বাংলাদেশ পুলিশে নতুন নিযুক্ত চুয়াডাঙ্গার ৭৩ জনের প্রশিক্ষণ শুরু

 

রফিকুল ইসলাম: বাংলাদেশ পুলিশে চুয়াডাঙ্গার ৭৩ জন যুক্ত হয়েছে। এর মধ্যে নারী ৯ জন। কনস্টেবল পদে নিয়োগের নিমিত্তে প্রাথমিক নির্বাচিতদের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় রয়েছে একজন নারীসহ ১৭ জন। এরা ইতোমধ্যেই প্রশিক্ষণে অংশ নিচ্ছেন। ৬ মাস প্রশিক্ষণ শেষে চূড়ান্ত নিয়োগপত্র নিয়ে দায়িত্ব পালন শুরু করবেন এরা। পুরুষ সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে খুলনায় আর নারী সদস্যদের রংপুরে। ১ নভেম্বর থেকে প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলার যে ৭৩ জন বাংলাদেশ পুলিশে কনস্টেবল পদে নিয়োগ লাভ করেছে এদের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় যারা তারা হলেন- আলমডাঙ্গার বটিয়াপাড়া গ্রামের জামসেদুর রহমানের ছেলে আনদানুর রহমান, আলমডাঙ্গা কলেজপাড়ার সিরাজুল ইসলামের ছেলে আলী রেজা সুমন, কায়েতপাড়ার ইছহাক আলীর ছেলে বাপ্পী আলী, খোরদ গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে রাবিউল ইসলাম, দামুড়হুদার ইমারত আলীর ছেলে হারুন অর রশিদ, চণ্ডিপুর গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে সাজু মিয়া, আলমডাঙ্গা পাইকপাড়ার আনছার আলীর ছেলে নাজমুল হুসাইন, বড় গাংনীর আজিবর রহমানের ছেলে ইমাম সাবিত, দামুড়হুদার কামারপাড়ার মৃত শামসুল আলমের ছেলে এসএম রাসেুল ইকবাল সেতু, চুয়াডাঙ্গা গোরস্তানপাড়ার মৃত আব্দুল গনির ছেলে ফয়সাল মিয়া, দামুড়হুদা ধান্যঘরার আজমল হকের মেয়ে আজমিরা খাতুন, ধান্যঘরার নাজমুল হকের ছেলে আদিব বীন নাজমুল, দক্ষিণ চাঁদপুর গ্রামের মনোয়ার হোসেনের ছেলে সাইফুল ইসলাম, পারকৃষ্ণপুর গ্রামের আহসান হাবিবের ছেলে অনিক হুসাইন, ইব্রাহিমপুর গ্রামের সানোয়ার হোসেনের ছেলে সালমান শাহ, জীবননগর দেহাটির আরিফ মণ্ডলের ছেলে আশিকুর রহমান ও দামুড়হুদা হুদাপাড়ার আবু বক্কর সরদারের ছেলে শরিফুল ইসলাম।

