বর্ধমান বিস্ফোরণের হোতা জেএমবির সদস্য ইউসুফ

 

স্টাফ রিপোর্টার: কাওসার নয়, বর্ধমানকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী জামায়াতুল মুজাহেদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য ইউসুফ মোল্লা। গত কয়েক দিনে ভারতের সিআইডির তদন্তে এমন তথ্যই উঠে এসেছে। গোয়েন্দাদের দাবি, ইউসুফই বর্ধমানে বসে বাংলাদেশের জঙ্গি নেটওয়ার্কটা চালাত।

এদিকে বীরভূমের কর্নীহারে কাদের নামের এক জঙ্গির আস্তানা আবিষ্কার করেছে গোয়েন্দারা। সেখান থেকে বেশ কিছু নথিপত্র উদ্ধার করেছে বলে কলকাতার মিডিয়ায় দাবি করা হচ্ছে। তবে পুলিশ এখনও সরাসরি কিছু জানায়নি। গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, কর্নীহারে যে আস্তানার খোঁজ মিলেছে সেখান থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির দিদির বাড়ি। প্রতিবছর দুর্গা পূজার সময় ওই বাড়ি গিয়ে দিদিকে প্রণাম করে আসেন প্রণব মুখার্জি। রাষ্ট্রপতির গ্রামের বাড়িও সেখান থেকে খুব একটা বেশি দূরে নয়। এমন একটি ভিভিআইপি জোনের নিরাপত্তা কেমন থাকে সেটাই জঙ্গিরা পরীক্ষা করে দেখতে চেয়েছিল। সে কারণেই বর্ধমানের এই জায়গাটিকে বেছে নেয়া হয়েছিল বলে দাবি করেছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।

গোয়েন্দাদের আরও দাবি, ইউসুফ মোল্লাই মূলত জঙ্গি নেটওয়ার্ক চালাতো। বর্ধমানের কিছু সদস্যও এই নেটওয়ার্কে যুক্ত হয়েছিলো। তারাই বর্ধমানের ম্যাপ বাংলাদেশের কয়েকজন জামায়াত নেতার কাছে পাঠান। তারাই এই বোমা বানানো এবং সেটি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়ার রুট বলে দিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে সংবাদ সম্মেলনে বর্ধমানে বিস্ফোরণকাণ্ডে রাজ্য সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা ব্যর্থতাকে দায়ী করেন সিপিএম নেতা বিমান বসু। তিনি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (এনআইএ) দিয়ে বর্ধমানকাণ্ডের তদন্তের দাবি জানান।
একই দাবি তুলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহাও। কংগ্রসের রাজ্য সভাপতি অধীর চৌধুরীও চান এনআইএ তদন্ত করুক এ ঘটনার। তবে বর্ধমানে বিস্ফোরণের ঘটনায় সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করার অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতা ও শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, এনআইএর ব্যাপার নিয়ে জল ঘোলা করে লাভ নেই। সত্য উদ্ঘাটন করবে রাজ্য পুলিশই।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি বলেন, বর্ধমানকাণ্ড নিয়ে বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেস একসুরে কথা বলছে। এটাই প্রমাণ করে তাদের মধ্যে রাজনৈতিক আঁতাত রয়েছে।
এদিকে, মঙ্গলবার বসিরহাটের হাসনাবাদ থানা পুলিশ সাদ্দাম হোসেন ও ফারুক হোসেন নামে যে দুজন বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেফতার করেছে তাদের জেরা করে মুর্শিদাবাদ নওদা শিমুলিয়া থেকে শেখ কাওসার নামে এক ভারতীয় জাল নোটের কারবারিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে বৃহস্পতিবার বসিরহাটের আদালতে তোলা হলে ৬ দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক। এছাড়া জামায়াত নেতা সন্দেহে বৃহস্পতিবার জাহাঙ্গীর নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে উত্তর চব্বিশ পরগনার বনগাঁ