ফলে প্রধান কার্যালয় সামলাতে হয়েছে প্রধান প্রতিবেদক রফিকুল ইসলাম, সহকারী প্রতিবেদক ফাইজার চৌধুরীকে। পাশে পেয়েছেন প্রধান কার্যালয় এলাকার জনপ্রতিনিধি কাউন্সিলর তথা চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার প্যানেল মেয়র একরামুল হক মুক্তাকে। তিনিসহ এলাকার সুধী-মুসল্লিরা শরিক হন প্রধান কার্যালয়ের ইফতার মাহফিলে। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন মহাব্যবস্থাপক হাসান আখতার সিদ্দিক পিন্টু, সার্কুলেশন ম্যানেজার রানা মাসুদ, সহকারী ওয়াচ কুরুনী, ছাপাখানা ব্যবস্থাপক মানিকসহ সংশ্লিষ্টরা। স্টাফ রিপোর্টার আলম আশরাফ, উজ্জ্বল মাসুদ, সাইফ জাহান, বেল্টু, অপারেটর উজ্জ্বল হোসেন, সহকারী পেস্টার বখতিয়ার হোসেন, অফিস সহকারী আনোয়ার হোসেনসহ সকলেই উপস্থিত থেকে প্রধান কার্যালয়ের আয়োজনকে প্রাণবন্ত করে তোলেন।

দর্শনা অফিস জানিয়েছে, দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকা মানেই ভোর বেলা চায়ের চুমুকের আলাদা স্বাদ। মাথাভাঙ্গায় চোখ না বুলালে যেন শুরু হয়না সকাল। চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহ জেলাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সংবাদে পরিপূর্ণ মাথাভাঙ্গা পাঠকের মনের যেন ভিন্ন খোরাক। গতকাল ১০ জুন ছিলো পাঠকপ্রিয় দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকার প্রকাশনার ২৬ বছরে পদার্পণ। আয়োজনের শুভ সূচনা করা হয় পত্রিকার প্রধান কার্যালয় থেকে। রাত ১২টা বাজার সাথে সাথে কেক কেটে আয়োজনের উদ্বোধন করেন পত্রিকার কর্ণধার সরদার আল আমিন। একযোগে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে পত্রিকার বেশ কয়েকটি ব্যুরো অফিসে। দর্শনা ব্যুরো অফিসের আয়োজনে দর্শনা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনাসভা, কেক কাটা, দোয়া ও ইফতার মাহফিল। প্রধান অতিথির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাদুল ইসলাম আজাদ বলেন, দৈনিক মাথাভাঙ্গা অবহেলিত এ জনপদের সর্বস্তরের মানুষের বিশ্বস্ত মুখপত্র। পত্রিকাটি হাজারো প্রতিকূলতাকে মোকাবেলা করে মানুষের অন্তরে ঠাঁই করে নিয়েছে। মাথাভাঙ্গার পথচলা ২৬ বছরের পুরোটাই সফলতায় ভরা। সর্বজন প্রিয় এ দৈনিক স্থানীয় পত্রিকা হিসেবে সারা দেশের একটি উদাহরণ। দৈনিক মাথাভাঙ্গার বার্তা সম্পাদক আহাদ আলী মোল্লা বলেন, আমাদের আজকের সফলতা আপনাদেরই পরিশ্রমের ফসল। ২৬ বছর ধরে সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা নিয়েই পথ চলছি, একইভাবে আপনাদের পাশে থেকে পথ চলতে চাই। আহাদ আলী মোল্লার সাথে সফরসঙ্গী হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক মাথাভাঙ্গার স্টাফ রিপোর্টার রহমান রনজু। দর্শনা ব্যুরো অফিসের সহকারী প্রধান হানিফ মণ্ডলের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বড়শলুয়া নিউ মডেল কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার, কেরুজ চিনিকলের এডিএম মনোয়ারুল ইসলাম, কেরুজ শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি তৈয়ব আলী, সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান, কুড়ুলগাছি ইউপির নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান শাহ এনামুল করিম ইনু, দর্শনা কাস্টমস সার্কেলের রাজস্ব কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল, দর্শনা রেলবাজার দোকান মালিক সমিতির সভাপতি তোফাজ্জেল হোসেন, সাহিত্যিক আবু সুফিয়ান, দর্শনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোতালেব হোসেন, দর্শনা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হুমায়ন কবির, কার্পাসডাঙ্গা বাজার দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মারুফ শাহ, দর্শনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মনিরুজ্জামান ধীরু, সাংবাদিক মাহফুজ উদ্দিন খান, আজাদ হোসেন, আওয়াল হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, চঞ্চল মেহমুদ, ইকরামুল হক পিপুল, আহসান হাবীব মামুন, এসএম ওসমান, আবদুল জলিল, আজিম উদ্দিন, জিল্লুর রহমান মধু, সাব্বির আলীম, রাজিব মল্লিক, ইয়াছির আরাফাত মিলন, ব্যবসায়ী জগদিশ স্বর বশু, হিন্দু সম্প্রদায় নেতা উত্তম কুমার দেবনাথ, কেরুজ শ্রমিক নেতা মোস্তাফিজুর রহমান, খবির উদ্দিন প্রমুখ। দৈনিক মাথাভাঙ্গার দর্শনা ব্যুরো প্রধান হারুন রাজুর সার্বিক তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক মাথাভাঙ্গার দামুড়হুদা অফিস প্রধান বখতিয়ার হোসেন বকুল, সাবেক প্রধান মো. শাহবুদ্দিন, সাংবাদিক তাছির আহমেদ, জামান তারিক, হাসেম রেজা, মোস্তাফিজুর রহমান কচি, শরীফ রতন প্রমুখ। দৈনিক মাথাভাঙ্গার বেগমপুর প্রতিনিধি নজরুল ইসলামের উপস্থাপনায় শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন দৈনিক সংগ্রাম প্রতিনিধি এফএ আলমগীর। আলোচনা শেষে কেক কেটে দৈনিক মাথাভাঙ্গা প্রকাশনার ২৬ বছর পদার্পন উদযাপন করা হয়।

