পুলিশের পদস্থ কর্তার শ্যালককে মারপিট : এএসআইকে ক্লোজডসহ তদন্ত কমিটি গঠন

চুয়াডাঙ্গা ফার্মপাড়া সংলগ্ন রেললাইনের পাশে প্রাতভ্রমণকালে পেছন থেকে মোটরসাইকেলের হর্ণ শুনেও সাইড না দেয়ায় বিপত্তি

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর থানার এএসআই তুহিনকে তার চাকরি থেকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়ে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে। জেলা পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তার নিকট আত্মীয়কে মারপিট করায় গতরাতে তাকে ক্লোজড করার পাশাপাশি তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (হেডকোয়াটার) আহসান হাবিবের স্ত্রীসহ শ্বশুরকুলের আত্মীয় বসবাস করেন ফার্মপাড়ায়। স্ত্রী তার ভাই মিঠুসহ ৪ জন সন্ধ্যার পর রাত আনুমানিক ৮টার দিকে ফার্মপাড়ার রেললাইনের ধার দিয়ে প্রাতভ্রমণ করছিলেন। এমন সময় পেছন থেকে সদর থানার এএসআই তুহিন মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়ার সময় হর্ণ বাজান। প্রাতভ্রমণে থাকা একেক জন একেক দিকে সরে গিয়ে সাইট দেন। মিঠুর (২৪) কিছুটা বিলম্ব হয়। মোটরসাইকেল থেকে নেমে এ এসআই তুহিন সাইট দিতে বিলম্ব হলো কেন জানতে চেয়ে মিঠুর গালে বসিয়ে দেন থাপ্পড়। এ সময় সহকারী পুলিশ সুপার (হেডকোয়াটার) এর স্ত্রীসহ অন্যরা নিজেদের পরিচয় দিয়ে শাদা পোশাকে থাকা এএসআই তুহিনের আচরণের প্রতিবাদ করলে তিনি রুখে গিয়ে মিঠুকে মারধরের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়ে পুলিশের পদস্থ কর্তা সম্পর্কে আপত্তিকর উক্তি আওড়াতে শুরু করেন বলে অভিযোগ।
বিষয়টি জানাজানি হলে সাধারণ মানুষের মধ্যে সমালোচনার ঝড় ওঠে। সহকারী পুলিশ সুপার তার পদস্থ কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানান। ফলে তাৎক্ষণিকভাবে এএসআই তুহিনকে তার দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়ে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়। গঠন করা হয় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি। এ কমিটির প্রতিবেদনের ওপর নির্ভর করছেন এএসআই তুহিনের চাকরির ভবিষ্যৎ।