পরিচয়পত্র হারালে গুনতে হবে ২০০ থেকে ১০০০ টাকা

 

স্টাফ রিপোর্টার: জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলে বা নষ্ট হয়ে গেলে তা পুনরায় নেয়ার জন্য ২০০ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত ফি দিতে হবে। আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে এটি কার্যকর হবে। নির্বাচন কমিশন থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে গতকাল সোমবার এ তথ্য জানানো হয়েছে। তবে ১ সেপ্টেম্বরের আগ পর্যন্ত বিনা খরচে জাতীয় পরিচয়পত্র নবায়ন করা যাবে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পরিচয়পত্র নবায়নের জন্য ১০০ টাকা এবং জরুরিভাবে নবায়নের জন্য ১৫০ টাকা ফি দিতে হবে। হারিয়ে গেলে বা নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর তা নতুন করে নেয়ার জন্য নির্ধারিত সময়ে ২০০ টাকা এবং জরুরি ভিত্তিতে ৩০০ টাকা দিতে হবে। দ্বিতীয় দফায় হারালে ৩০০ (সাধারণ) থেকে ৫০০ টাকা (জরুরি) এবং এরপর যতোবার হারাবে ততোবার ৫০০ (সাধারণ) থেকে এক হাজার টাকা (জরুরি) ফি দিতে হবে। উল্লিখিত ফি নির্দিষ্ট খাতে চালানের মাধ্যমে অথবা নির্বাচন কমিশন সচিব বরাবর পে-অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফটের মাধ্যমে অথবা কমিশন কর্তৃক নির্দিষ্ট নম্বরে মোবাইল ব্যাংকিং বা অনলাইন ব্যাংকিং এর মাধ্যমে জমা দিতে হবে।

বর্তমানে কমিশনের তথ্যভান্ডারে ৯ কোটি ৬২ লাখ ভোটারের তথ্য রয়েছে। আগস্ট থেকে ভোটারদের বিনামূল্যে অত্যাধুনিক পরিচয়পত্র (স্মার্টকার্ড) দেয়ার কথা রয়েছে। এ কার্ডের মেয়াদ হবে ১৫ বছর।

পুলিশ-র‌্যাবের সাথে চুক্তি: নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য যাচাইয়ের সুযোগ দিতে পুলিশ ও র‌্যাবের সাথে চুক্তি সই করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন বিভাগ। কমিশন ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত নথি অনুমোদন করেছে। এর আগে নাগরিকদের তথ্য যাচাইয়ের সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বিভাগ ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন বিভাগের মহাপরিচালক সুলতানুজ্জামান মো. সালেহউদ্দিন বলেন, পুলিশ-র‌্যাব ছাড়াও ৭০টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান নাগরিকের তথ্য যাচাইয়ের সুযোগ নেয়ার আবেদন করেছে। টেলিকম কোম্পানিগুলোও আবেদন করবে।

কমিশন সচিবালয় সূত্র জানায়, প্রতিষ্ঠানগুলোকে তথ্য পেতে হলে এককালীন নিবন্ধন ফি ৫ লাখ টাকা দিতে হবে। কোনো ব্যক্তির তথ্য যতোবার যাচাই করা হবে ততোবারই ২ টাকা হারে ফি দিতে হবে।