আলমডাঙ্গা ব্যুরো জানিয়েছে, আলমডাঙ্গা ব্যুরো অফিসের আয়োজনে স্বপ্নঘর ফাউন্ডেশনে গতকাল ১০ জুন বিকেলে এক উল্লাস ও কোলাহলময় আনুষ্ঠানিকতায় প্রাণের এ আয়োজন সম্পন্ন হয়। দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক সরদার আল আমিনের সস্ত্রীক উপস্থিতি সকলের উল্লাস যেমন আকাশচুম্বী করে তোলে। তেমনি অনুষ্ঠানের গরিমাও বেড়ে যায় শতগুণ। অন্যদিকে, আলমডাঙ্গার দুই কর্ণধার যথাক্রমে উপজেলা চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দীন ও আলমডাঙ্গা পৌর মেয়র উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসান কাদির গনু উপস্থিত হলে পুরো অনুষ্ঠান পায় ভিন্নমাত্রা। উপস্থিত ছিলেন বিআরডিবি চেয়ারম্যান মহিদুল ইসলাম মহিত, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আতিয়ার রহমান, উপজেলা জাসদ সভাপতি গোলাম সরোয়ার, আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাব সভাপতি হামিদুল ইসলাম আজম, পৃথকাংশের সভাপতি শাহ আলম মন্টু, মাথাভাঙ্গার প্রথম কম্পিটার এক্সপার্ট মনিরুজ্জামান মনির, দৈনিক আকাশ খবরের ব্যুরো প্রধান প্রশান্ত বিশ্বাস, নতুন খবরের ব্যুরো প্রধান ফিরোজ ইফতেখার ও  দৈনিক স্পন্দন প্রতিনিধি জামসিদুল হক মুনি।

প্রচণ্ড গরমের মধ্যেও যাদের উপস্থিতিতে আনন্দ হিল্লোলে অনুষ্ঠান মুখর হয়ে ওঠে তারা হলেন দৈনিক মাথাভাঙ্গার জামজামি প্রতিনিধি কেএ মান্নান, মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি অনিক সাইফুল, ঘোলদাড়ি প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলমসহ সাংবাদিক আতিক বিশ্বাস, মিজানুর রহমান, মিলন আলী, জামিরুল ইসলাম, মুর্শিদ কলিন, আতিকুর রহমান ফরায়েজী, অবসরপ্রাপ্ত সেনা সার্জেন্ট শামসুল আলম, খন্দকার উজ্জ্বল, রহিদুল ইসলাম, আশকার ইবনে শাইখ, গল্পকার পিন্টু রহমান প্রমুখ।

