ফরিদপুর ও আলমডাঙ্গার ৮ গরুব্যবসায়ী গুরুতর অসুস্থ

আলমডাঙ্গা গোহাটে অজ্ঞানপার্টির সদস্যদের অপতৎপরতা

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গা গোহাটে অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়ে এবার ফরিদপুর জেলার ৪ ও আলমডাঙ্গার ৪ গরুব্যবসায়ীসহ মোট ৮ জন মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদেরকে উদ্ধার করে হারদী হাসপাতাল, স্থানীয় ক্লিনিক ও পৌরসভার রেস্ট হাউজে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে।

জানা গেছে, ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার গজারিয়া গ্রামের মৃত খবির শিকদারের ছেলে আমির শিকদার (৫৫), আমির শিকদারের ছেলে শামীম শিকদার (৩০), মাসুদ মুন্সির ছেলে জাকির মুন্সি (৪০), আবু বকর তালুকদারের ছেলে মুরাদ তালুকদার (৩০) গতকাল বুধবার আলমডাঙ্গা গোহাটে আসেন গরু কিনতে। গতকাল দুপুরে তারা সকলে একসাথে গোহাটের কৃষিসেডে অবস্থিত অস্থায়ী হোটেলে ভাত খেয়েছেন। ভাত খাওয়ার পর পাশের দোকান থেকে পান কিনে খেয়েছেন। পান খাওয়ার পর পর তারা ক্রমেই অসুস্থ্য হতে থাকেন। এ সময় গোহাট মালিকপক্ষের সহযোগিতায় তাদেরকে হারদী হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। এদের অধিকাংশ গতকাল গভীর রাত অবধি অজ্ঞান অবস্থায় ছিলেন।

একই হোটেলে ভাত খেয়ে অসুস্থ্য হয়ে স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন আছেন ভাংবাড়িয়া গ্রামের মৃত সুরত আলীর ছেলে নায়েক (৪৬) ও চাঁদ আলী (৩৫), একই গ্রামের মৃত ছমিরুলের ছেলে রাজু (৩৫) ও খোরদ গ্রামের মৃত শাহাদত হোসেনের ছেলে তৈয়ব আলী (৩৮)। এরা সকলেই গতকাল গভীর রাত অবধি অজ্ঞান অবস্থায় ছিলেন। এদের কাছে মোট ৬ লাখ টাকা ছিলো। তার মধ্যে ২ লাখ টাকা অজ্ঞান পার্টি গায়েব করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

আলমডাঙ্গা পৌর মেয়র জানান, তিনি সংবাদ পাওয়ার পর পরই নিজের গাড়ি পাঠিয়ে অসুস্থ্যদের উদ্ধার করে হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। অসুস্থ্য একজনকে পৌরসভার রেস্ট হাউজে চিকিৎসাধীন রেখেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঈদের জমজমাট গোহাট উপলক্ষে আলমডাঙ্গা পৌর এসেম্বল কৃষিসেড ও তার আশপাশে অস্থায়ীভাবে বেশ কিছু দোকান গজিয়ে উঠেছে। ভাতের হোটেল মালিক রাধিকাগঞ্জের আফফান। এ ঘটনার পর থেকে তারা উধাও বলে অভিযোগ উঠেছে। এ কৃষিসেডের পাশে ২টি পান, সিগারেট ও কোমলপানীয়র দোকান রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে এ ২টি দোকানের একটি থেকে তারা পান, সিগারেট কিনে খেয়েছিলেন। এ ২টি দোকান মালিক হচ্ছেন রাধিকাপাড়ার ইসমাইলের ছেলে মুন্না ও তোফাজ্জেলের ছেলে মফি।

উল্লেখ্য, গত সপ্তায় আলমডাঙ্গার গোহাটে গরু কিনতে এসে শরিয়তপুরের ৩ জন গরুব্যাপারী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের মধ্যে বয়স্ক একজনকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে হাটমালিকপক্ষ শহরের একটি ক্লিনিকে ভর্তি করেন। বাকি দুজন কিছুটা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন।