পুলিশ অফিসার ঘেমে নেয়ে আগুন নিভিয়ে ছাড়লেন দীর্ঘশ্বাস

চুয়াডাঙ্গার গাড়াবাড়িয়ায় আশরাফ উদ্দীন হাত্যা মামলার আসামির বাড়ির বিচুলিগাদায় আগুন

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের গাড়াবাড়িয়া গ্রামের আশাদুল ও মাণ্টুর বাড়ির পাশে রাখা বিচুলিগাদায় আগুন লেগেছে। ঘটনাস্থলের পাশে পুলিশ মোতায়েন থাকা অবস্থায় গতরাত ৯টার দিকে আগুন লাগলো কীভাবে এটাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার এসআই মিজান সহকর্মীদের সাথে নিয়ে প্রানান্ত চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। আশাদুল ও মাণ্টু গাড়াবাড়িয়া গ্রামের আশরাফ উদ্দীন খুন মামলার আসামি।
প্রত্যক্ষদর্শী পুলিশ অফিসার এসআই মিজান বললেন, আগুন জ্বলতে দেখে বাড়ির সীমানা পাচিল টপকে ভেতরে ঢুকে দেখি বাড়িতে থাকা দু’নারী ঘরের মধ্যে ঢুকছেন। ওনারা জানালা দরজা বন্ধ করে রাখলেন। আমি ও আমার সাথে থাকা কনস্টেবলসহ কিছু প্রতিবেশীকে সাথে নিয়ে আগুন নেভাতে শুরু করি। ফায়ার সার্ভিসেও খবর দেয়া হয়। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা লাল গাড়ি নিয়ে ছুটতে শুরু করে। শহীদ আবুল কাশেম সড়কের মূল লেবেলক্রসিঙে গেট পড়ে থাকায় গাড়ি ঘুরিয়ে বেলগাছি হয়ে গাড়াবাড়িয়ার উদ্দেশে রওনা হওয়ার চেষ্টা করে। বেলগাছিতেও রেলগেট দীর্ঘ সময় ধরে নামিয়ে রাখার কারণে ফায়ার স্টেশনের সদস্যদের গাড়ি নিয়ে অনিশ্চয়তার প্রহর গুণতে শুরু করেন। একপর্যায়ে খবর পান গাড়াবাড়িয়ায় অবস্থানরত পুলিশদলই স্থানীয়দের সাথে নিয়ে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়েছেন। ফলে ফায়ার স্টেশনের গাড়ি শেষ পর্যন্ত ঘটনাস্থলে আর পৌঁছুতে হয়নি।
গত শনিবার আশরাফ উদ্দীনকে নৃশংসভাবে খুন করে তার গ্রাম্য প্রতিপক্ষ। জমিজমা নিয়ে সৃষ্ট বিরোধের জের ধরে খুনের পর আত্মগোপন করেছে মূল অভিযুক্ত ইকরামুল হক ইকরাসহ অধিকাংশ আসামি। আসামিদের একটি পেয়ারা গাছ কেটে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে বলে মৌখিকভাবে অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে। এরপর গতরাতে ঘটলো বাড়ির পাশে থাকা বিচুলিগাদায় আগ্নিকা-ের ঘটনা। যদিও পেয়ারাবাগান কেটে তছরুপ ও বিচুলি গাদায় অগ্নিকা-ের আড়ালে ষড়যন্ত্রের গন্ধ রয়েছে বলে মন্তব্য অনেকের। স্বয়ং পুলিশেরও মন্তব্য অনেকটা সেরকমই।