বিএনপি ছাড়া অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে না : সিইসি

স্টাফ রিপোর্টার: বিএনপিকে ভোটে আনার উদ্যোগ নিতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নারাজ হলেও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য খালেদা জিয়ার দলকে গুরুত্বপূর্ণ মানছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা। তিনি বলেছেন, বিএনপি একটি বড় দল, তাদের ছাড়া সব দলের অংশগ্রহণ হয় কী করে? বিএনপি ছাড়া অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে না। গতকাল শুক্রবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের মনোনয়নপত্র দেয়ার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নে একথা বলেন নূরুল হুদা। তিনি আশা প্রকাশ করেন, বছরের শেষ দিকে অনুষ্ঠেয় একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে। আমরা এখনও আশা করি, বিএনপিসহ সব দল সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে। বিএনপি নেতারা অভিযোগ করে আসছেন, তাদের নির্বাচনের বাইরে রাখতে চাইছে আওয়ামী লীগ। তা প্রত্যাখ্যান করে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বলছেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন করা বিএনপির দায়িত্ব, তাদের ভোটে আনার দায়িত্ব আওয়ামী লীগের নয়। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের উল্টো বলছেন, তাদের (বিএনপির) কথাবার্তা শুনে মনে হচ্ছে, তারা নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার টালবাহানা করছে। নির্দলীয় সরকারের অধীনে না হওয়ায় বিএনপি দশম সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়নি। সে বার আলোচনা করতে খালেদা জিয়াকে টেলিফোন করে সাড়া না পাওয়ার পর বিএনপিকে বাদ দিয়েই নির্বাচন করে সরকারের আরেক মেয়াদ শেষ করতে যাচ্ছে। একাদশ সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে এলেও বিএনপি নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে আগের দাবি এখনও পুরোপুরি ছাড়েনি। তারা এখন বলছে, ভোটের সময় শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না। নির্বাচনকালীন ‘সহায়ক’ সরকার গঠনের দাবিও তোলে তারা।  এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১২ জানুয়ারি জাতির উদ্দেশে ভাষণে নির্বাচনের সময় গতবারের মতো ছোট সরকার গঠনের ইঙ্গিত দিলে তা নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব দেয় বিএনপি। কিন্তু বিএনপির সাথে আলোচনার প্রস্তাব নাকচ করেন শেখ হাসিনা। নির্বাচনকালীন ‘সহায়ক’ সরকারের প্রস্তাবও ‘গ্রহণযোগ্য নয়’ বলে উড়িয়ে দেন তিনি। এরই মধ্যে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলার রায়ের তারিখ হওয়ার পর বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, ‘সাজানো রায়’ দিয়ে তাদের নেত্রীকে নির্বাচনের বাইরে রাখার চক্রান্ত হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে জাতীয় নির্বাচনে বিএনপিকে রাখার গুরুত্ব তুলে ধরলেন সিইসি। তিনি এর আগে সংলাপের সময় বিএনপির সাথে বৈঠকে জিয়াউর রহমানের গুণগান গেয়ে আওয়ামী লীগের নেতাদের সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন।