বাংলাদেশি ১৪ লাখ শ্রমিক নেয়ার খবর অস্বীকার করলো মালয়েশিয়া

 

স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ থেকে ১৪ লাখ শ্রমিক নেয়ার কথা অস্বীকার করেছে মালয়েশিয়া। সম্প্রতি খবর রটে যায় যে, মালয়েশিয়ায় শ্রমিক সঙ্কট কাটানোর জন্য বাংলাদেশ থেকে ১৪ লাখ শ্রমিক নেয়া হবে। কিন্তু তথ্য সঠিক নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে সেদেশের সরকার। এ নিয়ে সেখানকার পার্লামেন্ট দেওয়ান রাকায়েতে প্রশ্নোত্তর- পর্বে মানবসম্পদ বিষয়ক উপমন্ত্রী ইসমাইল আবদ মুত্তালিব বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে ১৪ লাখ শ্রমিক আনার কথা সঠিক নয়। তবে যারা এরই মধ্যে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য সরকারি পর্যায়ে নিবন্ধিত হয়েছেন তাদের বিষয়টি তিনি তুলে ধরেন। গতকাল এ খবর দিয়েছে মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা।

এতে বলা হয়, গত বছর সরকারি পর্যায়ে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেয়ার ক্ষেত্রে মালয়েশিয়ার সাথে দু দেশের সরকারের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এ প্রকল্প দু দেশের সরকারের মধ্যে সীমাবদ্ধ বলে একে জি-টু-জি বলা হয়। এমপি আবদুল মান্নান ইসমাইলের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ সমঝোতা স্মারকের অধীনে শুধু জিটুজি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমেই বাংলাদেশি শ্রমিক মালয়েশিয়ায় আসতে পারবে। এতে কোনো এজেন্ট বা তৃতীয় পক্ষ নেই। এক্ষেত্রে মালয়েশিয়া সরকারের বেশ কিছু শর্ত মানতে হয়। যেমন নিয়োগ করা শ্রমিককে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হয়। তাকে প্রশিক্ষণ দিতে হয়। তাদেরকে রয়েল মালয়েশিয়া পুলিশ ও অভিবাসন বিভাগ স্ক্রিনিং করে। ২৩ সেপ্টেম্বর নাগাদ স্ক্রিনিঙের জন্য আট হাজার ৭০৩ জন শ্রমিকের ডকুমেন্ট পাঠানো হয়েছে। রয়েল মালয়েশিয়া পুলিশ তার মধ্য থেকে দু হাজার ২৮৮ জনের ডকুমেন্ট স্ক্রিনিং করেছে। তাতে ৭৫ জনের বিরুদ্ধে পাওয়া গেছে ক্রিমিনাল রেকর্ড। তিনি আরও জানান, জিটুজি ব্যবস্থাপনায় এক হাজার ৬৪০ বাংলাদেশি শ্রমিকের প্রয়োজনের কথা জানিয়ে আবেদন করেছে ১১টি বৃক্ষরোপণবিষয়ক কোম্পানি। এর মধ্যে অনুমোদন দেয়া হয়েছে মাত্র তিনটিকে। এগুলো হলো- সিমি ডারবি, ইউপি প্ল্যান্টেশন এবং কুলিম প্ল্যান্টেশন। বিদেশি শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে যেসব নিয়োগদাতা বৈধ তারাই আবেদন করতে পারবেন। ওদিকে আবদুল মান্নান একটি সম্পূরক প্রশ্ন করেন মন্ত্রীকে। তাতে তিনি জানতে চান দেশে-বিদেশি শ্রমিকের সংখ্যা কমিয়ে আনতে সরকার কি কি পদক্ষেপ নিয়েছে। জবাবে মন্ত্রী বলেন, এক্ষেত্রে বাস্তবায়ন করা হয়েছে ন্যাশনাল ব্লু ওশিন কৌশল। তাতে ফল এসেছে। গত বছর মালয়েশিয়ায় বিদেশি শ্রমিক ছিলো ২২ লাখ। তা কমে এখন দাঁড়িয়েছে ২১ লাখে। স্থানীয় নিয়োগদাতাদের উৎসাহিত করা হচ্ছে যেন তারা স্থানীয় শ্রমিকদের প্রাধান্য দেন। এরপর যেসব পদ খালি থাকবে তার জন্য যেন তারা বিদেশি শ্রমিকের জন্য আবেদন করে।