গরমে ঘেমে-নেয়ে একাকার হয়ে অনুষ্ঠানের সার্বিক আয়োজন যারা সফল করে তোলেন তারা হলেন সহকারী ব্যুরো প্রধান শরিফুল ইসলাম রোকন, সাম্প্রতিকী ডট কম’র তৌহিদ হোসেন, সুরুজ ফরায়েজী, জুলকার নাইন, পলাশ প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন দৈনিক মাথাভাঙ্গার আলমডাঙ্গা ব্যুরো প্রধান রহমান মুকুল। পুরো অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ছিলেন এমদাদ হোসেন। দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন মাওলানা শাফায়েত-উল ইসলাম হিরো।

জীবননগর ব্যুরো জানিয়েছে, ‘সবেমাত্র জীবননগরে যোগদান করেছি। পরের দিন সকালে ঘুম থেকে জেগে উঠে দরজার গোড়ায় একটি পত্রিকা পড়ে থাকতে দেখলাম। হাতে তুলে নিলাম, নাম দেখলাম-দৈনিক মাথাভাঙ্গা। দৈনিক পত্রিকার নাম মাথাভাঙ্গা? এমন নামের সাথে আমি পরিচিত নই। তাছাড়া পত্রিকাও শাদা-কালোতে ছাপানো। পড়ার আগ্রহ হলো না; টেবিলের ওপর ভাঁজ করে রেখে দিলাম। অফিসে এলাম, এখানেও টেবিলের ওপর দেখলাম আমার পিয়ন ভাঁজ করে দৈনিক মাথাভাঙ্গা রেখে দিয়েছে। পিয়নকে ডেকে জিজ্ঞাসা করতেই সে বললো, স্যার এটা আমাদের সকলের প্রিয় দৈনিক পত্রিকা। ব্যাপক চলে। আমার আগ্রহ বেড়ে গেলো। হাতে তুলে নিলাম মাথাভাঙ্গা। এক নিমিষেই পড়ে ফেললাম। এর নিউজের ধরণ ও বস্তুনিষ্ঠতা আমার ভালো লাগলো। ভালোবেসে ফেললাম মাথাভাঙ্গাকে। প্রতিদিন সকাল হলেই জীবননগরসহ আশপাশের সংবাদ পড়তে মাথাভাঙ্গার দ্বারস্থ হতে হয়। গত দেড় বছর ধরে মাথাভাঙ্গার সাথে আছি।’ গতকাল শুক্রবার দৈনিক মাথাভাঙ্গার ২৬ বছরে পদার্পন উপলক্ষে জীবননগর প্রেসক্লাবে আয়োজিত আলোচনাসভা ও ইফতার পার্টিতে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে উপরোক্ত মন্তব্য করেন জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুরুল হাফিজ। তিনি দৈনিক মাথাভাঙ্গার সফলতা কামনা করেন।

দৈনিক মাথাভাঙ্গার জীবননগর ব্যুরো অফিস আয়োজিত ইফতার পার্টির আলোচনায় পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম তার অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, মাথাভাঙ্গা এগিয়ে চলেছে। আমি এ পত্রিকার সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের মঙ্গল কামনাসহ মাথাভাঙ্গার দীর্ঘ জীবন কামনা করি।

জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম মোর্তূজা বলেন, মাথাভাঙ্গার পাঠক প্রিয়তা আজ ঈর্ষনীয় পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে। পুরুষের পাশাপাশি অনেক গৃহিণী আছেন যারা সকালে মাথাভাঙ্গা পড়ে ঘরের কাজে হাত দেন। মাথাভাঙ্গার বস্তুনিষ্ঠতা প্রশ্নাতীত। আমি আজকের এ দিনে মাথাভাঙ্গার দীর্ঘায়ু ও সফলতা কামনা করি।

জেলা বিএনপির সহসভাপতি হাজি সাইদুর রহমান ধুন্দু মাথাভাঙ্গার জনপ্রিয়তা আরও উঁচুতে নেয়ার জন্য এর সাথে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকদের শাণিত হওয়ার পরামর্শ দেন। জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ূন কবীর মাথাভাঙ্গা পত্রিকার দীর্ঘায়ু কামনা করেন। উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যাপক খলিলুর রহমান বলেন, বস্তুনিষ্ঠতায় মাথাভাঙ্গা অনেক দূর এগিয়ে এসেছে। পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন তার অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, সকালে মাথাভাঙ্গা না পড়লে ভালো লাগে না, কিছু যেন একটা খালি-খালি লাগে। একই অনুভূতির কথা জানালেন উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম ইসা।

