বগুড়ায় মুক্তিপণ না পেয়ে ৭ বছরের শিশুকে হত্যা

 

স্টাফ রিপোর্টার: বগুড়ার আদমদীঘিতে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ না পেয়ে দুর্বৃত্তরা জিসান নামে ৭ বছরের শিশুকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে। গতকাল শুক্রবার সকালে উপজেলার মুরইল ঈদগামাঠের পাশের জলাশয়ে তার লাশ পাওয়া যায়। গত রোববার সন্ধ্যায় পার্শ্ববর্তী শাওইল গ্রামে পরিবারের সদস্যদের সাথে ইসলামী জলসা শুনতে গিয়ে শিশুটি অপহৃত হয়। ফুটফুটে এ শিশুটি নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়ায় শুধু তার পরিবারে নয়, পুরো গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্বজনদের আহাজারিতে এলাকার পরিবেশ ভারি হয়ে উঠেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে থানায় নেয়।

পুলিশ ও স্বজনরা জানান, আদমদীঘির মুরইল গ্রামের ইটভাটার ব্যবসায়ী বজলুর রশিদ বুলুর ছোট ছেলে জিসান এবার মুরইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়। গত রোববার বিকেলে পরিবারের সদস্যদের সাথে জিসান পার্শ্ববর্তী শাওইল গ্রামে ইসলামী জলসা শুনতে যায়। সন্ধ্যায় পিতার কাছে টাকা নিয়ে সে জিলাপি কিনতে দোকানে যায়। এরপর সে নিখোঁজ হয়, তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। সোমবার অজ্ঞাত ফোন থেকে পিতা বুলুকে জানানো হয় তার ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে। মুক্তিপণ ৫০ লাখ টাকা দিলে ছেড়ে দেয়া হবে। বুলু মঙ্গলবার আদমদীঘি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। বৃহস্পতিবার রাত ৭টা ১৯ মিনিটে মুক্তিপণের টাকার জন্য চাপ দেয়া হয়। বাধ্য হয়ে বুলু ৭ লাখ টাকা দিতে চাইলেও অপহরণকারীরা রাজি হয়নি। গতকাল শুক্রবার সকালে মুরইল ঈদগা মাঠের পাশে জলাশয়ে জিসানের লাশ পাওয়া যায়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। লাশের গলায় কাপড় দিয়ে ফাঁস দেয়া ছিলো। আদমদীঘি থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে দুর্বৃত্তরা শিশুটিকে হত্যা করে। তিনি আরও জানান, ঘাতকদের গ্রেফতারে চেষ্টা চালানো হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে থানায় নেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে নিহত শিশুর পিতা বুলু একটি মামলা করেছেন।