বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

 

বিএনপি জিয়াউর রহমানের আদর্শেই আছে

স্টাফ রিপোর্টার: বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে তার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। শ্রদ্ধা জানানোর পর তিনি ওলামা দল আয়োজিত বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন। গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের কবরে খালেদা জিয়া শ্রদ্ধা জানান। এর আগে সেখানে ওলামা দল কোরআন খানির আয়োজন করে। এ সময় বিএনপির চেয়ারপারসনের সাথে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, মাহবুবুর রহমান, মির্জা আব্বাসসহ দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে বিএনপি নেতা ফখরুল বলেন, বিএনপি জিয়াউর রহমানের আদর্শেই আছে। সেখান থেকে সরে যায়নি। বিএনপিকে ধ্বংস করতে সরকার দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া থেকে শুরু করে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের নামেও শত শত মিথ্যা মামলা দিচ্ছে। কিন্তু চেয়ারপারসনের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে বিএনপিকে পর্যুদস্ত করা যাবে না। তিনি আরও সরকারের পুরো ষড়যন্ত্রটাই হচ্ছে বেগম খালেদা জিয়াকে মামলা দিয়ে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া। সেই সঙ্গে বিএনপিকে নির্মূল, নিঃচিহ্ন করার একটা চক্রান্ত শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, ‘সরকারের এই ষড়যন্ত্র’ কোনোদিনই সফল হবে না।

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অহিদুল ইসলাম বিশ্বাস স্বক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গতকাল সোমবার শহীদ রাষ্ট্রপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের ৩৫তম শাহাদৎ বার্ষিকী পালন করে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মুহা. অহিদুল ইসলাম বিশ্বাস সূর্যোদয়ের সাথে সাথে বিএনপি ও এ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও কর্মীদের সাথে নিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। কেদারগঞ্জ জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে উপস্থিত নেতাকর্মীরা সকলে কালো ব্যাজ ধারণ করেন। বেলা ৪টায় কেদারগঞ্জ দলীয় কার্যালয় হতে জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহেদ মো. রাজীব খান ও শাহাজান খানের নেতৃত্বে কালো ব্যাজ পরে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা শহরে শোক ৱ্যালি  বের করেন। বেলা সাড়ে ৪টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে আলোচনাসভা, দোয়া মাহফিল ও খাদ্য বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অহিদুল ইসলাম বিশ্বাসের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য মো. হাবিবুর রহমান, থানা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. এমএম শাহজাহান মুকুল, সাধারণ সম্পাদক হাজি আব্দুল খালেক, পৌর বিএনপির সভাপতি আওরঙ্গজেব বেল্টু, সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম মঙ্গল, পৌর বিএনপির যুগ্মসম্পাদক হাফিজুর রহমান, জেলা মৎস্যজীবীদলের নেতা ওহিদুল ইসলাম, জেলা ওলামা দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাজীব খান ও শাহজাহান খান, দর্শনা পৌর বিএনপির সভাপতি শাওন তরফদার, যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল হোসেন, জেলা আইনজীবী সমিতির সম্পাদক সৈয়দ হেদায়েত হোসেন আসলাম, আইনজীবী সমিতির দফতর সম্পাদক অ্যাড. জিল্লুর রহমান জালাল, কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসুল, আলডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির যুগ্মসাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক, বেগমপুর ইউনিয়ন ৮ নং ওয়ার্ড মেম্বার ওসমান, শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়ন বিএনপি নেতা শাহিন, রুহল আমিন, জেহালা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, ৫ নং ওয়ার্ড সভাপতি সেলিম ও অন্য নেতৃবৃন্দ। সভাপতির বক্তব্যে বলা হয়, যখন বাংলাদেশের গণতন্ত্র বিপন্নের পথে ঠিক সেই সময় শহীদ রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য ১৯ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন। ঠিক সেই সময় দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্রে তিনি নিহত হন। আমরা যারা শহীদ জিয়ার সৈনিক তারা সমস্ত বিভেদ ভুলে তার ১৯ দাফা কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য একত্রিত হয়ে কাজ করে বেগম জিয়া ও তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করে তুলতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।

 

