বহালগাছি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সরকারি গাছ কাটার প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের বহালগাছি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিম উদ্দীনের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের গাছকাটার প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা শিক্ষা অফিস স্মারক নং ৩/৪ তারিখে ৩/১/১৬ মোতাবেক ৪ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে। গঠিত কমিটি গত ১০ জানুয়ারি সরেজমিনে বিদ্যালয়টি পরির্দশন করেন। এ সময় তারা বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, সদস্য, এলাকাবাসী ও প্রধান শিক্ষকসহ ৭ জনের লিখিত ও মৌখিক শুনানি গ্রহণ করে। একই দিন তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন উপজেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট দাখিল করে। দাখিলকৃত প্রতিবেদনে ৯ হাজার টাকা মূল্যের একটি শিশুগাছ বিক্রির প্রমাণ মেলে। শিশুগাছটি সরকারি নীতিমালা অনুসরণ করে কাটা বা বিক্রি করা হয়নি। যা সরকারি নীতিমালার পরিপন্থি। এছাড়া বিক্রিত অর্থ বিদ্যালয়ের জমি রেজিস্ট্রি বাবদ খরচ করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত বছর জুলাই মাসে গাছটি কাটা হয়। গাছটি কাটার সময় বলা হয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েই গাছ কাটা হচ্ছে। যে কারণে তখন কেউ বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করেনি। পরবর্তীতে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসী লিখিত অভিযোগ দাখিল করে। লিখিত অভিযোগে শিশুগাছটির মূল্য প্রায় লক্ষাধিক টাকা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু তদন্ত প্রতিবেদনে গাছটির মূল্য ৯ হাজার টাকা ও গাছ বিক্রির টাকা দিয়ে বিদ্যালয়ের জমি রেজিস্ট্রির কথা বলা হয়েছে। কিন্তু রেজিস্ট্রি সংক্রান্ত কাগজপত্র তদন্ত কমিটির নিকট উপস্থাপন করা হয়নি বলে জানা যায়। অনেকে মন্তব্য করে বলেন, সরকারি বিদ্যালয়ের জন্য সরকারি গাছ কেটে জমি রেজিস্ট্রির বিষয়টি বিধি সম্মত নয়। বিষটির সঠিক তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।