বক্তব্য ইতিবাচক তবে স্পষ্ট নয়

 

স্টাফ রিপোর্টার: জাতির উদ্দেশে দেয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যে সঙ্কট সমাধানের দরজা উন্মুক্ত হয়েছে বলে মনে করছেন বিশিষ্টজনরা। তারা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে বিরোধীদলের কাছে পরামর্শ চাওয়া ইতিবাচক। তবে তার বক্তব্য স্পষ্ট নয়। নির্বাচনকালীন সরকার বিষয়ে বক্তব্য আরও খোলাসা করলে এ নিয়ে বিভ্রান্তির অবকাশ থাকতো না।

বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হক প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বিষয়ে বলেন, তার এ বক্তব্যের মাধ্যমে সঙ্কট সমাধানের একটি দরজা উন্মুক্ত হয়েছে। তিনি সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচনের কথা বলেছেন। বিরোধীদলকে আহ্বান জানিয়েছেন। পরামর্শ চেয়েছেন। এতে আমি মনে করি, সমস্যার ৯৫ ভাগ সমাধান হয়েছে। এখন বিএনপিরও সাড়া দেয়া উচিত। এখন শুধু কে কি পদে থাকবেন তাই নির্ধারণের বিষয়। অর্থাৎ, প্রধান হিসেবে শেখ হাসিনা থাকবেন না খালেদা জিয়া থাকবেন নাকি অন্য কেউ আসবেন সে বিষয়ে আলোচনা করলেই হয়। এটা খুবই সামান্য বিষয়।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব সম্পর্কে বলেন, এর মাধ্যমে বিদ্যমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সমঝোতার পথেই এগিয়ে যাওয়া উচিত। এ ভাষণ প্রাক নির্বাচন রাজনীতিক ভাষণ। এতে গঠনমূলক উপাদান রয়েছে। এখন তা ধরেই এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা উচিত। বিরোধীদলের অবস্থানের বিষয়ে তিনি বলেন, বিরোধী দল কি চায় তা কখনো স্পষ্ট করেনি। কোথায়, কীভাবে তাদের সাথে একমত হওয়া যায় তা আলোচনা হতে পারে।

সংবিধান বিশেষজ্ঞ শাহদীন মালিক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবে বিস্তারিত কিছু নেই। তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন সময়ে সর্বদলীয় মন্ত্রিসভার বিষয়টি আরেকটু খোলাসা করে বললে ভালো হতো। বিরোধীদল থেকে কয়জন মন্ত্রী নেয়া হবে বা কোন দপ্তরে দেয়া হবে- এগুলো বিস্তারিত বললে ভালো হতো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক আমেনা মহসিন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে আমি অবাক হইনি। রাজনৈতিক যে ধারাবাহিকতা ছিলো তাতে এ বক্তব্য প্রত্যাশিত। তবে সর্বদলীয় সরকারের যে প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন তার মধ্যে দুটি সমস্যা রয়ে গেছে। বিরোধীদল যে নির্দলীয় সরকারের দাবিটি করছে এ ব্যাপারে কোনো বক্তব্য আসেনি। দ্বিতীয়ত, সরকারের নির্বাহী প্রধান কে হবেন বা তার ক্ষমতা কী হবে তা স্পষ্ট হয়নি। এতে নতুন কিছু নেই। আলোচনার বিষয়ে আওয়ামী লীগের আগ্রহ আছে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে এটা বাইরের দেশকে দেখানোর একটা চেষ্টা করা হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।