সম্পাদক সৈয়দ হেদায়েত হোসেন আসলাম, আইনজীবী সমিতির দফতর সম্পাদক অ্যাড. জিল্লুর রহমান জালাল, কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসুল, আলডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির যুগ্মসাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক, বেগমপুর ইউনিয়ন ৮ নং ওয়ার্ড মেম্বার ওসমান, শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়ন বিএনপি নেতা শাহিন, রুহল আমিন, জেহালা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, ৫ নং ওয়ার্ড সভাপতি সেলিম ও অন্য নেতৃবৃন্দ। সভাপতির বক্তব্যে বলা হয়, যখন বাংলাদেশের গণতন্ত্র বিপন্নের পথে ঠিক সেই সময় শহীদ রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য ১৯ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন। ঠিক সেই সময় দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্রে তিনি নিহত হন। আমরা যারা শহীদ জিয়ার সৈনিক তারা সমস্ত বিভেদ ভুলে তার ১৯ দাফা কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য একত্রিত হয়ে কাজ করে বেগম জিয়া ও তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করে তুলতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।

 

চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম রতন স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ‘বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্টপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গণতন্ত্রের প্রবক্তা জিয়াউর রহমানের ৩৫তম শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষে জেলা বিএনপি বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে। জেলা বিএনপির কার্যায়ে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে দলীয় এবং কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। নেতাকর্মীরা কালো ব্যাজ ধারণ করেন। বেলা ১১টায় শ্রীমন্ত টাউন হলে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির যুগ্মআহ্বায়ক মজিবুল হক মালক মজু। প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্মআহ্বায়ক অ্যাড. ওয়াহেদুজ্জামান বুলা। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপি নেতা লে.কর্নেল (অব.) কামরুজ্জামান আজাদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সদস্য সরদার আলী হোসেন, পৌর বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম রতন, জেলা বিএনপি নেতা রেজাউল করিম মুকুট ও আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ সাইফুল ইসলাম। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর মন্টুর উপস্থাপনা বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা খাজা নাসির উদ্দীন শান্তি, রবিউল ইসলাম লিটন, কামরুজ্জামান টুনু, অ্যাড. এখলাছ উদ্দীন কাজল, জেলা যুবদলের সদস্য আশরাফ বিশ্বাস মিল্টু, মফিজুর রহমান মনা, মখলেছুজ্জামান মোখলেছ, ইমরুল হাসান জোয়ার্দ্দার, শরিফুজ্জামান বিলাস, আরিফুজ্জামান পিন্টু, জেলা জাসাসের সভাপতি শহিদুল হক বিশ্বাস, জেলা ওলামা দলের সভাপতি মো. ফজলুর রহমান, জেলা ছাত্রদলের যুগ্মঅহ্বায়ক মঞ্জুরুল জাহিদ, রেজাউল করীম, মাগরিবুর রহমান, শওকত আলী, ডালিম, মনিরুজ্জামান মনি, শাহাদাৎ মাস্টার, আতিয়ার রহমান লিটন, মিলন মিয়া, আইনাল হোসেন, লোকমান হোসেন, রুবেল মিয়া, জুয়েল প্রমুখ। আলোচনাসভা শেষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. শামীম রেজা ডালিম। সভা শেষে তবারক বিতরণ করা হয়।

এদিকে জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে লে. কর্ণেল অব:  কামরুজ্জামানের আয়োজনে বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার বাদ মাগরিব জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম নেতা লে. কর্নেল কামরুজ্জামানের বাসভবন সংলগ্ন অফিসে এ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্মআহ্বায়ক ওয়াহেদুজ্জামান বুলা, মজিবুল হক মালিক মজু, রেজাউল করিম মুকুট, শহিদুল ইসলাম রতন, আবু জাফর মন্টু, সৈয়দ শরিফুল আলম বিলাসসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। পরে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করা হয়। মোনাজাতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বিদেহী  আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়। পরে উপস্থিত নেতৃবৃন্দের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হয়।

