বিদ্যুত উত্পাদন খরচ সবাইকে দিতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রতিটি উপজেলায় একটি করে টেকনিক্যালস্কুল এবং বিভাগীয় সদরে একটি করে মহিলা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজস্থাপনের পরিকল্পনা বর্তমান সরকারের বিবেচনাধীন রয়েছে।তিনি বলেন, পরিকল্পনার প্রথম পর্যায়ে ১০০টি উপজেলায় একটি করে টেকনিক্যাল স্কুলস্থাপনের জন্য গঠিত প্রকল্পটি গত ১৯ জানুয়ারি একনেক সভায় অনুমোদিত হয়েছে।ইতোমধ্যে প্রকল্পের পরিচালক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। গতকাল বুধবার সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারিদলের আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথাবলেন। শেখ হাসিনা বলেন, দ্বিতীয় পর্যায়ে অবশিষ্ট ৩২৭টি উপজেলায় একটি করেটেকনিক্যাল স্কুল স্থাপনের লক্ষ্যে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব প্রক্রিয়াধীনরয়েছে।

বিদ্যুত ব্যবহারে নাগরিকদের যত্নবান হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেনপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, বিদ্যুতে ভর্তুকি দেয়া ঠিক নয়।উত্পাদনের খরচ সবাইকে দিতে হবে। সেদিকে খেয়াল রেখে সবাইকে তৈরি হতে হবে।তাতে আরও বেশি বিদ্যুৎ উত্পাদন করা যাবে।বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বেসরকারি দলের সাংসদ শেখ ফজলে নূরের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথাবলেন।দেশের ৬২ শতাংশ মানুষ বিদ্যুতের আওতায় রয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু রাজধানীবাসীকে নয়, সারা দেশকে লোডশেডিংমুক্ত করতে চাই। বিদ্যুতউত্পাদন যেমন বেড়েছে, ব্যবহারও বেড়েছে। তবে সবাইকে বিদ্যুত ব্যবহারেযত্নবান হতে হবে। নিজের বাসার সুইচ নিজে অফ করলে কারও সম্মান যায় না। আমিনিজেও তা করি। আমার ছেলেমেয়ে, নাতি-পুতিকে এই ট্রেনিং দেয়া রয়েছে। যাতেবের হওয়ার সময় বিদ্যুতের সুইচ অফ করে যায়।

প্রধানমন্ত্রী সরকারি কার্যালয়সহ সর্বত্র কর্মকর্তা-কর্মচারী, সাংসদ, জনপ্রতিনিধিসহ সবাইকে বিদ্যুতের ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার পরামর্শ দেন।শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের লক্ষ্য প্রত্যেক ঘরে ঘরে বিদ্যুতপৌঁছে দেয়া। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে ২০২১ সালের মধ্যে ২৪ হাজার মেগাওয়াট ও২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত উত্পাদনের লক্ষ্যমাত্রানির্ধারণ করা হয়েছে।সংসদ নেতা বলেন, বাংলাদেশকে লোডশেডিংমুক্ত করতে তার সরকার কয়লাভিত্তিকবিদ্যুতকেন্দ্র, পারমাণাবিক বিদ্যুতকেন্দ্র, জলবিদ্যুত কেন্দ্র ও সোলারপ্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুত উত্পাদন বৃদ্ধি করে চলেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমানে দেশে ১১ কোটি মোবাইল সিম ও চার কোটি মানুষইন্টারনেট ব্যবহার করছে। এ ক্ষেত্রে মোবাইল ও ল্যাপটপ চার্জেও প্রচুরবিদ্যুত খরচ হচ্ছে। তাই বিদ্যুত ব্যবহারকারীদের নিজ ব্যবহারের বিপরীতেবিদ্যুত বিল পরিশোধ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরকার ভর্তুকি দেবে না।

রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে বলা হয়েছে: দিদারুল আলমের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯১ সালেবিএনপি সরকার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের সুযোগ করে দিয়েছে, কোনো বাধা দেয়নি।আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে এ সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেয়।বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফেরত নেয়ার ব্যাপারে মিয়ানমারেরপ্রেসিডেন্টের সাথে আলোচনা হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান। তিনি বলেন, বর্তমানে ২৯ হাজার নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছে, অনিবন্ধিত কয়েক লাখ।আমরা নিবন্ধিত রোহিঙ্গাদের অবিলম্বে ফেরত নিয়ে যেতে বলেছি। আর যেনঅনুপ্রবেশ না ঘটে, সে বিষয়ে মিয়ানমারও আন্তরিক।বেলা সোয়া ১১টার দিকে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়।