প্রেসক্লাব সভাপতি আনোয়ারুল কবিরের সভাপতিত্বে ও দৈনিক মাথাভাঙ্গার জীবননগর ব্যুরো প্রধান এমআর বাবুর সঞ্চালনে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় উপস্থিত অতিথিবৃন্দ দৈনিক মাথাভাঙ্গার ২৬ বছরে পদার্পণ আলোচনাসভায় এভাবেই তাদের মতামত ও ভালোবাসার কথা তুলে ধরেন। সময় স্বল্পতার কারণে অনেকেই ইচ্ছা থাকলেও তাদের অনভূতি জানাতে পারেননি। দৈনিক মাথাভাঙ্গার সহকারী ব্যুরো প্রধান সালাউদ্দীন কাজল, আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি নারায়ণ ভৌমিক, দৈনিক যায়যায়দিন প্রতিনিধি কাজী সামসুর রহমান চঞ্চল, ভোরের ডাক প্রতিনিধি সাব্বির আহম্মেদ, মাথাভাঙ্গার পরিবেশক জাকির হোসেন লিটন, রমজান আলী, আসাদ, শিপন ও আল আমিনের সহযোগিতায় আলোচনাসভা ও ইফতার পার্টি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। শেষে দৈনিক মাথাভাঙ্গার সফলতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন জীবননগর পাইলট হাইস্কুলের অবসরপ্রাপ্ত ধর্মীয় শিক্ষক মাও. গোলাম রব্বানী।

দামুড়হুদা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, দামুড়হুদার কৃতী সন্তান দামুড়হুদা স্পোর্টিং ক্লাবের সভাপতি এখলাস উদ্দীন সুজন প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে মাথাভাঙ্গার সাফল্য কামনা করে প্রাণপ্রিয় সম্পাদকের নিকট ঢাকা থেকে ইমেইলে বার্তা প্রেরণ করেছেন। তিনি ইমেইলে যে বার্তা প্রেরণ করেছেন তা হুবহু তুলে ধরা হলো। প্রাণপ্রিয় সম্পাদকেষু, আমার প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন। মাথাভাঙ্গার ২৬ বৎসর পূর্তিতে আপনাকে জানাই লাল গোলাপ শুভেচ্ছা। দীর্ঘ এই পথ চলায় সত্য ও ন্যায়ের পথে থেকে সমাজের আলোকবর্তিকার ভূমিকা পালনে মাথাভাঙ্গার কাণ্ডারি হিসেবে আপনাকে অভিবাদন। আপনার সাহসিকতা ও দূরদৃষ্টি ভবিষ্যতে মাথাভাঙ্গাকে আরও সমৃদ্ধ ও যুগপোযোগী করে গড়ে তুলবে। মাথাভাঙ্গা পরিবারের সকলকে এই শুভক্ষণে আমার শুভেচ্ছা। আপনাদের চলার পথ মসৃণ ও নিরাপদ হোক এই কামনায়। এখলাছ উদ্দিন সুজন সভাপতি, দামুড়হুদা ¯স্পোর্টিং ক্লাব, দামুড়হুদা, চুয়াডাঙ্গা।

মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, শুভানুধ্যায়ী, পাঠক ও সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন ও দীর্ঘায়ূ কামনার মধ্যদিয়ে মেহেরপুরে দৈনিক মাথাভাঙ্গা প্রত্রিকার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ অঞ্চলের মানুষের প্রাণের পত্রিকা মাথাভাঙ্গার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী তাই আমন্ত্রিতদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে অনুষ্ঠান হয়ে ওঠে প্রাণবন্ত। ইফতারের ঠিক আগ মুহূর্তে আলোচনা শুরু হলেও এক ফোটাও ক্লান্ত হননি রোজাদাররা। সহযোগিতার আশ্বাস, অন্যায়ের বিরুদ্ধে মাথাভাঙ্গার প্রতিবাদী ভূমিকা অব্যাহত ও পথচলায় বিভিন্ন পরামর্শ ব্যক্ত করেন অনুষ্ঠানের অতিথিবৃন্দ।