আলমডাঙ্গা ব্যুরো জানিয়েছে, আলমডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর বিএনপির দু-গ্রুপই পৃথক পৃথকভাবে আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন। গতকাল সোমবার বিকালে আলমডাঙ্গা হাইরোডের বিএনপির দলীয় অফিসে ও হাজি মোড়ের চাতালের পাশে শহিদুল কাইনাইন টিলু মিয়ার বাড়ির সামনে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলমডাঙ্গা হাইরোডের বিএনপির অফিসে অনুষ্ঠিত ওই আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে পৌর বিএনপির সভাপতি আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজি মজিবর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসিরুল ইসলাম সেলিম, পৌর বিএনপির সম্পাদক আজিজুল হক পিন্টু, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন সিদ্দিকী, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন, দফতর সম্পাদক ফরহাদ হোসেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আজাদ হোসেন, আমিরুল ইসলাম, শাহ আলম, হাফিজুর রহমান চমক, ইউসুফ আলী, ইকদুল, ওয়াদুদ, টরিক, আবু শ্যামা,আশিক, সেলিম, নয়ন, রিগান, বিল্পব, আশরাফ’ল, ওমর, ঝন্টু, তরিকুল,জিনারুল, আরিফ,সোহাগ প্রমুখ।

অপরদিকে হাজি মোড়ের চাতালের পাশে শহিদুল কাইনাইন টিলু মিয়ার বাড়ির সামনে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিল উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ইফতেখারুজ্জামান লুডু খানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ সাইফুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সদস্য এমদাদুল হক ডাবু, পৌর বিএনপির সভাপতি ইসরাফ হোসেন, কুষক দলের সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন, ডা. আলাউদ্দিন, ইউসুফ আলী। জেলা বিএনপির সদস্য আনোয়ার হোসেনের পরিচালনায় নবনির্বাচিত বাড়াদি ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ পারভেজ, মহির উদ্দিন, ডা. আব্দুল লতিফ, মহিনুল ইসলাম, আমজাদ হোসেন, জমির উদ্দিন, ডা. শাহাজান, হামজাল মালিথা, আ. মান্নান, কুদ্দুস, সহিদুল মেম্বার, রেজাউল করীম, রানা, বজলু মেম্বার, যুবদলের নাসির উদ্দিন, মাগরিবুর রহমান, মুকুল, গোলাম হোসেন, সুন্নত, ছাত্রদলের শফিকুল আজম ডালিম, শওকত ওসমান, আবজাল, জনি, সাগর, রুবেল, জাহিদ, লিটন, রবিউল প্রমুখ।

দামুড়হুদা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, দিবসটি উপলক্ষে দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি তোফাজ্জেল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহমান মালিথা, হাউলী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ, বিএনপি নেতা ইউপি সদস্য আলেফ খাঁ, কবির হোসেন, যুবদল নেতা একরামুল মেম্বার, আব্দুর রশিদ, ছাত্রদল নেতা আরিফুল ইসলাম, জনি, সবুজ, রানা, হাফিজ, আব্বাস প্রমুখ। আলোচনা শেষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

ভালাইপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, আলমডাঙ্গার ভাংবাড়ী ইউনিয়ন যুবদলের উদ্যোগে বেলা সাড়ে ৫টার দিকে বগাদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আলোচনাসভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি টিপু সুলতানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা যুবদলনেতা দেলোয়ার জাহান ঝন্টু। বিশেষ অতিথি ছিলেন ভাংবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি সাজিদুল হক, গাংনী ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি গিয়াস উদ্দিন বাবু প্রমুখ। আলোচনাসভা ও দোয়ার অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মওলানা সেলিম রেজা।

দর্শনা অফিস জানিয়েছে, দর্শনায় বিএনপির তিনটি পক্ষ পৃথক পৃথকভাবে দোয়া ও আলোচনা মাহফিল, কাঙ্গালি ভোজ এবং শোক ৱ্যালির মধ্যদিয়ে জিয়াউর রহমানের ৩৫তম শাহাদত বার্ষিকী পালিত হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেলে প্রয়াত বিএনপি নেতা আক্তারুল ইসলামের গদিঘর নামকস্থানে অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন দর্শনা পৌর বিএনপির সভাপতি মাহমুদুর রহমান তরফদার শাওন, সহসভাপতি হাবিবুর রহমান বুলেট, যুগ্মসম্পাদক ইকবাল হোসেন, বিএনপি নেতা মোমিনুল ইসলাম, আ. হান্নান, নুরু মিয়া, যুবদল নেতা জালাল উদ্দিন, ছাত্রদলনেতা ব্রাইট প্রমুখ।

