নৈশপ্রহরীকে বেঁধে রেখে সোনার দোকানে ডাকাতি

চুয়াডাঙ্গার হিজলগাড়ি বাজারে ডাকাতদলের হানা :  দীর্ঘ সময় ধরে তাণ্ডব

 

বেগমপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদরের হিজলগাড়ি বাজার নৈশপ্রহরীকে বেঁধে জননী জুয়েলার্সের দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতেরা দোকানের তালা ভেঙে নগদ টাকা, স্বর্ণ ও রূপার গয়নাসহ প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। প্রকাশ্যে বাজারের প্রাণকেন্দ্রে এ ডাকাতির ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা।

জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের প্রাণকেন্দ্র হিজলগাড়ি বাজারে ১৫/১৬ জনের সশস্ত্র ডাকাতদল নিজেদেরকে পাটির লোক পরিচয় দিয়ে প্রবেশ করে। প্রথমে নৈশপ্রহরী মাহাত্তাব এবং করিমনচালক মনিরকে কাছে ডেকে হাত-পা বেঁধে ফেলে। এ সময় ডাকাতদলের কয়েক সদস্য বাজারের জননী জুয়েলার্সের ৭টি তালা কেটে দোকানের মধ্যে প্রবেশ করে। দোকানে ঢুকে সিন্দুকের তালা ভেঙে নগদ ২৫ হাজার টাকা, ৯ ভরি সোনার গয়না ও ৭২ ভরি রূপার গয়নাসহ প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নেয়।

এদিকে ডাকাতি চলাকালীন অবস্থায় বাজারে আসা দুটি করিমন চালকসহ ১০/১২ জনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বেঁধে ফেলে তারা। এদের মধ্যে আতিয়ার তাদের পরিচয় জানতে চাইলে তাকেও মারপিট করে। বাজারে মাহাত্তাব, মেছের আলী, মধু ও লালু নামের ৪ জন নৈশপ্রহরী থাকেন। ডাকাতদলের উপস্থিতি টের পেয়ে নৈশপ্রহরী মেছের আলী দৌঁড়ে পালিয়ে গেলেও বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিতে ব্যর্থ হয়।

এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলে, ডাকাতি চলাকালীন অবস্থায় স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে মোবাইলফোন করা হলেও মোবাইলফোন রিসিভ হয়নি। পরে গ্রামের লোকজন ফাঁড়িতে গিয়ে খবর দিলে পুলিশ এবং গ্রামবাসী দিগ্বিদিক হৈ জাকার দিয়ে ছুটতে থাকে। ততোক্ষণে ডাকতরা ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়ে চলে যায়। বাজারের প্রাণকেন্দ্রে প্রায় দীর্ঘ দেড় ঘণ্টা ধরে ডাকাতি সংঘটিত হওয়ার ঘটনায় পুলিশি ভূমিকা নিয়ে অনেকের মনে জেগেছে নানা প্রশ্ন। এ বিষয়ে হিজলগাড়ি ফাঁড়ি পুলিশের দায়িত্বরত এএসআই এবি আবজাল হোসেন বলেন, রাত আড়াইটা পর্যন্ত বাজারে ডিউটিতে ছিলাম। ক্যাম্পে যাওয়া মাত্র এ ঘটনা ঘটেছে। তারপরও পুলিশ সংবাদ পাওয়ামাত্র পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।