ফেনসিডিলসহ সুজন ও নিলুফা আটক : ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

দর্শনা বিজিবির ঈশ্বরচন্দ্রপুরে মাদক বিরোধী পৃথক অভিযান

দর্শনা অফিস: চুয়াডঙ্গাকে মাদক ও চোরাচালান মুক্ত করণের লক্ষ্যে ৬ বর্ডার গার্ডের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মেজর লুতফুল কবিরের নেতৃত্বে বিভিন্ন ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা মাদক এবং চোরাচালান বিরোধী অভিযান অব্যাহত রেখেছেন। সে লক্ষ্যে দর্শনায় বিজিবির অবিরাম মাদক বিরোধী ঝটিকা অভিযান চলছে। দর্শনা বিজিবি একই দিন পৃথক দুটি অভিযান চালিয়ে ফেনসিডিলসহ ঈশ্বরচন্দ্রপুরের সুজন ও নিলুফাকে আটক করলেও পালিয়েছে আরও ৮ জন অভিযুক্ত মাদক কারবারি। ১০ জনের বিরুদ্ধে থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে বিজিবি। গত রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে দর্শনা বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে হাবিলদার আশানুল হক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সঙ্গীয় সদস্যদের নিয়ে মাদকবিরোধী অভিযান চালান দর্শনা পৌর শহরের ঈশ্বরচন্দ্রপুরে। বিজিবি সদস্যরা ঈশ্বরচন্দ্রপুর গোরস্থানপাড়া থেকে আটক করেন খাদেম আলীর ছেলে সুজনকে (২৫)।

বিজিবির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সুজনের কাছ থেকে ২৫ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হলেও পালিয়ে যায় আরও ৪ জন অভিযুক্ত মাদক কারবারি। এ ঘটনায় হাবিলদার আশানুল হক বাদী হয়ে আটককৃত সুজনসহ একই মহল্লার আলী হোসেনের ছেলে হাফিজুর রহমান (৩০), ইছাহাক আলীর ছেলে জিয়াউর রহমান (৪০), সিরাজ উদ্দিনের ছেলে সুইট (২৫) ও ফনা শেখের ছেলে শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে দামুড়হুদা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে দর্শনা বিজিবি ক্যাম্পের নায়েক নজরুল ইসলাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সঙ্গীয় সদস্যদের নিয়ে মাদকবিরোধী অভিযান চালান ঈশ্বরচন্দ্রপুরে। বিজিবি সদস্যরা ঈশ্বরচন্দ্রপুরের ৪ রাস্তার মোড় থেকে আটক করেছেন মনিরুল ইসলামের স্ত্রী নিলুফাকে (২১)। বিজিবির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে নিলুফার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ২১ বোতল ফেনসিডিল। এ সময় পালিয়ে যায় আরও ৪ জন অভিযুক্ত মাদক কারবারি। এ ঘটনায় নায়েক নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে আটককৃত নিলুফাসহ আবুল হোসেনের ছেলে ঝন্টু মিয়া (৩৫), হারুন মিয়ার ছেলে সনিরুল ইসলাম (৪৫), সনিরুল ইসলামের স্ত্রী আলেয়া (৩৮) ও হাবিল মিয়ার স্ত্রী আকলিমার (৩০) বিরুদ্ধে দামুড়হুদা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। দর্শনা বিজিবি সদস্যরা দুটি মামলার পালাতক ৮ আসামি আটকে অভিযান অব্যাহত রেখেছেন।