দর্শনা পৌর বিএনপির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভার সভাপতিত্ব করেন, বিএনপি নেতা আব্দুল মোমিন। আলোচনা করেন দর্শনা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মহিদুল ইসলাম, বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম, নাহারুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর আলম চঞ্চল, অপু সুলতান, টুটুল শাহ, সেলিম মেহফুজ মিল্টন প্রমুখ।

পুরাতন বাজারে অনুষ্ঠিত সভার সভাপতিত্ব করেন পৌর বিএনপির একাংশের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল ইসলাম খোকন। আলোচনা করেন, দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সভাপতি খাজা আবুল হাসনাত, বিএনপি নেতা আব্দুল হামিদ, আব্দুল হাই, মিল্লাত, লুতফর রহমান প্রমুখ।

আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি জানিয়েছেন, আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে গতকাল সন্ধ্যা ৬টার দিকে দলের অস্থায়ী কার্যলয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আতিয়ার রহমান। প্রধান অতিথি ছিলেন জীবননগর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খান খোকন। বক্তব্য রাখেন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সোনা, সাংগঠনিক সম্পাদক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আজিম খান, শিক্ষক মনোয়ার হোসেন, ডিমন, মোমিন, যুবদল নেতা শমসের, ফয়েজ ও জিয়া। উপস্থাপনা করেন, ছাত্রদল নেতা সাইদুর রহমান বাবু। দোয়া পরিচালনা করেন, হাফেজ আব্দুস সামাদ।

মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, বেলা ১১ সাবেক এমপি বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মাসুদ অরুনের নেতৃত্বে মেহেরপুর জেলা বিএনপি বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে। তার অংশ হিসেবে মেহেরপুর মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স মিলনায়তনে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুর রহমান। প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক এমপি মাসুদ অরুন। আলোচনাসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মুজিবনগর উপজেলা চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, সদর উপজেলা বিএনপির প্রধান উপদেষ্টা শহিদুল হক মাস্টার, পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক আবু ওবাইদুল্লাহ সেন্টু জেলা বিএনপির দফতর সম্পাদক আব্দুর রহিম, জেলা বিএনপি’র সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ান হাবু, মুজিবনগর উপজেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রশিদ, সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাবুদ্দিন মোল্লা, তাঁতি দলের সভাপতি আরজুল্লাহ মাস্টার বাবলু, জেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি গুরুদাস হালদার, জেলা স্বেচ্ছা সেবকদলের যুগ্মআহ্বায়ক তোফায়েল আহম্মেদ, ছাত্র নেতা আহমেদ রাজিব খান, সোহেল হোসেন প্রমুখ।

এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাসুদ অরুণ বলেন, শহীদ জিয়ার প্রদর্শিত পথেই দুঃশাসন মুক্ত বহু দলীয় গনতন্ত্রের বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। তিনি আরো বলেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে একদলীয় শাসনের বিরুদ্ধে রাজ পথের সংগ্রামকে বেগবান করতে হবে।

এদিকে শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষে জেলা বিএনপির শাহাজীপাড়াস্থ কার্যালয়ে এক আলোচনাসভা, দোয়া মাহফিল ও কাঙালি ভোজের আয়োজন করা হয়। আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি আনছারুল হক। আলোচনাসভায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপি নেতা ইসলাম আলী মাস্টার, আলমগীর হোসেন, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক জহুরুল ইসলাম (বড় বাবু), জেলা তরুন দলের আহ্বায়ক কাজী মিজান মেনন। উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা হাসিবুর জামান স্বপন ও নাসির উদ্দিন, জেলা যুবদলের যুগ্মআহ্বায়ক প্রভাষক ফয়েজ আহম্মেদ, যুবদলের নেতা নুর তাজুল, সামছুল আলম, মাহিনুর বাবু, ইমন বিশ্বাস, ছাত্রদল নেতা রনি, লিটন, সানি, ঝালাই লিটন, নাঈম প্রমুখ।