পোষ্যকোটায় প্রাথমিকভাবে যারা নির্বাচিত তারা হলেন- আলমডাঙ্গা মহেশপুরের জহরুল ইসলামের ছেলে নাইমুদল হাসান, কালিদাসপুর গ্রামের শফিউদ্দীনের ছেলে তৌফিকুজ্জামান, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের কুতুবপুরের লিয়াকত হোসেনের ছেলে হাসানুজ্জামান রনি, বড় গাংনী গ্রামের শামসুল হকের ছেলে নাহিদ হাসান, হাটকালুগঞ্জের মৃত হাজি গোলাম মোস্তফার ছেলে কাজী ইব্রাহিম আহম্মদ। এছাড়া সাধারণ কোটায় প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত নারীদের মধ্যে রয়েছে চুয়াডাঙ্গা সিঅ্যান্ডবিপাড়ার আবু বক্কর সিদ্দিকের মেয়ে ফারিয়া খাতুন, জীবননগর পুরন্দপুর গ্রামের মল্লিক বিশ্বাসের মেয়ে ঝুমুর খাতুন, আলমডাঙ্গা বড় গাংনীর বজলুর রহমানের মেয়ে ফারজানা খাতুন, জেলা সদরের শরিসাডাঙ্গার আবুল হোসেনের মেয়ে জোসনা খাতুন, নূরনগর কলনীর দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে নিলুফা ইয়াসমিন, দামুড়হতুদার হাফিজুর রহমানের মেয়ে হাফিজা খাতুন, জীবননগর কুলতলার ইকরামুল হকের মেয়ে সোনিয়া খাতুন ও আলমডা্ঙ্গা রোয়াকুলির কামাল হোসেনের মেয়ে অনিতা খাতুন। সাধারণ পুরুষ কোটায় যারা নিয়োগের জন্য নির্বাচিত তরা হলো- জীবননগর গয়েশপুরের শাহাবুদ্দিনের ছেলে হৃদয় আলী, দামুড়হুদা জাহাজপোতা গ্রামের জামসের আলীর ছেলে মামুন রেজা, বিষ্ণপুর গ্রামের ওয়াজেদ আলীর ছেলে সুমন আহম্মেদ, জেলা সদরের হায়দারপুরের মোহাম্মদ আলীর ছেলে আজমুল হক, শম্ভুনগর গ্রামের মৃত আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে সবুজ আলী, লোকনাথপুর গ্রামের মিন্টু মিয়ার ছেলে ফরহাদ হোসেন, ইব্রাহিমপুরের রফিকুলের ছেলে সুমন মাহম্মুদ, আলমডাঙ্গা কায়েতপাড়ার লাল মোহাম্মদের ছেলে রোজন আলী, দামুড়হুদার হাতিভাঙ্গা গ্রামের ইদ্রীস আলীর ছেলে অনিক হোসেন, হোগলডাঙ্গার বেল্টু মিয়ার ছেলে শিমুল আলী, ফুলবাড়ির আব্দুল আজিজের ছেলে ইমরান হোসেন, দর্শনা মোবারকপাড়ার মহিউদ্দীনের ছেলে আব্দুল্লাহ অল মাসুদ, জেলা সদরের দোস্ত গ্রামের আনিছুর রহমানের ছেলে আল আমিন, জীবননগর কাটাপোলের মজিবুর রহমানের ছেলে কামরুজ্জামান জিকু, দামুড়হুদা চণ্ডিপুরের ডালিম হোসেনের ছেলে মিনহাজুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা খাড়াগোদার ষষ্ঠি সরকারের ছেলে কৃষক সরকার, আলমডাঙ্গা হাকিমপুরের হোসেন আলীর ছেলে মিঠন হোসেন, জীবননগর বাজদিয়ার আলতাফ হোসেনের ছেলে আব্দুস সালাম, কাটাপোলের আইনাল হকের ছেলে রুবেল হাসান, মানিকপুরের আমিরুল ইসলামের ছেলে মেহেদী হাসান, জীবননগরের আব্দুল হামিদের ছেলে ইকরামুল হক, জেলা সদরের মোহাম্মদজমা গ্রামের শামসুল আলমের ছেলে জুয়েল রানা, জীবননগর উথলীর জামাত আলীর ছেলে রুহুল আমিন, দামুড়হুদার উজিরপুর গ্রামের টুটুল হোসেনের ছেলে চঞ্চল হোসেন, জীবননগর গহেশপুরের আবু সিদ্দিকের ছেলে শাহীন মিয়া, পাথিলা গ্রামের সামউল হকের ছেলে মামুন রেজা, দামুড়হুদা ফকিরপাড়ার আহম্মদ আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম, জেলা সদরের আকন্দবাড়িয়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে সোহেল হোসেন, কাথুলীর মনসের আলীর ছেলে মুস্তাফিজুর রহমান, আলমডাঙ্গা নওদা দুর্গাপুরের মৃত হানেফ আলীর ছেলে সুইট আলী, কুড়ুলগাছির আব্দুল হালিমের ছেলে সোহাগ হোসেন, দামুড়হুদা গোপালপুরের ফরজ আলীর ছেলে আপন চৌধুরী, পুরাতন হাউলীর হাবিবুর রহামনের ছেলে সাইফুর রহমান, মুন্সিপুরের নায়েব আলীর ছেলে পায়েল হোসাইন, ইশ্বরচন্দ্রপুরের জাহিদুল ইসলামের ছেলে রাশেদুল ইসলাম, জয়রামপুরের আলাউদ্দীনের ছেলে মামুন আলী, কালিয়াবকরি গ্রামের সিয়ামত আলীর ছেলে ছিবগাতুল্লাহ, জেলা সদরের শৈলমারীর হায়াত আলীর ছেলে নুরুজ্জামান, কালুপোলের আতিয়ার রহমানের ছেলে সজল হোসেন, দামুড়হুদা ছয়ঘরিয়ার রহমত উল্লার ছেলে শফি উদ্দীন, বিষ্ণপুরের রবিউল হকের ছেলে শামীম রেজা, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের হাসনহাটির নাজিম উদ্দীনের ছেলে আব্দুস সালাম ও দামুড়হুদা দশমীর রবিউল ইসলামের ছেলে শাখাওয়াত হোসেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশ পুলিশে নিয়োগের নিমিত্তে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত চুয়াডাঙ্গার ৭৩ জনকে গত ৩১ অক্টোবর প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রশিক্ষণ শেষে চূড়ান্ত নিয়োগ নিয়ে নিষ্ঠার সাথে ওরা দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হবে বলে আমরা আশা করি।

উল্লেখ্য, গত ২৭ সেপ্টম্বর চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইনে শারীরিক পরীক্ষা ও ২৯ সেপ্টেম্বর লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।