মেহেরপুর নিউজ ২৪ ডটকম কার্যালয়ে আয়োজিত প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান। সভাপতিত্ব করেন দৈনিক মাথাভাঙ্গা মেহেরপুর অফিস প্রধান মহাসিন আলী। গাংনী প্রতিনিধি মাজেদুল হক মানিকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও মেহেরপুর উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি রফিকুল আলম, উদীচী মেহেরপুর সংসদ সভাপতি অ্যাড. ইব্রাহিম শাহীন, জেলা শিল্পকলা একাডেমি সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তৃতায় মাথাভাঙ্গার দীর্ঘায়ু কামনা করে বলেন, প্রতিদিন সকালে তাজা তাজা খবর নিয়ে পাঠকের কাছে হাজির হয় মাথাভাঙ্গা। এর মধ্যদিয়ে প্রশাসনের সকলেই এলাকার সার্বিক চিত্র দেখতে পারেন। জনপ্রিয় পত্রিকাটি এ অঞ্চলের মানুষের অধিকার নিয়ে কথা বলে আসছে।

মাথাভাঙ্গার ২৬ বছরে পদার্পণে এর সম্পাদকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি আরও বলেন, স্থানীয়ভাবে সাংবাদিকতা এখন পেশায় পরিণত হয়েছে। তবে জাতীয় অনেক পত্রিকার নিজস্ব কৌশলের কারণে তার স্থানীয় সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন না। সেক্ষেত্রে দৈনিক মাথাভাঙ্গা যে স্বাধীনভাবে কাজ করছে এবং গণমানুষের পাশে থেকে এক অনন্য নজির স্থাপন করেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এলাকার সকল সাংবাদিক নিউজ প্রকাশের ক্ষেত্রে আরও বেশি সততা, বস্তুনিষ্ঠতা ও তথ্য প্রমাণ যাচাই-বাছাই করে নিশ্চিত হয়ে সংবাদ প্রকাশ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে সংবাদ, সাংবাদিকতা ও দৈনিক মাথাভাঙ্গার পাঠকপ্রিয়তা নিয়ে বক্তব্য রাখেন অতিথিবৃন্দ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শামীম জাহাঙ্গীর সেন্টু ও মাহাবুবুল হক মন্টু, সাংবাদিক কামারুজ্জামান, ওয়াজেদুল হক জেদু, গোলাম মোস্তফা, ফজলুল হক মন্টু, ফারুক হোসেন, জিএফ মামুন লাকি, আবু লায়েছ লাবলু, মেহের আমজাদ, রাশেদুজ্জামান, দৈনিক মাথাভাঙ্গা মুজিবনগর প্রতিনিধি শেখ শফি, বারাদী প্রতিনিধি আবু সুফিয়ান, আমঝুপি প্রতিনিধি সাদ আহম্মেদ, সাংবাদিক মাহবুব আলম, রাহিনুর জামান পলেন, সাফুয়ান উদ্দীন আহম্মেদ রুপক, শোয়েব রহমান, জুয়েল,  গালিব, মৃত্তিকা সভাপতি মানিক আহম্মেদ, মুজিবনগর প্রেসক্লাব সভাপতি মুন্সি ওমর ফারুক প্রিন্স, সাংবাদিক রামিজ আহসান, বেন ইয়ামিন মুক্ত, জাহিদুর রহমান, হামিদুর রহমান কাজল, উজ্জ্বল হোসেনসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে দৈনিক মাথাভাঙ্গার দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া মোনাজাত ও ইফতার অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন মুন্সি ওমর ফারুক প্রিন্স।

উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালের ১০ জুন দৈনিক মাথাভাঙ্গা আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। চুয়াডাঙ্গা শ্রীমন্ত টাউন হলে এ পত্রিকার প্রকাশনা উদ্বোধন করেন প্রয়াত প্রখ্যাত সাংবাদিক গিয়াস কামাল চৌধুরী। প্রতি বছর ১০ জুন প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ধুমধামের সাথে উদযাপন করা হয়। এবার পবিত্র রমজানের মধ্যে উৎসবের দিন পড়ার কারণে আয়োজনকে ছিটিয়ে ছড়িয়ে দেয়া হয়। মূল আয়োজন ঈদ পরবর্তী করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত রয়েছে।