গাংনী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, দিবসটি উপলক্ষে গাংনী উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে পতাকা উত্তোলন, আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জেলা বিএনপি সভাপতি সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমান সবার কথা ভেবে সব দলকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। প্রবর্তন করেছিলেন বহুদলীয় গণতন্ত্র। বর্তমান সরকার একদলীয় শাসন কায়েম করেছে উল্লেখ করে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির এই নেতা আরো বলেন, অধিকার নিয়ে কথা বললেই মামলা-হামলার শিকার হতে হয়। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে বেগম জিয়ার নেতৃত্বে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। অধিকার আদায়ের জন্য সকল নেতাকর্মীদের তিনি স্বোচ্ছার ভুমিকা পালনের আহবান জানান।

উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল হকের সভাপতিত্বে ও পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন মেঘলার সঞ্চালায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএপি সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু, পৌর বিএনপি সভাপতি মুরাদ আলী, উপজেলা যুবদলের সভাপতি আক্তারুজ্জামান, সম্পাদক বুলবুল, ধানখোলা ইউপি বিএনপি সভাপতি ও নব নির্বাচিত চেয়্যারম্যান আখেরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, ষোলটাকা ইউপি বিএনপি সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আব্দাল হক, গাংনী ছাত্রদল নেতা নাজমুল হোসেন ও ইমনসহ নেতৃবৃন্দ। এদিকে বিকেলে বিএনপি নেতা জাভেদ মাসুদ মিল্টনের উদ্যোগে গাংনী কার্যালয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদৎ বার্ষিকী পালনে পতাকা উত্তোলন, আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। পৌর জিয়া পরিষদের সভাপতি আহসান হাবীব বাবুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভুট্টো, বামন্দী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়াল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান গাড্ডু, বিএনপি নেতা আবুল হাসেম ফুলচাঁদ, রাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলফাজ উদ্দীন কালু, ষোলটাকা ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনি, ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপি সাধারণ সম্পাদক ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাহিদুল ইসলাম, যুবদল নেতা বুলবুল, জামাল, সোহরাব, উপজেলা ছাত্রদল সম্পাদক কাওছার, ছাত্রদল নেতা চপল বিশ্বাস ও বামন্দী ইউপি বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন-অর-রশিদ বাচ্চুসহ নেতৃবৃন্দ।

অনুষ্ঠানের বক্তারা জিয়াউর রহমানের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বলেন, ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে জিয়াউর রহমান জনগণের স্বার্থ দেখেছেন। একারণে ক্ষমতালোভীরা তাকে হত্যা করে কাল অধ্যায় রচনা করেছিলো। বর্তমানে বিএনপিকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র চলছে। তাই জাভেদ মাসুদ মিল্টনের নেতৃত্বে বিএনপি চেয়ারপার্সনের নির্দেশনা মেনে সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করতে হবে।

কালীগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করে। কর্মসূচীর মধ্যে ছিলো গতকাল সকালে থানা রোডের বিএনপি’র কার্যালয়ে দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জিয়াউর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, জিয়াউর রহমানের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির যুগ্মআহ্বায়ক, সাবেক প্যানেল মেয়র হামিদুল ইসলাম হামিদ। প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাবেক মেয়র আলহাজ্ব মাহবুবার রহমান। আরও বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সদস্য ও বারোবাজার ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, ৭নং রায়গ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জহুরুল ইসলাম জর্দ্দার, ১০ নং কাষ্টভাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপিরর সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান মিলন, বিএনপি নেতা মসলেম উদ্দিন মাস্টার, উপজেলা যুবদলের সভাপতি সাইদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর মিলন, পৌর যুবদলের জবেদ আলী, সাধারণ সম্পাদক শাহাজান আলী খোকন, শ্রমিক নেতা ফরিদ উদ্দিন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি তোফাজ্জেল হোসেন তপন, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, যুবনেতা শাহীন লস্কার, ছাত্রনেতা সামাদ, জাহিদ হোসেন, সোহাগ, লিংকন প্রমুখ।