পলাশপাড়ার সেই পপি নিখোঁজ রহস্য উন্মোচন

 

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা পলাশপাড়ার বধূ পপি নিখোঁজের নেপথ্য উন্মোচন হয়েছে। দীর্ঘ ৭৩ দিন পর পুলিশ তাকে ঢাকা থেকে উদ্ধার করেছে। গতকাল সোমবার তাকে আদালতের মাধ্যমে পিতার হেফাজতে দেয়া হয়েছে। গ্রেফতারকৃত দামুড়হুদা কোমরপুরের আশাদুলকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তার সাথেই পপি ঢাকায় পাড়ি জমিয়ে বিয়ে করে বলে সে জানিয়েছে। পুলিশ বলেছে, আড়ালে প্রেম সম্পর্ক রয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

পুলিশ জানায়, গতকালসোমবার ভোরে চুয়াডাঙ্গা থানার ওসি মুন্সী আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে এসআই খলিলুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকার কেরানীগঞ্জের ভাড়াবাড়ি থেকে গৃহবধূ পপিকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়। আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মোহা. আমীনুল ইসলাম অপহৃত গৃহবধূ পপি বেগমের ২২ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ করেন এবং তাঁর পিতা জাহাঙ্গীর আলমের আবেদনের প্রেক্ষিতে পপিকে তার পিতার জিম্মায় দেয়া হয়। অপহরণকারী আশাদুল ইসলামকে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেয়া হয়।

চুয়াডাঙ্গা শহরের পলাশপাড়ার জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে পপি বেগমের (১৯) সাথে পলাশপাড়ার হারেজ উদ্দিনের ছেলে আমজাদ হোসেনের আনুমানিক দুবছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর জামাই দুলাখ টাকা যৌতুক দাবি করে পপির ওপর অমানুষিক নির্যাতন করতে থাকে। মেয়ের বাবা-মা জামাইকে ৫০হাজার টাকা ধার স্বরূপ দেন। কিন্তুজামাই ওই ধারের টাকা পরিশোধ করেনি। এরই এক পর্যায়ে গত ১৬ এপ্রিল স্থানীয় পত্রিকায় একটি নিখোঁজ সংবাদ ছাপায় আমজাদ হোসেন। গত ১১ এপ্রিল থেকে মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে পপির বাবা জাহাঙ্গীর আলম পপির স্বামী আমজাদ হোসেন ও তার বন্ধু ফরহাদকে আসামি করে গত ১৭ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি মুন্সী আসাদুজ্জামান জানান, প্রেমঘটিত সম্পর্কের কারণেই আশাদুলের হাত ধরে পপি খাতুন ঘর ছেড়ে অজানার পথে পাড়ি জমায়।

পপি বেগমের মামলার আইনজীবী অ্যাড. মানি খন্দকার জানান, এ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আমজাদ ও ফরহাদ বর্তমানে আদালত থেকে জামিনে মুক্ত রয়েছেন। এদিকে এলাকার অনেকেই মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, পপি গেলো কার সাথে, আর এতোদিন ধরে হয়রানির শিকার হলো কারা? পুলিশের উপযুক্ত পদক্ষেপ নেয়া উচিত বলেও অভিমত এলাকাবাসীর।