বিভিন্ন দাবিতে চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরে এক্সট্রা মহুরারদের মানববন্ধন

স্টাফ রিপোর্টার: এক্সট্রা মহুরারদের (নকলনবিশ) স্কেলভুক্ত করার দাবি, বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধের দাবি এবং বিভিন্ন অনিয়ম বন্ধের দাবিতে বাংলাদেশ এক্সট্রা মহুরার (নকলনবিশ) অ্যাসোসিয়েশন চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর জেলা শাখা মানববন্ধন করেছে। চুয়াডাঙ্গায় গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রেসক্লাবের সামনে ৪ উপজেলার এক্সট্রা মহুরারদের অংশগ্রহণে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ এক্সট্রা মহুরার চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি গোলাম মস্তফা, সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদুজ্জামান, জীবননগর শাখার সহসভাপতি বিষ্ণ কুমার অধিকারী, দামুড়হুদা শাখার সহসভাপতি আতিকুজ্জামান, আলমডাঙ্গা শাখার সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।

মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, গতকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে জেলা সাব রেজিস্ট্রার অফিস কার্যালয়ের সামনের সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ এক্সট্রা মহুরার অ্যাসোসিয়েশন মেহেরপুর জেলা শাখার সভাপতি মিজানুর রহমান হিরনের নেতৃত্বে মানববন্ধনে মেহেরপুর জেলা শাখার উপদেষ্টামণ্ডলির সদস্য খোকন শেখ, ইসরাইল হোসেন, সহসভাপতি আব্দুর সবুর, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার জাহিদ পিয়াস, সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম ও মো. মাবুদসহ সদস্যরা মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন। এ সময় বক্তারা নকলনবিশদের স্কেলভুক্ত করা, বকেয়া পারিশ্রমিক বিল দ্রুত পরিশোধ করার দাবি জানান।

গাংনী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, সাব রেজিস্ট্রি অফিসে কর্মরত এক্সট্রা মহুরারদের (নকলনবিশ) স্কেলভুক্ত করার দাবিতে সারাদেশের ন্যায় মেহেরপুর গাংনীতে গতকাল সোমবার বেলা এগারটার দিকে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ এক্সট্রা মহুরার অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজিত সাব রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন অ্যাসোসিয়েশনের জেলা কমিটির সহসভাপতি আবুল কালাম আযাদ, গিয়াস উদ্দীন ও খাইরুল ইসলাম। পরে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে একটি স্মারকলিপি তুলে দেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। মানববন্ধনের বক্তারা বলেন, তারা দীর্ঘদিন ধরে স্বল্প পারিশ্রমিকে সাব রেজিস্ট্রি অফিসের গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পাদন করে আসছেন। কিন্তু তাদের জাতীয়করণ করা হয়নি। ফলে স্বল্প আয়ে নানান টানপোড়েনের মধ্য দিয়ে সংসার চলছে। অনেকেই এ কাজে সম্পৃক্ত হয়ে জাতীয়করণের আশায় অন্য কোনো পেশায় যেতে পারেননি। জীবনের বেশিরভাগ সময় এখানে ব্যয় করে এখন অনেকটাই অসহায় হয়ে পড়েছেন। তাই অনতিবিলম্বে তাদের বেতন স্কেল অর্ন্তভুক্ত করা না হলে মানবেতর জীবনযাপনের সম্মুখিন হতে হবে।