বাংলাদেশ পরিস্থিতি উদ্বিগ্ন চীন-কানাডা মীমাংসা চায় ভারত

স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ উপায়ে মতপার্থক্য দূর করার পক্ষে মত দিয়েছে ভারত। বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের মুখপাত্র সুজিত ঘোষ গতকাল সোমবার এ মন্তব্য করেন। অন্যদিকে ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত লি জুন ও কানাডার রাষ্ট্রদূত হিদার ক্রুডেন পৃথক বিবৃতিতে রাজনৈতিক সহিংসতা বেড়ে যাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে সুজিত ঘোষ বলেন, বাংলাদেশের জনগণই তাদের ভাগ্য নির্ধারণ করবে। বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করে ভারত। বাংলাদেশের মতো বহুদলীয় গণতন্ত্রের দেশে আলোচনা ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে মতপার্থক্য দূর করাটা সবচেয়ে ভালো। এ প্রক্রিয়া গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করবে। আর এর মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে।
ঢাকায় নিযুক্ত কানাডার রাষ্ট্রদূত হিদার ক্রুডেন এক বিবৃতিতে বলেন, বাংলাদেশে মরণঘাতী রাজনৈতিক সহিংসতা বেড়ে যাওয়ায় কানাডা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। কারণ, এতে লোকজন হতাহত হওয়ার মধ্যদিয়ে চরম মূল্য দিতে হচ্ছে। সম্প্রতি ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হতাশার সাথে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সহিংসতা বন্ধ করা এবং শান্তিপূর্ণ উপায়ে বর্তমান সমস্যার সমাধানের জন্য সব পক্ষের প্রতি কানাডার আহ্বান অব্যাহত রয়েছে।

কানাডার রাষ্ট্রদূত তার বিবৃতিতে নাগরিকের গণতান্ত্রিক অধিকার হিসেবে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ-সমাবেশের প্রতি সমর্থন জানালেও সব ধরনের সহিংসতার বিরোধিতা করেছেন। তিনি চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনে সব রাজনৈতিক দলকে আলোচনায় বসার তাগিদ দিয়েছেন। সেইসাথে আগামী নির্বাচন সব দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ, বিশ্বাসযোগ্য এবং শান্তিপূর্ণভাবে আয়োজন নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। হিদার ক্রুডেন বলেন, ‘নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য করতে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে গঠনমূলক সংলাপ অপরিহার্য। দুর্ভাগ্যজনক হচ্ছে, হরতাল কিংবা গ্রেফতার সংলাপের জন্য সহায়ক নয়। বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়তার জন্য কানাডা তৈরি রয়েছে।’

ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জুন রোববার এক বিবৃতিতে বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে সম্প্রতি যা ঘটেছে, এতে এ দেশের জনগণের মতো আমিও গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেয়ার মাধ্যমে একে অন্যের প্রতি সদিচ্ছার ইঙ্গিত দেবে। এতে সংলাপের মাধ্যমে মতপার্থক্য দূর করার ধারণাটির ওপর আবার জনগণের আস্থা ফিরে আসবে।